top of page
To see this working, head to your live site.
আপনার প্রশ্ন
“তোমাদের অন্তরের প্রত্যাশার কারণ সম্পর্কে কেউ জানতে চাইলে, তাকে উত্তর দেওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত থেকো।“ পিতর 3:15
সমস্ত দাবী মিথ্যা হতে পারে, তবে সমস্ত দাবি সত্য হতে পারে না। কেবল একটি "সত্য" থাকতে পারে। তাহলে "সত্য" কি?
আমি কীভাবে শ্রদ্ধার সাথে ইসলামকে মূল্যায়ন করতে পারি? কীভাবে আমি একজন মুসলিম বন্ধুর সাথে সুসমাচার প্রচার করতে পারি?
'যিনি পাপ জানতেন না, ঈশ্বর তাঁকে আমাদের পক্ষে পাপস্বরূপ করলেন, যেন আমরা তাঁর দ্বারা ঈশ্বরের ধার্মিকতাস্বরূপ হতে পারি।'
New Posts
- যীশু কে?মথি ৭:১৩-১৪ পদ, সঙ্কীর্ণ দ্বার দিয়া প্রবেশ কর; কেননা সর্ব্বনাশে যাইবার দ্বার প্রশস্ত ও পথ পরিসর, এবং অনেকেই তাহা দিয়া প্রবেশ করে; কেননা নজীবনে যাইবার দ্বার সঙ্কীর্ণ ও পথ দুর্গম, এবং অল্প লোকেই তাহা পায়। পর্যবেক্ষণঃ ১। যীশু সংঙ্কীর্ণ দ্বার ও দূর্গম পথ বলতে কি বুঝিয়েছেন? কোন অর্থে সংঙ্কীর্ণ দ্বার ও দূর্গম পথ জীবনের পথ? ২। সর্ব্বনাশের দ্বার প্রশস্ত ও পথ পরিসর বলতে যীশু কি বুঝিয়েছেন? কেন অনেক লোক এই পথে প্রবেশ করে? ব্যাখ্যাঃ যীশু খ্রীষ্ট পর্বতে দত্ত উপদেশে তিনি স্বর্গ রাজ্যের বিষয় শিক্ষা দিচ্ছেন। তিনি এখানে শিষ্যদের পরিচয় তুলে ধরেন, তোমরা জগতের আলো, তোমরা জগতের লবন এটি খ্রীষ্টানদের প্রকৃত পরিচয়। তারপর তিনি ইহুদী সমাজ থেকে ঈশ্বরের রাজ্যেকে পৃথক করে, আলাদা করে তুলে ধরেন। পূর্ব যা বলা হয়েছে, তোমরা সেই মত কাজ করবে না, খ্রীষ্ট যেভাবে চান সেভাবে কর, রাগের পরিবর্তে ক্ষমা ও পূর্ণমিলন। শক্রকে হত্যার পরিবর্তে প্রেম করা। তোমরা যেমন ব্যবহার আশা কর অন্যের প্রতি তেমন ব্যবহার আগে কর। তারপর তিনি স্বর্গ পথে চলিবার বিষয় পরামর্শ দেন, ক. সংঙ্কীর্ণ দ্বার ও দূর্গম পথ - এই পথ জীবনের পথ। খ. প্রশস্ত দ্বার ও পরিসর পথ - সর্ব্বনাশের পথ। যীশু শিষ্যদের সংঙ্কীর্ণ দ্বার ও দূর্গম পথে স্বর্গে প্রবেশের জন্য উৎসাহিত করেছেন। কেননা অনন্ত জীবনে যাওয়ার পথ সংঙ্কীর্ণ ও দূর্গম পথ, এই ধরনের পথেই পুরাতন নিয়মের বিশ্বাসী বীরগন পরিচালিত হয়েছিলেন, নতুন নিয়মে ইব্রীয় পত্রের লেখক ১১ অধ্যায়ে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরেছেন। অবশ্যই এটি বিশ্বাসে চলার পথ, এই পথে আছে দুঃখ, আছে কষ্ট, আছে অপমান, আছে অভাব অনাটন। এটি খ্রীষ্টের তৈরী পথ, এটি ক্রুশের পথ। এই পথ সম্পর্কে যীশু বলেন, মথি ১৬: ২৪-২৫ তখন যীশু আপন শিষ্যদিগকে কহিলেন, কেহ যদি আমার পশ্চাৎ আসিতে ইচ্ছা করে, তবে সে আপনাকে অস্বীকার করুক, আপন ক্রুশ তুলিয়া লউক, এবং আমার পশ্চাদগামী হউক। কেননা যে কেহ আপন প্রাণ রক্ষা করিতে ইচ্ছা করে, সে তাহা হারাইবে, আর যে কেহ আমার নিমিত্তে আপন প্রাণ হারায়, সে তাহা পাইবে। অবশ্যই এই সংঙ্কীর্ণ দ্বার ও দূর্গম পথ খ্রীষ্টের পিছনে চলার দ্বারা শুরু হয়। এই চলার পথে মৃত্যু ঝুকি আছে, এ পথে মৃত্যু জীবন পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করে। এই পথে সকল প্রেরিত যীশুর নিমিত্ত প্রাণ হারিয়েছেন। আর সর্ব্বনাশের দ্বার প্রশস্ত, পথ পরিসর এই পথে কইন, নূহের সময় ব্যভিচারী বিশাল জনগোষ্টী, সদোম, ঘোমরা, মিশরের ফৌরন, সকল পরজাতির পত্তলিক লোক বৃন্দ, এটি নিজের ইচ্ছায় পরিচালিত পথ, এই পথে কোন শাসন, অনুযোগ নাই। এটি জাগতিক আনন্দের পথ, এটি সাময়িক নেশা, ভোগবাদের পথ। এই পথে ঈশ্বরের সকল অবাদ্ধ লোকেরা পরিচালিত হয়, যারা খ্রীষ্টের প্রতিরোধ করে, খ্রীষ্টকে মসীহ বলে অস্বীকার করে। তারা নিজ পাপে সর্ব্বনাশের পথে চলে। নরক, শয়তান তাদের শেষ ঠিকানা। প্রয়োগঃ ১। আপনি কি সংঙ্কীর্ণ দ্বার ও দূর্গম পথে খ্রীষ্টের পিছনে জীবন পরিচালিত করছেন? তা উপলব্দি করুন! ২। আপনি কি সর্ব্বনাশের প্রশস্ত দ্বার ও পরিসর পথে নিজের ইচ্ছায় পরিচালিত হচ্ছেন? যেন খ্রীষ্টের কোন ইচ্ছার বাস্তবায়ন নেই? অবশ্যই তা চিন্তা করুন!Like
- ক্রুশীয় কোরবানিপ্রিয়পাঠক, আমরা জানি যে এই বিষয়ে খ্রিষ্টানদের প্রাই প্রশ্ন করা হয়ে থাকে, যীশু কিভাবে মানুষের পাপভার বহন করেছেন। অর্থাৎ একজন মানুষ আরেক জন মানুষের পাপেরভার বহন করতে পারে না, এই বলে খ্রিষ্টানদের বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। যদিও প্রতিবছর মুসলিমরা পশু কুরবানি দিয়ে থাকে, কিন্তু তবুও তারা এই প্রশ্ন করে। এখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছে যদি পশু কুরবানি মানুষের পাপ থেকে রক্ষার ( কাফফারা) জন্য অবদান রাখতে পারে, তাহলে একজন মানুষের কুরবানির ব্যবস্থা ঈশ্বর করেছেন, তাও মানা সম্ভব, তাই নয় কি? যীশু পৃথিবীর সমস্ত মানুষের জন্য একবার ঈশ্বরের দয়ায় সন্তুষ্টিজনক ও পূর্ব - নির্ধারিত মানুষের জন্য বিকল্প কুরবানি। পবিত্র বাইবেল বলে পাপের শাস্তি ( বেতন ) মৃত্যু, "কেননা পাপের বেতন মৃত্যু; কিন্তু ঈশ্বরের দয়ায় "অনুগ্রহ-দান" আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টেতে অনন্ত জীবন" (রোমীয় ৬:২৩) প্রিয়পাঠক, আসুন এখন আমরা পবিত্র বাইবেল থেকে কুরবানির ইতিহাস দেখি, যাতে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে, কেন যীশু ক্রুশের উপরে কোরবানি হয়েছেন। ব্যাবস্থা বা শরিয়ত আসার পূর্বের কুরবানিঃ ক. এদন বাগানে ঈশ্বর নিজেই কুরবানি দিয়েছেন - আদিপুস্তক ৩:২১ " আর সদাপ্রভু ঈশ্বর আদম ও তাঁহার স্ত্রীর হবার নিমিত্ত চর্ম্মের বস্ত্র প্রস্তুত করিয়া তাঁহাদিগকে পরাইলেন।" ঈশ্বর কেন পশুকুরবানি দেন? যদিও এই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায় না তবে খ্রিষ্টান ধর্মতত্ত্ববিদগন বলেন ঈশ্বরের এই কুরবানি পাপ ক্ষমার জন্য যে রক্ত দরকার তা দেখায়। পশুর চামড়ার যে পোশাক ঈশ্বর আদম ও হবাকে পড়িয়ে দিয়েছিলেন, তা লজ্জাস্থান ঢাকার জন্য বাইবেলে তা উল্লেখ আছে। কেননা পাপ করার পরে আদম ও হবা শুধুমাত্র উলুঙ্গতা নিয়ে কথা বলেন, এটি তাদের বিবেক কলুষিত করেছিল। পশু কুরবানি দিয়ে উলংগতার লজ্জা ঢাকা যে পাপ ক্ষমার বিষয়, তা বাইবেলের অন্যান্য পদ থেকেও প্রমাণ করা যায়। নতুন নিয়মে - "কারণ বাস্তবিক আমরা এই তাম্বুর মধ্যে থাকিয়া আর্ত্তস্বর করিতেছি, ইহার উপরে স্বর্গ হইতে প্রাপ্য আবাস-পরিহিত হইবার আকাঙ্ক্ষা করিতেছি; পরিহিত হইলে পর আমরা ত উলঙ্গ থাকিব না।" (২ করিন্থীয় ৫:২-৩ ) "তুমি কহিতেছ, আমি ধনবান্, ধন সঞ্চয় করিয়াছি, আমার কিছুরই অভাব নাই; কিন্তু জান না যে, তুমিই দুর্ভাগ্য, কৃপাপাত্র, দরিদ্র, অন্ধ ও উলঙ্গ" (প্রকাশিত বাক্য ৩:১৭)। যীশু এখানে চার্চের আত্মিক দারিদ্র্যেতার কথা বলেছেন। আবার প্রকাশিত বাক্য ১৬:১৫ দেখ, আমি চোরের ন্যায় আসিতেছি; ধন্য সেই ব্যক্তি, যে জাগিয়া থাকে, এবং আপন বস্ত্র রক্ষা করে, যেন সে উলঙ্গ হইয়া না বেড়ায়, এবং লোকে তাহার অপমান না দেখে। খ. হাবিলের কুরবানি - আদমের ছেলে হাবিল ঈশ্বরের নিকট কুরবানি নিয়ে আসেন তার মেষ পালের মধ্য থেকে মোটা ও প্রথমজাত মেষ - "আর হেবলও অাপন পালের প্রথমজাত কএকটি পশু ও তাহাদের মেদ উৎসর্গ করিল। তখন সদাপ্রভু হেবলকে ও তাহার উপহার গ্রাহ্য করিলেন;" (আদিপুস্তক ৪:৪) আদিপুস্তক ৪:৭ পদে বলা হয়েছে তিনি সঠিক ধরনের কুরবানি দিয়েছেন। ঈশ্বর আদমের আরেক সন্তান কাবিলের শষ্য কুরবানি চেয়ে পশুকুরবানিকে বেশি পছন্দ করেছেন। কেননা ঈশ্বর পাপের বদলে মৃত্যুর শাস্তি দিয়েছেন। তবে সে মৃত্যু মানুষের নয় কিন্তু পশুর মৃত্যু দ্বারা তিনি দেখালেন যে পাপের কারণে মানুষ এভাবে মৃত্যুর জন্য উপযুক্ত ছিল। সুতরাং পাপ ক্ষমার পশুকুরবানির রক্ত একেবারেই প্রথম থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ হিসাবে প্রচলিত হয়ে আসছে। গ. নুহের কুরবানি - "পরে নোহ সদাপ্রভুর উদ্দেশে যজ্ঞবেদি নির্ম্মাণ করিলেন, এবং সর্ব্বপ্রকার শুচি পশুর ও সর্ব্বপ্রকার শুচি পক্ষীর মধ্যে কতকগুলি লইয়া বেদির উপরে হোম করিলেন। তাহাতে সদাপ্রভু তাহার সৌরভ আঘ্রাণ করিলেন, আর সদাপ্রভু মনে মনে কহিলেন, আমি মনুষ্যের জন্য ভূমিকে আর অভিশাপ দিব না, কারণ বাল্যকাল অবধি মনুষ্যের মনস্কল্পনা দুষ্ট; যেমন করিলাম, তেমন আর কখনও সকল প্রাণীকে সংহার করিব না।" (আদিপুস্তক ৮:২০-২১) নুহ শুচি পশু দিয়ে পোড়ানো কুরবানি দিয়েছিলেন। এর আগে মাংশ খাওয়ার কোন হুকুম ছিল না। কিন্তু নূহের সময় থেকে ঈশ্বর মাংশ খাওয়ার হুকুম দিয়েছেন। "প্রত্যেক গমনশীল প্রাণী তোমাদের খাদ্য হইবে; আমি হরিৎ ওষধির ন্যায় সে সকল তোমাদিগকে দিলাম। কিন্তু সপ্রাণ অর্থাৎ সরক্ত মাংস ভোজন করিও না।" (আদিপুস্তক ৯:৩-৪) তবে নুহ ও তার পরিবার কুরবানি মাংশ খেয়েছেন কি না তা জানা যায় না। কেননা এই কুরবানি মূল উদ্দেশ্য ছিল ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করা। আদিপুস্তক ৮:২১ ঈশ্বর সেই কুরবানি ঘ্রাণে খুশি হলেন। ঘ. ইবরাহিম এর কুরবানি - ইবরাহিম প্রথম যে কুরবানি দেন, তা হচ্ছে ঈশ্বর তার সাথে যখন চুক্তি স্থাপন করেন তখন - আদিপুস্তক ১৫:৯-২১ ঈশ্বরের হুকুমে ইবরাহিম কুরবানি দেন। এই কুরবানীর আসল অর্থ ছিল "চুক্তি ভাংগার অভিষাপে শাস্তিকে প্রতিক হিসাবে দেখিয়ে দেওয়া"। এই সময় ঈশ্বর পশুর বয়স বলে দেন। পশুকে জবাই করে নয় কিন্তু দ্বিখণ্ডিত করে কুরবানি করতে ঈশ্বর বলেন। দ্বিখণ্ডিত পশুর মাঝখান দিয়ে ঈশ্বর হেটে যান এবং ইবরাহিমের সাথে চুক্তি করেন যে ঈশ্বর ইবরাহিমের মধ্য দিয়ে দুনিয়ার সমস্তজাতিকে আসির্বাদ করবেন। এই কুরবানির প্রধান অর্থ ছিল রক্ত দিয়ে চুক্তি করা কারণ কোন পক্ষ যদি চুক্তি ভাংগে চুক্তি ভঙ্গকারীর দশাও দ্বিখণ্ডিত পশুর মত হবে। ইবরাহিম এর আরো পরে ইসাহাকের পরিবর্তে মেষ কুরবানি দেন। কেননা ঈশ্বর তাকে পোড়ানো কুরবানি দিতে বলেন। পরে ইবরাহিম সেখানে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করতে গিয়েছেন,সেখানে ঈশ্বরের উদ্দেশ্য কুরবানগাহ তৈরী করে কোরবানি দিয়েছেন, তবে তা তার অদ্বিতীয় পুত্র ঈসাহাকের কোরবানিকে স্মরণ করে নয়। নানা স্থানে নবী ইবরাহিমের কোরবানি দেওয়া ছিল বহুঈশ্বরবাদের বিপরীতে এক ঈশ্বরের উপাসনা বা ইবাদত হিসাবে। কেননা এই কোরবানি ইবাদতের অংশ। আমি অবশ্যই প্রার্থনা পূর্বক আগামী কয় দিন এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। ঙ. মুসার কুরবানি - মুসার সময়ে প্রথম কোরবানি হয় মিসর দেশে নিস্তার পর্বের সময় থেকে। এই কোরবানি প্রতিবছর করতে স্বয়ং ঈশ্বর আদেশ দেন। এই আদেশের জন্যই ইহুদী জাতি প্রতিবছর কোরবানি দিয়ে আসছিল। তখন ইসলাম ধর্মের কোন প্রতিষ্ঠা হয় নি। কিন্তু ইবরাহিম ঈসমাইলকে কুরবানি দেওয়ার কারণ কোথা থেকে আসল - বা ইসলামের কোরবানি কিভাবে আসে তা আমাদের জানা নেই। তবে ইসলাম ধর্ম ইবরাহিমের জামানা হতে ধারাবাহিকতায় কোরবানি দিয়ে আসছে বলে শিক্ষা দেয়। সেজন্য ইসলাম ধর্মের অনুসারী মুসলিমরা প্রতি বছর এক সাথে কোরবানি দেয়।তবে এখন বিশ্বে দিনের পার্থক্য থাকার কারণে এক সংগে কুরবানি করা হয় না। সেজন্য ইসলামে তিন দিন কুরবানি করা যায় বলে, ধর্মীয় ঘোষণা আছে। মুসার সময়ে কুরবানির পশু কেমন হবে? কখন কোরবানি দিতে হবে ? কিভাবে কোরবানি দিতে হবে? কোথায় কোরবানি করতে হবে? কোরবানির মাংশ কিভাবে খাওয়া হবে? ইত্যাদি নানা বিষয়ে বিস্তারিত নিয়ম ঈশ্বর পবিত্র বাইবেলে দিয়েছেন। ঈসমাইলের কোরবানি কোন কথা বাইবেলে নেই বরং ঈসাহাকের কথা বাইবেলে আছে। কুরআন অনুসারে যে কুরবানি করার হুকুম রয়েছে তা অবশ্যই মোহাম্মাদের আমলের হুকুম। কেননা পবিত্র বাইবেলে এমন কোন কোরবানির কথা বলা হয় নি, এমন কি ঈসাহাকের কুরবানিকে স্মরণ করেও কোরবানি করতে বলা হয় নি। বাইবেল অনুসারে ঈশ্বর কোরবানির নিয়ম করেন মিসরে ঈস্রায়েল জাতি বন্দি দশা হতে মুক্ত হওয়ার আগে পালিত ঈদুল ফেসাখের দিনে করা কুরবানির নিয়ম থেকে। এর আগে লোকেরা নিয়মিত ভাবে পশু কুরবানি দেয় নি, কোন নিয়মও ছিল না,ঈশ্বরের হুকুম ছিল না। তবে মাঝে মাঝে দেখা যায় - যেমন নুহ কুরবানি করেছিল - আদিপুস্তক ৮:২০ পদ। পশুর রক্ত মানুষের অনন্তকালীন পাপ ক্ষমার কোন উপায় নয়, পশুর রক্ত যীশু কোরবানি হওয়ার আগ পর্যন্ত, তাঁর রক্তের প্রতিনিধিত্ব করেছিলমাত্র, কারণ খ্রীষ্টের রক্তই জীবন-দায়ী।Like
- ক্রুশীয় কোরবানিপ্রিয়পাঠক, আমরা যারা মুসলিম জনসংখ্যা বহুল দেশে বাস করছি, এখানে অবশ্যই আমাদের অনেক মুসলিম বন্ধু বান্ধব ও আত্নিয়-স্বজন আছে, বিশেষ করে আমার প্রচুর আছে, কেননা আমি মুসলিম থেকে খ্রীষ্টান হয়েছি। আগামী ০১/০৮/২০২০ তারিখ মুসলিমদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আয হা অর্থাৎ কোরবানি ঈদ। আমার নিকট আত্নীয়-স্বজনরা আমাকে ঈদের দাওয়াত করেছেন, অনেক বন্ধুও আমাকে দাওয়াত করেছেন এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, আমি খ্রীষ্টান হিসাবে কি এই কোরবানির মাংশ খেতে পারি? প্রথমে বলা দরকার যে, একজন খ্রীষ্টান কিভাবে এই কোরবানির মাংশ খাবে। কোরবানির মাংশ খাওয়ার বিষয়ে অবশ্যই পবিত্র বাইবেলে শতর্ক বার্তা আছে। প্রিয়পাঠক, তাই আসুন এই সকালে আমরা তা দেখি - ১ করি ১০:২৩-৩৩ পদে এই বিষয় বলা আছে। এই নিয়ম হল পৌত্তলিক দেবতার কাছে উৎস্বর্গকৃত মাংশ যা সেই সময়ে বাজারে বিক্রি হচ্ছিল সে সম্পর্কে পৌল আমাদের বলছেন। সে শিক্ষার মূল সারাংশ হচ্ছে পরিপক্ক কোন খ্রীষ্টান বিশ্বাসী দেবতার কাছে উৎস্বর্গকৃত মাংশ খেলে যদি নতুন কোন কনভার্ট খ্রীষ্টান বিশ্বাসী বিবেকে কষ্ট পায়, তা হলে কোন বাধা না থাকলেও, পরিপক্ক খ্রীষ্টান বিশ্বাসীকে সেই মাংশ না খাওয়ার বিষয়ে শিক্ষা আছে। মূল নীতি হচ্ছে, "তোমরা খাওয়া দাওয়া কর যাই কর, সব কিছু ঈশ্বরের গৌরবের জন্য করো " - ১ করি ১০:৩১। মুসলিম থেকে এসেছেন এমন খ্রীষ্টানদের বেলায় এরকম সমস্যা বা প্রশ্ন আসবে না তা বলা যায় না।আসতে তো পারে, তাই নয় কি? বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে কোরবানীর পরে বিকালে বাজারে বেশ কোরবানীর মাংশ বিক্রি হয়। এসব মাংশ গরিব লোকেরা বিভিন্ন বাসা বাড়ী থেকে সংগ্রহ করে, সেই কোরবানীর মাংশ বেশ সস্তা বলে অনেকেই ক্রয় করে। দেবতার নিকট উৎস্বর্গকৃত মাংশ খাওয়া নিয়ে করিন্থিয়ান্স চার্চের মধ্যে যে সমস্যা দেখা দেয়, মুসলিমদের কোরবানীর মাংশও বাজার থেকে কিনে খাওয়ার মধ্যে প্রকৃতিগত মিল থাকলেও উৎস্বর্গ অর্থে কোন মিল নেই। আবার মুসলমান ও খ্রীষ্টান একই ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না। কিন্তু মুসলমান অনেক পরিবার খ্রীষ্টান বিশ্বাসীদেরকে কোরবানি ঈদের দিনে কোরবানির মাংশ দিয়ে থাকে, অথবা খ্রীষ্টান বিশ্বাসীদের এখনও মুসলমান আছে এমন আত্নীয় স্বজনেরাও মাংশ দিয়ে থাকে, অনেক মুসলিম ভুরিভোজের দাওয়াত দিয়ে থাকে। পবিত্র বাইবেলের দিক থেকে এই ধরনের মাংশ খাওয়ার বিষয়ে কোন বাধা নেই। তবে কোন কোন স্থানে মুসলিম কনভার্ট খ্রীষ্টান গোপন বিশ্বাসী মুসলিমদের সংগে মিলে ভাগে কোরবানির টাকা দিচ্ছে। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশতঃ মুসলিমরা তা জানতে পারছে না, অথবা জানলেও রিকর্ভার্ট করতে কিছু বলছে না। কিন্তু ইসলামিক আইনে এই কোরবানি মুসলিমরা করতে পারে না। খ্রীষ্টানরা কোরবানিতে অংশগ্রহণ না করলেও শুধু মাংশ খাওয়ার জন্য টাকা দিচ্ছে কিন্তু মুসলিমরা তা গ্রহন করতে পারে না। খ্রীষ্টানরা একইরুপে আচরণ করার কোন সমর্থন পবিত্র বাইবেলে নেই। তাছাড়া এটি করিন্থিয়ান্স চার্চের মত দেবতার উদ্দেশ্যের উৎস্বর্গের মত হবে। কেননা ইসলামের কোরবানীর নিয়ম কানুন একেবারেই আলাদা যা কোনভাবেই একজন খ্রীষ্টান গ্রহন ও সমর্থন করতে পারে না। কেননা কার উদ্দেশ্য কোরবানি, কার নামে কোরবানি, ইত্যাদিতে প্রশ্নযোগ্য ধর্ততাত্ত্বিক ও বিশ্বাসগত বিস্তর পার্থক্য বিদ্যামান রয়েছে। "তাহা শুনিয়া তিনি কহিলেন, সুস্থ লোকদের চিকিৎসক প্রয়োজন নাই, বরং পীড়িতদেরই প্রয়োজন আছে। কিন্তু তোমরা গিয়া শিক্ষা কর, এই বচনের মর্ম্ম কি, “আমি দয়াই চাই, বলিদান নয়”; কেননা আমি ধার্ম্মিকদিগকে নয়, কিন্তু পাপীদিগকে ডাকিতে আসিয়াছি।" (মথি ৯:১২-১৩) আমরা মাংশ যেমন নরমালি ঈশ্বরের ধন্যবাদ সহকারে খাই একইভাবে অন্য ধর্মাঅবলম্বিদের বাসায় দাওয়াত খাব যেন সুসমাচার প্রচারের জন্য বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যদি যীশুর অগৌরবজনক হয় তা হলে অবশ্যই এই দাওয়াত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। একজন মুসলিম এর নিকট এই কোরবানির মাংশ ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু খ্রীষ্টান বিশ্বাসী হিসাবে আপনার নিকট তা শুধুই খাবার হিসাবে গন্য তাই, ধন্যবাদ সহকারে তা আপনি খেতে পারেন, ও সুসমাচার প্রচারের সুযোগ তৈরী করতে পারেন। আর যদি এই মাংশ খেতে আপনার বিবেগ বাধা প্রদান করেন তা হলে তা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা বাইবেল বলে - "আর বাক্যে কি কার্য্যে যাহা কিছু কর, সকলই প্রভু যীশুর নামে কর, তাঁহার দ্বারা পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিতে করিতে ইহা কর।" (কল ৩:১৭) সুসমাচার প্রচার করতে হলে আমাদের সকল ধর্ম, বর্ণ ও কৃষ্টির লোকদের বাসায় খাওয়া দাওয়া করতে হবে, এতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। কেননা এটি আপনার নিকট ঈশ্বর প্রদত্ত খাবার মাত্র, তাই ঈশ্বরের ধন্যবাদ পূর্বক তা গ্রহন করুন।Like
bottom of page