top of page
Search

যারা নিজেদের ঈশ্বরবিহীনতায় সন্তুষ্ট তারা যীশুর প্রয়োজন অনুভব করেন না


আমাদের ঢাকা শহরের দিকে দেখুন।  এখানকার লোকদের সম্বন্ধে চিন্তা করুন। তাদের প্রত্যেকেই কি আন্তরিকভাবে ঈশ্বরের বিষয়ে চিন্তা করেন? আপনি জানেন তারা সেটা করেন না। বাইবেল বলে,


‘‘ঈশ্বরের অন্বেষণ করে, এমন কেহই নাই’’ (#রোমীয় ৩:১১)।


পবিত্র আত্মার কাজের মাধ্যমে যদি ঈশ্বরের অনুগ্রহ আপনার কাছে না পৌঁছায়, আপনি কখনও যীশুর মধ্যে ঈশ্বরের অন্বেষণ করবেন না। ঈশ্বরবিহীন একটি অবস্থাতে, ঈশ্বর ছাড়া হয়ে বেঁচে থাকতে এবং মারা যেতে আপনি সন্তুষ্ট থাকবেন।


কিন্তু যদি ঈশ্বরের অনুগ্রহ আপনার হৃদয়ে কাজ করতে শুরু করে, তবে আপনি আপনার এই জীবনের জন্য অসন্তুষ্ট হবেন। আপনি সব কিছু পৃথকভাবে দেখতে শুরু করবেন।


আপনি হয়তো অনেক লোকের ভীড়ের মধ্যে থাকবেন এবং ভাবতে শুরু করবেন, ‘‘কিসের জন্য এই সব লোকেরা বেঁচে আছে? কেন তারা ঈশ্বরের সম্বন্ধে উদ্বিগ্ন হচ্ছে না?’’ আপনার নিজের জীবন এবং আপনার আসন্ন মৃত্যুর বিষয়ে আপনি চিন্তা করতে শুরু করবেন। আপনার নিজের ধর্মকে আপনার খুব অগভীর, এবং মোটেই সহায়ক নয় বলে মনে হতে থাকবে। অন্যান্য লোকেরা যাই অজুহাত তৈরী করুক না কেন, সেই অজুহাতগুলি আপনার কাছে আর পর্যাপ্ত বলে মনে হবে না। আর আপনি অনুভব করতে শুরু করবেন যে জীবনে খালি খাওয়া, ঘুমানো, পড়াশোনা করা, এবং খেলাধূলা করা ছাড়া সেখানে অবশ্যই আরও অতিরিক্ত কিছু আছে।


যখন ঈশ্বরের অনুগ্রহ আপনার জীবনে কাজ করতে শুরু করে তখন আপনার নিজের ঈশ্বরবিহীনতার একটি অনুভূতি আপনার মধ্যে জন্ম নেবে। আপনি অনুভব করতে থাকবেন,


‘‘ঈশ্বরের জীবনের বহির্ভূত হইয়াছে’’ (#ইফিষীয় ৪:১৮)।


আপনি ভাবতে শুরু করবেন যে ঈশ্বর আপনার একজন অপরিচিত ব্যক্তি, আর তাঁকে ছাড়া আপনি একটা ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে রয়েছেন,


‘তোমাদের আশা ছিল না, আর তোমরা জগতের মধ্যে ঈশ্বরবিহীন ছিলে’’ (#ইফিষীয় ২:১২)।


আর সেইজন্যে আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি, যে ধরনের জীবন আপনার রয়েছে তা নিয়ে কি আপনি সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট রয়েছেন? যদি তাই হয়ে থাকেন, তবে সেখানে আশা খুব ক্ষীণ যে আপনি খ্রীষ্টের কাছে আসবেন। আপনি যেমন আছেন সেইভাবেই চলতে থাকবেন - একটি নিজস্ব পথে ঈশ্বরকে না জেনে সন্তুষ্ট থাকবেন বাঁচা এবং মরা নিয়ে।


‘‘সুস্থ লোকদের চিকিৎসকে প্রয়োজন নাই, কিন্তু পীড়িত লোকদেরই প্রয়োজন আছে’’ (লূক ৫:৩১)। 

যদি আপনি ঈশ্বরবিহীন জীবনে সন্তুষ্ট থাকেন তাহলে আপনি যীশুর কোন প্রয়োজন বোধ করবেন না। সেখানে একটা প্রবণতা আছে, বিশেষ করে যুবকদের মধ্যে, এইরকম ভাবার যে ধর্মের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আগ্রহী হওয়াটা হল দুর্বলতার একটা লক্ষণ। যারা প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী নন তাদের ঝোঁক রয়েছে চিন্তা করার যে সেই সব লোক যারা ঈশ্বরের প্রতি অতি আগ্রহী হন তারা একটু অদ্ভুত, একটু অন্যরকম, আর পুরোপুরি স্বাভাবিক হন না।


এটা সাধারণত বলা হয় না। সাধারণত লোকেরা বলেন না, ‘‘ঐ লোকটি একটু অদ্ভুত। তিনি চলে যান এবং নিজে নিজেই প্রার্থনা করেন।’’ নিয়ম অনুযায়ী তারা সেটা বলেন না। কিন্তু তারা চিন্তা করেন। এবং আপনার খ্রীষ্ট-বিশ্বাসহীন বন্ধুরা এইসব চিন্তা করেন। তারা এই ধরনের কথা বলবেন, ‘‘অতি ধার্মিক হয়ো না। অন্ধবিশ্বাসী হয়ো না’’ - এই ধরনের বিষয় বলবেন। এটা অতি সর্বজনীন হয় তার কারণ যে মানবজাতি একটা পাপীয় অবস্থার মধ্যে আছে।


‘‘কেননা মাংসের ভাব ঈশ্বরের প্রতি শত্রুতা’’ (#রোমীয় ৮:৭)।


তাদের অপরিত্রাণ অবস্থায়, সমগ্র মানবজাতি হল


‘‘স্বভাবত: ক্রোধের সন্তান’’ (#ইফিষীয় ২:৩)।


সেই কারণে অপরিত্রাত বন্ধু এবং আত্মীয়স্বজনেরা যা পারেন তার সবই করবেন যাতে ঈশ্বর অন্বেষণের বিষয়ে আপনাকে আন্তরিক না হতে প্ররোচিত করা যায়। তারা হয়তো চেষ্টা করবে আপনাকে অন্য মন্ডলীতে নিয়ে যেতে, বা ‘‘তাদের মন্ডলীতে’’ - আপনাকে এই মন্ডলীতে ফিরে আসা থেকে বিরত করতে যে কোন কিছু করবে! কেন? তারা জানেন যে ‘‘তাদের’’ মন্ডলী হল শীতল, এবং ঈশ্বর সেখানে বিরাজ করেন না।তাদের আসল উদ্দেশ্য হল আপনাকে ঈশ্বর থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করা,


‘‘কেননা মাংসের ভাব ঈশ্বরের প্রতি শত্রুতা’’ (#রোমীয় ৮:৭)।


তার এই নবজন্মহীন অবস্থাতে, মানবজাতি ঈশ্বরের প্রতি বিদ্রোহী হয়েছে।  যখন ঈশ্বর আপনাকে আহ্বান করতে শুরু করেন, তখন আপনার দিশাহারা বন্ধু এবং আত্মীয়স্বজনেরা আপনাকে পিছনে টানার চেষ্টা করে এবং আপনাকে ঈশ্বর থেকে দূরে রাখেন। মাতাপিতা এবং দিশাহারা বন্ধুরা আপনার প্রতি হয়তো সেই একই জিনিষ করবেন।

কিন্তু যীশু বলেছেন,


‘‘সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, এমন সময় আসিতেছে, বরং এখন উপস্থিত, যখন মৃতেরা ঈশ্বরের পুত্রের রব শুনিবে, এবং যাহারা শুনিবে, তাহারা জীবিত হইবে’’ (যোহন ৫:২৫)।

এমনকি যদিও ইফিষীয় ২:১, ৫ পদ অনুযায়ী আপনি আত্মিকভাবে মৃত, তবুও ঈশ্বরের পুত্র আপনাকে আহ্বান করতে শুরু করেন। আপনার মৃত অবস্থায়, আপনি ‘‘শুনছেন ঈশ্বর পুত্রের স্বর।’’ যখন তা ঘটবে তখন আপনি আর সেই ঈশ্বর পুত্র, যীশু ব্যাতীত জীবন নিয়ে বেঁচে থাকতে সন্তুষ্ট হবেন না। আপনি আরও অতিরিক্ত কিছু চাইবেন। আপনি তখন যীশুর অন্বেষণ করবেন। কিন্তু যতদিন আপনি একটা অজাগ্রত এবং মৃত অবস্থাতে আছেন, আপনি খ্রীষ্ট ছাড়াই বাঁচা ও মরার জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট হয়ে থাকবেন। একমাত্র যখন পবিত্র আত্মা আপনাকে দেখাবে যে সেখানে আপনার মধ্যে কিছু কিছু ভুল রয়েছে - কারণ আপনার হৃদয় ঈশ্বরবিহীন হয়ে রয়েছে - একমাত্র যখন আপনি নিজের মধ্যে এই ত্রুটি দেখতে পাবেন তখন আপনি যীশু খ্রীষ্টের প্রতি আগ্রহান্বিত হবেন।

28 views0 comments
bottom of page