top of page
Search

বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের নিকট কিভাবে আমরা সুসমাচার প্রচার করতে পারি?


প্রিয়পাঠক, আজ অবশ্যই আমাদের এটি ভাবতে হবে যে, ঈশ্বরের মহান " পরিত্রাণের সুসমাচার " অবিশ্বাসীদের নিকট আমাদের প্রচার করতে হবে হবে। কেননা এটি প্রত্যেক খ্রীষ্ট বিশ্বাসী বর্গের স্বর্গীয় অফিসিয়াল দায়িত্ব।


আমরা প্রত্যেক খ্রীষ্টান বিশ্বাসী প্রতিদিন অফিস, আদালত, ব্যবসা - বানিজ্য,মার্কেট, হাসপাতালের নানা কাজে ব্যস্ত থাকি এবং প্রতিদিন অনেক লোকদের সাথে মেলামেশা করি, তাই নয় কি? কিন্তু সকল কাজের সাথে কি আমরা সুসমাচার প্রচার করি? কিভা‌বে থিষলীকিয় শহরের লোকেরা সুসমাচার পেয়েছিল? আসুন তা জানার জন্য আমরা ১ থিষলনীয় ১:৫ পদ পড়ি -  


‘‘কেননা আমাদের সুসমাচার তোমাদের কাছে কোন বাক্য নয়, কিন্তু শক্তিতে, ও পবিত্র আত্মায়, ও অতিশয় নিশ্চয়তায় উপস্থিত হইয়াছিল; তোমরা ত জান আমরা তোমাদের কাছে তোমাদের নিমিত্ত কি প্রকার লোক হইয়াছিলাম’’ (১ম থিষলনীকীয় ১:৫)।


এখানে পৌল এটাকে ‘‘আমাদের সুসমাচার’’ বলে অভিহিত করছেন কারণ এটা তার, এবং তার বন্ধু, সীলের দ্বারা প্রচারিত হয়েছিল। অন্য জায়গায় তিনি এটাকে ‘‘ঈশ্বরের সুসমাচার’’ (রোমীয় ১:১) এবং ‘‘খ্রীষ্টের সুসমাচার’’ (১ম থিষলনীকীয় ৩:২) বলেও অভিহিত করেছেন। থিষলনীয়দের কাছে সুসমাচার এসেছিল শক্তির সঙ্গে। ১ম করিন্থীয়তে পৌল বলেছেন,


‘‘আর আমার বাক্য ও আমার প্রচার জ্ঞানের প্ররোচক বাক্যযুক্ত ছিল না, বরং আত্মার ও পরাক্রমের প্রদর্শনযুক্ত ছিল’’ (১ম করিন্থীয় ২:৪)


আমি মনে করি, ‘‘প্রেরিতরা কোন মানুষের দান অথবা প্রণালী অথবা পরিকল্পনার উপর নির্ভরশীল ছিলেন না। এটি ছিল ‘‘পবিত্র আত্মার শক্তির প্রদর্শন’’। পরিত্রাণপ্রাপ্ত বিশ্বাসীদের জীবন পরিবর্তনের সাক্ষ্য। কেননা প্রত্যেক পাপি পরিত্রাণ লাভের জন্য, নিজের চেষ্টা ও সৎকর্ম করছেন। তারা ঈশ্বরের পরিত্রাণের সুসমাচার জানে না কিন্তু ঈশ্বরের মহা আসির্বাদে আমাদের নিকট সুসমাচার প্রকাশিত হয়েছেন। আমরা পরিত্রাণের সুসমাচার জানি, তাই নয় কি?


থিষলনীকীয় শহরের লোকেরা জাগতিক অর্থের প্রলোভনে, অর্থনৈতিক ধনী হওয়ার জন্য, বাইবেলের শিক্ষা গ্রহন করতে চলে আসেন নি! এটি সুসমাচার প্রচারের পথ নয়। এটি সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারের একটি প্রতিবন্ধকতা। যেমন আমাদের দেশের সুসমাচার প্রচার প্রজেক্টগুলো। তারা সুসমাচার প্রচারের কথা বলে, কিন্তু সুসমাচার প্রচার করে কি? আমাদের প্রয়োজন আছে সেই পবিত্র আত্মার উপরে নির্ভর করার, আধুনিক প্রতারণাপূর্ণ কৌশলের উপরে নির্ভর করার নয়! পবিত্র আত্মার শক্তির সঙ্গে থিষলনীকীয় শহরের সমস্ত লোকদের প্রতি প্রচার করা হয়েছিল এবং তারপরে তারা গভীরভাবে উদ্ধারপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।


কিভাবে পরিত্রাণ পাবেন সেটা আমি আপনাদের শেখাতে  পারি না। সেই কারণে আমরা ক্রমাগতভাবে ঈশ্বরের উপস্থিতির জন্যে, এবং পবিত্র আত্মার অবস্থানের জন্যে প্রার্থনা করে থাকি। একমাত্র তিনিই পারেন আপনার সামনে এই সত্যকে উন্মোচিত করতে এবং আপনাকে খ্রীষ্টের প্রতি আকর্ষণ করতে। পবিত্র আত্মার প্রচারের দ্বারাই এই সমস্ত লোকেরা পরিত্রাণ পেয়েছিলেন, বেশির ভাগ পুলপিটে আমরা আজকের দিনে যেমন ধূলিকণার মতন শুকনো বাইবেল শিক্ষা পাই তার দ্বারা নয়! এখানে এই বাংলাদেশে আজ বাক্যের দূর্ভিক্ষ লেগে গেছে কারণ আমাদের প্রচারে সেইরকম ঈশ্বরের আত্মার শক্তি নাই, যেমন তাদের প্রচারে ছিল।


পবিত্র আত্মার শক্তিতে সুসমাচার প্রচার কেবল পারে, এই বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের সামনে ক্রুশে হত ও পুনুরুন্থিত খ্রীষ্টকে পরিত্রাতারুপে ঘোষণা করতে, তাদের জীবন পরিবর্তন করতে, এবং তাদের খ্রীষ্টের কাছে আনতে, তাই নয় কি?


আমাদের অর্থলোভজনিত, স্বার্থন্বেষী, মন্দ পরিকল্পনার দ্বারা সুসমাচার প্রচারিত হবে না। এতে কিছু ব্যক্তি অর্থনৈতিক দ্বৈনদশা থেকে পরিত্রাণ হয়তো পেলেও পেতে পারে কিন্তু পাপে পরিত্রাণের সুগন্ধির ঘাণও কখনোই পাপে না। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন প্রয়োজন, ঈশ্বরের আত্মার পরিচালনা ও শক্তির প্রয়োজন, ঈশ্বরের উপর নির্ভরতার প্রয়োজন। কেননা তিনিই এই সুসমাচার প্রচারের কেন্দে রয়েছেন। সুতরাং ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল হওয়া ছাড়া আমরা কোন ভাবেই সুসমাচার প্রচারে সফল হতে পারি না।


"অতএব তোমরা ভাল করিয়া দেখ, কিরূপে চলিতেছ; অজ্ঞানের ন্যায় না চলিয়া জ্ঞানবানের ন্যায় চল। সুযোগ কিনিয়া লও, কেননা এই কাল মন্দ। এই কারণ নির্বোধ হইও না, কিন্তু প্রভুর ইচ্ছা কি, তাহা বুঝ। আর দ্রাক্ষারসে মত্ত হইও না, তাহাতে নষ্টামি আছে; কিন্তু আত্মাতে পরিপূর্ণ হও; গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তনে পরস্পর আলাপ কর; আপন আপন অন্তঃকরণে প্রভুর উদ্দেশে গান ও বাদ্য কর; সর্বদা সর্ববিষয়ের নিমিত্ত আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ কর; খ্রীষ্টের ভয়ে একজন অন্য জনের বশীভূত হও।" (ইফি ৫:১৫-২১)


74 views0 comments
bottom of page