top of page
Search

মোশীর সদৃশ ভাববাদী কে? যীশু খ্রীষ্ট নাকি অন্য কেউ? জানতে চাই?


প্রিয়পাঠক, মোশীর সদৃশ বা মোশীর মত এই বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে।কারণ, যখন আমরা কোন সাদৃশ্যতা খুঁজি তখন আমারা অনেক কিছুর মিল খুঁজি। ভাববাদী মোশীর সদৃশ একমাত্র প্রভু যীশুর সাথে মিলে যায়। আজ আমরা তা বিস্তারিত আলোচনা করবো। পবিত্র বাইবেল আমাদের পরিস্কার করে বলে যে, প্রভু যীশুই সেই মোশীর সদৃশ ভাববাদী । কেননা তিনি বলেছেন , “কারন যদি তোমারা মোশীকে বিশ্বাস করিতে তবে আমাকেও বিশ্বাস করতে কেননা আমারই বিষয়ে তিনি লিখেছেন” দেখুন - যোহন ৫: ৪৬ পদ । যীশুর প্রথম শিষ্যরা এর আগে স্বাক্ষী দিয়েছিলেন “ মোশির ব্যবস্থায় ও ভাববাদীগন যাহার কথা লিখিয়াছেন । আমরা তাহার দেখা পাইয়াছি” দেখুন - যোহন ১: ৪৬ পদ । যীশুর পুনরুথান ও স্বর্গারোহোন পরে যীশুর শিষ্য পিতর নিশ্চিত করে ছিলেন দেখুন - দ্বিতীয় বিবরন ১৮ : ১৮ পদ । মোশীর সদৃশ ভাববানীর পূনর্তা যীশুর মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে - দেখুন প্রেরিত ৩: ১৯ -২৬ পদ । প্রথম সাক্ষ্যমর স্তিফানের মৃত্যুর পূর্বে এক উপদেশে দ্বিতীয় বিবরন ১৮ : ১৮ পদ উল্লেখ করে প্রমাণ করেছিলেন প্রভু যীশু সেই ভাববাদী যেখানে মোশীর ভাববানীর পূর্নতা পেয়েছে - দেখুন প্রেরিত ৭: ৩৮-৫২ পদ। অনেক যিহুদীরা স্বাক্ষ্য দিয়ে ছিল "ইনি সত্যিই সেই ভাববাদী দেখুন যোহন ৭: ৪০ পদ ।


প্রভু যীশুর স্বাক্ষ্য অনুসারে সমস্ত পূরাতন নিয়মেই যীশুর বিষয়ে স্বাক্ষ্য দেয়, “ পরে তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন, তোমাদের সঙ্গে থাকিতে থাকিতে আমি তোমাদিগকে যাহা বলিয়াছিলাম, আমার সেই বাক্য এই, মোশির ব্যবস্থায় ও ভাববাদিগণের গ্রন্থে এবং গীতসংহিতায় আমার বিষয়ে যাহা যাহা লিখিত আছে, সেই সকল অবশ্য পূর্ণ হইবে।” দেখুন লূক ২:৪৪ পদ।


এখন ভাববাদী মোশি ও প্রভু যীশুর সাদৃশ্যেতার বিষয়ে আলোচনা করব :

ভাববাদী মোশীর জীবন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যিনি মোশীর মত ভাববাদী হবেন তাঁকে তিনটি বিষয়ের প্রমাণ দিতে হবে- দ্বিতীয় বিবরন ১৮ : ১৮-১৯ পদ।

ক. সেই ভাববাদী পিতা ঈশ্বরের মুখের বাণী বলবেন: যীশু বলেছেন তিনিই পিতা ঈশ্বরের বাক্য বলেন; যা তিনি পিতা ঈশ্বরের কাছ থেকে সরাসরি শুনেন - দেখুন যোহন ৭: ১৬ -১৭ এবং যোহন ৮:২৮ পদ ।

খ. সেই ভাববাদী ঈশ্বরের সাথে মুখোমুখি কথা বলবেন: ঈশ্বরের সাথে সরাসরি কথা বলেন যেমন যীশু পিতা ঈশ্বরের সাথে সরাসরি কথা বলেন - যোহন ১: ১৮ ; ১৭: ৫ ; মথি ১৭: ৫ পদ ।

গ. সেই ভাববাদী আশ্চর্য কাজ চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষন সাধন করবেন: অলৌকিক ও চিহ্ন কাজ করবেন মোশী যেমন সাধন করে ছিলেন। যীশু ব্যক্তিগত ভাবে অনেক আশ্চর্য কাজ বা চিহ্ন করে ছিলেন মথি, মার্ক, লূক ও যোহন সুসামাচার তার বিবরণ দেয়।


বাইবেল আমাদের ভাববাদী মোশী ও যীশুর মধ্যে যে মিল আছে তা দিয়েছেন তা সংক্ষেপে নিচে আলোচনা করা হয়েছে:-

১। মোশি তাঁর জাতি ইসরাইলকে ফৌরনের দাসত্ব থেকে মুক্ত করেছিলেন । তদ্রূপ যীশু ও তাঁর প্রজাদের শয়তান ও পাপের দাসত্ব থেকে মুক্তির জন্য কালভেরি ক্রুশে জীবন দানের মধ্যে তা অর্জন করেছেন ।

২। মোশি ফৌরনের রাজপ্রসাদ থেকে দাসের মত হয়েছিলেন যেন বন্দিদের মুক্তি দিতে পারেন । যীশুও তাই করলেন তিনি স্বর্গ ছেড়ে দাসের মতো হলেন - যাত্রা ২ তুলনীয় ফিলিপীয় ২: ৪-১১ পদ।

৩। মোশি নিজ জাতি দ্বারা অগ্রাহ্যকৃত হয়েছিলেন । তদ্রূপ যীশু নিজেও যিহুদীদের দ্বারা অগ্রাহ্যকৃত হয়েছেন।

৪। মোশি পরজাতীয়দের কাছে গেলেন এবং পরিবার পেলেন। তদ্রূপ যীশু খ্রীষ্ট নিজে ইসরাইল ত্যাগ করলেন যেন পরজাতীরা ঈশ্বরের পরিবারের সদস্য হতে পারে ।

৫। মোশী ইসরাইল জাতির কাছে ৪০ বছর পরে পুনরায় গিয়েছিলন যেন তারা মুক্ত হতে পারে এবং প্রতি শ্রুত দেশে যেতে পারেন । তদ্রূপ যীশু ও আবার আসবেন তাঁর প্রজাদের স্বর্গে নেওয়ার জন্য ১ থি:৪: ১৩-১৭।

৬। মোশির ইতিহাস ছিল যীশুর ইতিহাসের পূর্বছায়া ।

৭। মোশি ইসরাইল জাতির সাথে ঈশ্বরের নিয়মের মধ্যস্থতা ছিলেন । যীশু খ্রীষ্ট তদ্রূপ নতুন নিয়মের মধ্যস্থতা কারী।

৮। মোশী ছিলেন ঈশ্বরের বাটির বিশ্বাস্থ দাস এবং প্রভু যীশু পিতা ঈশ্বরের বাটির বিশ্বাস্থ পুত্র -ইব্রীয ৩: ৩ পদ ।

৯। ঈশ্বরের অলৌকিক কাজের মধ্যে দিয়ে পাথর থেকে জল বের করে ছিলেন তদ্রূপ যীশু আত্মিক জীবন জল দান করেন (যোহন ৭ : ৩৭---৩৮) পদ ।

১০। মোশি সিনয় পর্বতে ইসরাইলের ব্যবস্থা দান করেন । তদ্রূপ প্রভু যীশু খ্রীষ্ট নতুন নিয়মের পূণতা সব জাতির জন্য দান করেন ( মথি ৫--৭অধ্যায়) ।

১১। নিজ জীবন বিনিময়ে ইসরাইল জাতি কে রক্ষা করার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন ( যাত্রা ৩২: ৩১--৩২) । যীশু নিজের ইচ্ছায় তাঁর প্রজাদের জন্য মৃত্যু বরন করে ছিলেন । পুনরুত্থিত হয়েছেন যেন মুক্তির মূল্য পরিশোধ করতে পারেন ( রোমীয ৪:২৫) ।

১২। মোশির অনুসারীরা তার উপর রাগ করে ছিলেন । যখন অন্য লোকেরা চিহ্ন কায্য দেখে ছিল । যীশুর শিষ্যদের তদ্রূপ ( গননা ১১: ২৬--২৯) পদ , মার্ক ৯: ৩৮--৪০) ।

১৩। মোশির মৃত্যুর পরে একজন স্বর্গদূত মোশীর দেহ পাহারা দিয়ে ছিলেন তদ্রূপ যীশুর মৃত্যুর পরে তাঁর কবরে কমপক্ষে দুই জন স্বর্গ দূত পাহারা রত ছিল ।

১৪। মোশির কাছে ঈশ্বরের পবিত্র নাম অর্থাৎ নিয়মের নাম প্রকাশ করে ছিলেন - যাত্রা ৩: ১৩--১৫ পদ । তদ্রূপ যীশুর ক্ষেত্রে বিশেষ নাম দেওয়া হয়েছে; ফিলিপীয় ২: ৫-১১ পদ ।

১৫। মোশীর বাক্যে কাযকারী ছিলেন প্রেরিত ৭: ২২ পদ । তদ্রূপ যীশু আরও বেশি কার্যকর ছিলেন - মথি ৭: ২৮-২৯; এবং ৮: ৩--১৩ পদ ।

১৬। মোশি বার জন গুপ্তচর পাঠিয়ে ছিলেন গোপনে কনান দেশে পরিভ্রমণ করাব জন্য । অন্য দিকে প্রভু যীশু বার জন শিষ্য কে একই দেশে পাঠিয়ে ছিলেন ।। খোলাখুলি ভাবে যেন তারা অনুতাপের বানি প্রচার করতে পারে ও মন্দ আত্মা দূর করতে পারেন - মার্ক ৬: ৬--১৩ পদ ।

১৭। পবিত্র সমাগম তাম্বুর যেখানে ঈশ্বর মিলিত হতেন কাজে মোশী জরিত ছিলন - যাত্রা ২৫--৪০ তদ্রূপ যীশু ও স্বগ দূতের অহস্ত কৃত সমাজ তাম্বুর সাথে জড়িত ।

১৮। মোশি ছিলেন নম্র, গননা ১২ :৩ যীশু ছিলেনও তাই দেখুন মথি ১১: ২৮--৩০।

১৯। মোশি হারুনের মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরের আশীর্বাদ দিয়ে ছিলেন, গননা ৬: ২২-২৭। যীশু পিতা ঈশ্বরের কাছ থেকে আশীর্বাদ দান করেন, মথি ৫: ১-১২ তিনি নিদর্শনা দিয়েছিলেন যেন তার অনুসারী রা অন্যদের আশীর্বাদ করেন, লূক ৬: ৭-১১।

২০। মোশির বিরোধী ফৌরনের হৃদয় কঠিন ছিল, যাত্রা ৭: ৩ যীশুর বিরোধীদের বিশেষ করে যিহুদীদের হৃদয় কঠিন ছিল । কারন তিনি বিশ্রাম বারের দিনে সুস্থ করে ছিলেন, লূক ৬: ৭-১১ পদ।

২১। মোশির ব্যবস্থা অবাধ্য হলে কঠিন শাস্তি এমন কি মৃত্যু দন্ড ছিল । যীশুর রক্তের নিয়মের ব্যবস্থা অগ্রাহ্য যে করবে তাদেরও চরম শাস্তি রয়েছে, ইব্রীয ১০: ২৮-৩১ পদ ।

২২। ৭০ জন প্রবীণদের সাথে মোশি কথা বলেছিলেন, যাত্রা ২৪: ১ যীশুও ৭০ জন প্রাচীনের সাথে কথা বলে ছিলেন মহাসভায়, লূক ২২: ৭০-৭১পদ ।

২৩। মোশি নিস্তার পর্বের মেষ বলির মধ্যে দিয়ে মুক্তির মূল্যের ব্যবস্থা করেছেন, যাত্রা ২৪: ১-৮ পদ । যীশু তার রক্তের দ্বারা নতুন নিয়মের মুদ্রাংকা করেন, ইব্রীয় ৯ : ১৮-২৮ পদ।

২৪। মোশি নিয়ম সিন্ধুকের দরজা পর্দা দ্বারা বন্ধ করেন । কিন্তুু খ্রীষ্ট যীশু তাঁর মৃত্যু দ্বারা মন্দিরের পর্দা ছিড়ে দিয়ে ছিলেন যেন সবাই প্রবেশ করতে পারে, মথি ২৭: ১৫ পদ ।

২৫। সমগৌত্রিও দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে ছিলেন, যাত্রা ১৭: ৪, যীশুও তদ্রূপ ,যোহন ৮: ৫৮ পদ।

২৬। শিশু থাকতে মোশি যেমন অদ্ভুত অভিজ্ঞতা যেমনঃ তাকে নলখাগড়া দিয়ে বানিয়ে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল । যীশুর জম্ম ও অদ্ভুত পশুর যাব পাত্রে থাকতে হয়েছিল ।

২৭। মোশি পালিত হয়েছিল রাজকন্যা দ্বারা (যাত্রা ২ )।যীশুর মা রাজা দাযূদের বংশের কন্যা ছিল (লূক ৩) ।

২৮। মোশি ফরৌনের বাড়ীতে বড় হয়েছিলেন যেখানে তিনি দত্তক হিসাবে নীত হন তদ্রুপ যীশু যোসেব নামে পালক পিতার ঘরে বড় হয়েছিলেন, যাত্রা : ২ তুলনীয় মথি-১:১৮ ও ২৫ এবং প্রেরিত ৭:২০-২১ পদ।

২৯। মন্দতার শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ছিলেন, যাত্রা ৫-১২ অধ্যায় যীশু তদ্রূপ মন্দ আত্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন মথি ৪:১-১০ পদ।

৩০। সবচেয়ে বড় পদ ছেড়ে দিলেন যেন তাঁর লোকদের সাথে কষ্ট করতে পারেন, যাত্রা ২-১২ ; ইব্রীয় ১১:২৩-২৭ পদ। যীশুও স্বর্গের র্সবোচ্চ পদ ছেড়ে দিয়ে পৃথিবীতে এলেন যেন তার লোকদের জন্য দুঃখ ভোগ করতে পারেন ও দেনার মুল্য পরিশোধ করতে পারেন। ফিলি ২: ৫-৮ পদ।

৩১। ঈশ্বরের মুখের কথা বলেছেন, দ্বি:বি:১৮:১৯ যীশু পিতা ঈশ্বরের কতৃত্বের অধীনে কথা বলেছেন( যোহন ৮:৪২-ও ১৭:৪-৫ পদ।

৩২। হাজার হাজার লোকের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন যাত্রা ১৬ যীশু ও তদ্রুপ যদি ১৪ ও ১৫ পদ।

৩৩। আইনের যুগের আরম্ভ করেন , যাত্রা ১:১৭ যীশু অনুগ্রহ সত্য যোগের সূচনা করেন ( যোহন ১ :১৭ পদ ।

৩৪। মোশি স্মরনীয় উৎসব করেন = নিস্তার পর্ব যাত্রা-১২ যীশু স্মরনীয় ভোজ বা প্রভুর ভোজ স্হাপন করেন লূক-২২:১৯-২০ পদ।

৩৫। মোশি ঈশ্বর কর্তৃক আজ্ঞা কৃত কাজ সমাপ্ত করেন। ( যাত্রা ৩) যীশুও তাঁর মিসন সমাপ্ত করেছিলেন , যোহন ১৭:৪৩৭'১৯:৩০ পদ ।

৩৬। মোশির মৃত দেহের কবরের অবস্থান কেউ জানে না (দ্বিতীয় বিবরন ৩৪) । যীশুর কবর শূন্য কারন তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছেন ও স্বর্গে আরোহন করেছেন মার্ক -১৬:১৯ এবং লুক ২৪:৫০-৫৩ পদ।

৩৭। মোশির মৃত্যু পরে আবার প্রকাশিত হয়েছিল, মথি ১৭: ৩ পদ । যীশু মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে ৫০০ জনের বেশি লোকের কাছে দেখা দিয়েছিলেন, মথি ২৮ ; মাক ১৬ ; লূক ২৪ ; যোহন ২০ ও ৩১ ) ।

৩৮। নিজ পরিবার সদস্য দ্বারা অগ্রাহ্য হয়েছিলেন মোশি, গননা ১২ এবং যীশু তদ্রূপ, যোহন ৭ :৫ পদ।

৩৯। জাগতিক দাসত্ব থেকে মুক্ত করে মোশি ব্যবস্থা দিয়েছিলেন । যীশু ও তদ্রূপ তার প্রজাদের মুক্তকরে ভালবাসার ব্যবস্থা দিয়েছেন যেন পাপের দাসত্ব ও শয়তান থেকে মুক্ত করতে পারেন ।

৪০। মোশি এমন পরিস্থিতিতে জম্ম নিয়ে ছিলেন যখন ফরৌন কর্তৃক ইসরাইল জাতি অত্যাচারিত হচ্ছিল । কিন্তুু যীশু এমন সময় জম্ম নিলেন তখন রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে পৌওলিকতার অত্যাচার বিদ্যমান ছিল ।

৪১। মোশির জম্ম স্থান মিসরের লোকেরা ফৌরনকে ঈশ্বর হিসাবে আরাধনা করত । যীশু যখন জম্ম নিলেন রোম সম্রাটকে ঈশ্বর হিসাবে আরাধনা পেতেন।

৪২। এ রকম দেশে বড় হলেন ফৌরনের মনে করেছিলেন ইসরাইল জাতি বিদ্রোহ করবে তাই পুরুষ শিশুদের হত্যা করার আদেশ দিয়েছিলেন । যীশু জন্মের সময় হেরোদ শিশুদের হত্যা করার আজ্ঞা জারি করেছিলেন, মথি ২ পদ।

৪৩। জন্মের পর মোশি ক্ষুদ্র সময় জম্মস্থানে ছিল পরে নীল নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয় । পরে ফৌরনের কন্যা কাছে নিরাপদে থাকেন । তদ্রূপ নিরাপত্তার জন্য যীশুকে বৈৎলেহেম ছেড়ে মা ও পালক পিতার সাথে মিশরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় । যাত্রা ২: ১- ১০ ; প্রেরিত ৭: ২০; মথি ২:১৩-১৫ পদ।

৪৪। মোশি ফৌরনের রাজ পরিবারের দওক পুত্রের অধিকার পান । যীশু যোসেফের রাজকীয় বংশের আশ্রয়ে দওক পুত্র পান ( মথি ১: ১৮-২৫ ) ।

৪৫। মোশি রাজা হিসেবে স্বীকৃতি হতে চাননি (ইব্রীয় ১১: ২৬--২৯) । যীশুও ইসরায়েলীয়দে রাজা হতে চাননি (মথি ৪ :৮--১১) পদ ।

৪৬। মোশি মিসরে ছিলেন, তেমনি যীশু শিশু সময়ে মিসরে ছিলেন (মথি ২ : ১৩--২১) পদ ।

৪৭। মোশি মিশর থেকে বেরিয়ে এসে ছিলেন জীবন্ত ঈশ্বরের আরাধনা করার জন্য এবং ব্যবস্থাদাতা ও নেতা হওয়ার জন্য । যীশু মিসর থেকে প্যালেষ্টাইনে আসতে হয়েছিল যেন ব্যবস্থা দাতা ও নেতা হতে পারেন।

৪৮। ৪০ বছর মোশি মরুভুমিতে পরীক্ষিত হয়েছিলেন । যীশু নিজে ৪০ দিন মরুভুমিতে পরিক্ষিত হয়েছিলেন এবং প্রায় ৪০ মাস তিনি পরিচর্যা কাজ , আশ্চর্য কাজ ও শিক্ষা দান করেন ।

৪৯। মোশি ৪০ দিন উপাবাস করেন (যাত্রা ৩৪ :২৮) এবং যীশুও ৪০ দিন উপবাস থাকেন (মথি ৪: ২ ) ।

৫০। মোশি মেষ পালক ছিলেন কিন্তু যীশু নিজেও জীবনের মেষ পালক ছিলেন (যোহন ১০ : ১১--১৮) ।

৫১। মোশির ক্ষমতা সাক্ষ্য ছিল ঈশ্বরের মেঘ ও ঈশ্বরের রব, গননা পুস্তক ১১ : ২৪--২৫ পদ । যীশু কতৃক সাক্ষ্য ছিল ঈশ্বরের মেঘ ও তাঁর রব, মথি ১৭ : ২৪--২৫ পদ ।


পবিত্র বাইবেলে আরও প্রচুর প্রমাণ আছে যে, যীশু খ্রীষ্টই মোশীর সদৃশ ভাববাদী। এই পৃথিবীতে মোশীর সদৃশ্য যীশু ছাড়া আর অন্য কোন ভাববাদী নেই।

33 views0 comments
bottom of page