top of page
Search

বিকৃত সুসমাচার প্রচার কিভাবে ভ্রান্ত শিক্ষার জন্ম দেয় তা উপলব্ধি করুন!


প্রভু যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে শিষ্যদের শতর্ক করে বলেছিলেন -

মথি ২৪:২৪ কেননা ভাক্ত খ্রীষ্টেরা ও ভাক্ত ভাববাদীরা উঠিবে, এবং এমন মহৎ মহৎ চিহ্ন ও অদ্ভুত অদ্ভুত লক্ষণ দেখাইবে যে, যদি হইতে পারে, তবে মনোনীতদিগকেও ভুলাইবে।


প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দাস প্রেরিত পৌল গালাতীয় মন্ডলীকে শতর্ক করে বলেছিলেন বলেছিলেন -

গালা ১:৬-৯ পদ ,আমার আশ্চর্য্য বোধ হইতেছে যে, খ্রীষ্টের অনুগ্রহে যিনি তোমাদিগকে আহ্বান করিয়াছেন, তোমরা এত শীঘ্র তাঁহা হইতে অন্যবিধ সুসমাচারের দিকে ফিরিয়া যাইতেছ। তাহা আর কোন সুসমাচার নয়; কেবল এমন কতকগুলি লোক আছে, যাহারা তোমাদিগকে অস্থির করে, এবং খ্রীষ্টের সুসমাচার বিকৃত করিতে চায়।কিন্তু আমরা তোমাদের নিকটে যে সুসমাচার প্রচার করিয়াছি, তাহা ছাড়া অন্য সুসমাচার যদি কেহ প্রচার করে —আমরাই করি, কিম্বা স্বর্গ হইতে আগত কোন দূতই করুক—তবে সে শাপগ্রস্ত হউক। আমরা পূর্ব্বে যেরূপ বলিয়াছি, তদ্রূপ আমি এখন আবার বলিতেছি, তোমরা যাহা গ্রহণ করিয়াছ, তাহা ছাড়া আর কোন সুসমাচার যদি কেহ তোমাদের নিকটে প্রচার করে, তবে সে শাপগ্রস্ত হউক।


সুসমাচার অর্থ হচ্ছে, ঈশ্বর অনুগ্রহপূর্বক আমাদের পরিত্রাণের জন্য যীশু খ্রীষ্টের দ্বারা যা কিছু করেছেন তাহাই সুসমাচার। এই সুসমাচার তখনই বিকৃত হয়, যখন আমরা নিজেদের স্বার্থে পরিত্রাণের জন্য কিছু যোগ করে তা লোকদের নিকট প্রচার করি এবং এটি প্রসার লাভ করে।


যীশু পরিস্কারভাবে লোকদের শতর্ক করেছেন, এবং বলেছেন অনন্তজীবনের জন্য খ্রীষ্টের পিছনে শ্রম কর, কেননা তিনিই অনন্তজীবন দিবেন, অনন্তজীবন দেওয়া এটি খ্রীষ্টের কাজ।


যোহন ৬:২৭ নশ্বর ভক্ষ্যের নিমিত্ত শ্রম করিও না, কিন্তু সেই ভক্ষ্যের জন্য শ্রম কর, যাহা অনন্ত জীবন পর্য্যন্ত থাকে, যাহা মনুষ্যপুত্র তোমাদিগকে দিবেন, কেননা পিতা —ঈশ্বর—তাঁহাকেই মুদ্রাঙ্কিত করিয়াছেন।


#নীতিঃ পরিত্রাণের জন্য যীশু ঈশ্বর থেকে মনোনিত সুতরাং পরিত্রাণ পেতে হলে যীশুর নিকট আসতে হবে এর বিকল্প নেই।


#স্বর্গঃ স্বর্গ প্রস্তুত এটি যীশুর কাজ কোন ব্যক্তির নয় -

যোহন ১৪:২-৩ আমার পিতার বাটীতে অনেক বাসস্থান আছে, যদি না থাকিত, তোমাদিগকে বলিতাম; কেননা আমি তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করিতে যাইতেছি। আর আমি যখন যাই ও তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করি, তখন পুনর্ব্বার আসিব, এবং আমার নিকটে তোমাদিগকে লইয়া যাইব; যেন, আমি যেখানে থাকি, তোমরাও সেই খানে থাক।


#নীতিঃ কোন পাপি ব্যক্তি নিজ সৎকর্ম দিয়ে স্বর্গে স্থান প্রস্তুত করতে পারে না কারণ সে পাপি।


#মূলবক্তব্যঃ পৌল একজন যীশুর শিষ্য ও প্রেরিত, যিনি ছিলেন এই সুসমাচারের প্রধান প্রচারক, কারণ তিনি পরজাতিদের নিকট সুসমাচার তুলে ধরেছিলেন। রোমীয় পুস্তকে পৌল শুধুমাত্র সুসমাচারকেই প্রচার করেন নি, বরং তিনি সুসমাচারের মূল সত্তাটিকেই তুলে আনেন যখন তিনি বলেন যে এই সুসমাচার হচ্ছে ঈশ্বরের শক্তি ও দয়ার দান যা দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র বিশ্বাসের ভিত্তিতে ইহুদী ও অ - ইহুদী সবাইকে পরিত্রাণ দেবার জন্য এবং এটি এমন একটি শক্তি ও ঈশ্বরের দান যার মধ্য দিয়ে আমাদের পরিত্রাণ পেতে হবে বিষয়ে ঈশ্বরের সত্যতা পাওয়া যায়।

রোমীয় ১:১৬-১৭ কেননা আমি সুসমাচার সম্বন্ধে লজ্জিত নহি; কারণ উহা প্রত্যেক বিশ্বাসীর পক্ষে পরিত্রাণার্থে ঈশ্বরের শক্তি; প্রথমতঃ যিহূদীর পক্ষে, আর গ্রীকেরও পক্ষে। কারণ ঈশ্বর-দেয় এক ধার্ম্মিকতা সুসমাচারে প্রকাশিত হইতেছে, তাহা বিশ্বাসমূলক ও বিশ্বাসজনক, যেমন লেখা আছে, “কিন্তু ধার্ম্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে।


ষোড়শ শতাব্দীতে ইউরোপে, মার্টিন লুথার, যিনি ছিলেন সংস্কারবাদীদের জনক, তিনি বলেছিলেন যে, সুসমাচার যুক্তিগ্রাহ্য কাজের মাধ্যমে পরিত্রাণ পাওয়া যায় এই মতবাদ হচ্ছে সেই শর্ত যার উপরে চার্চ টিকে থাকে অথবা ধ্বংস হয়ে যায়।


এখন প্রশ্ন হচ্ছে যুক্তিগ্রাহ্যতা কি?


#উত্তরঃ যুক্তিগ্রাহ্যতা হচ্ছে ঈশ্বরের স্বাধীন দয়ার একক অনুগ্রহ যার মাধ্যমে তিনি আমাদের সকল পাপ ক্ষমা করেন, এবং আমাদেরকে তাঁর দৃষ্টিতে সৎকর্মশীল হিসাবে গ্রহণ করেন, কেবলমাত্র সেই সৎকর্ম যা যীশু খ্রীষ্ট আমাদের উপর আরোপ করেছেন এবং যা শুধুমাত্র বিশ্বাস দ্বারাই অর্জন করা যায়।


অতএব পরিত্রাণ শুধু বিশ্বাস দিয়ে যীশুতে পাওয়া যায়।


দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বিগত সতাব্দীগুলোতে খাঁটি সুসমাচারের প্রচার কার্য থেকে চার্চ বার বার বিচ্যুত হয়েছে। আমাদের পাপময় স্বভাব দ্বারা আমরা আমাদের মনগড়া সৎকর্মের দ্বারা যীশুর সৎকর্মের সাথে যোগ করে দিয়ে আমাদের প্রতি ঈশ্বরের গ্রহনযোগ্যতার মিথ্যা ভিত রচনা করেছি। এটি হচ্ছে সেই আদি বিধানের বিরুদ্ধাচরণ যার বিরুদ্ধে যীশু খ্রীষ্ট নিজে এবং তাঁর শিষ্যগন দীর্ঘকাল ধরে কঠিন ধর্মতাত্ত্বিক যুদ্ধ করেছেন। এই বিরুদ্ধাচরণ হচ্ছে সেই বিরুদ্ধাচরণ যার উৎপত্তি আমাদের পাপ স্বভাবের মধ্যে নিহিত রয়েছে। এই কারণে প্রতিটি মানব রচিত ধর্ম মূলত এই শিক্ষা দেয়, -

" সৎকর্ম কর এবং বেঁচে থাক "


হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম, ও ইসলাম ধর্ম এমন কি নাস্তিক ধর্মও একই কথা বলে, তাদের সবার ক্ষেত্রেই এ কথা সত্য। এই ধরনের মিথ্যা মতবাদগুলো মানুষকে এই শিক্ষা দেয় যে, মানুষ সৎকর্মের দ্বারাই নিজেকে রক্ষা করে। সর্বশেষে, তাই মানুষ ত্রানকর্তা যীশু খ্রীষ্টকে বাদ দিয়ে নিজের চেষ্টায় দম্ভ করে!

রেফারেন্সঃ রোমীয় ৩:২১-২৬, ১ করি ১:২৫-৩১,২ করি ৪:১-৬, ৫:১৭-২১, গালা ২:১৬-২১, ইফি ২:৪-১০, ফিলি ৩:২-১১, কল ২:১৩-১৫, তীত ৩:৪-৮


#মূল_বিবেচ্যঃ চার্চের ভিত রচিত হয়েছে শিষ্যগনের সাক্ষ্যের উপর এবং বিশেষত, শিষ্যদের সুসমাচারের সাক্ষ্য দ্বারা। শুধুমাত্র শিষ্যগনের সুসমাচার অনুযায়ী আমরা কতটুকু প্রচার করি ও শিক্ষা দেই যে ঈশ্বরের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্যতা আমরা পেতে পারি, যার উল্লেখ রয়েছে প্রেরিত গনের সুসমাচারে। শুধুমাত্র ঈশ্বরের দয়ায়, কেবলমাত্র বিশ্বাসের দ্বারা এবং শুধুমাত্র যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে - আমরা ততটুকুই খাঁটি চার্চের সদস্য প্রমাণিত হব।


এই হচ্ছে সেই শর্ত ও বৈশিষ্ট্য যার উপর বিশ্বজনীন চার্চ এবং আমাদের একক চার্চ গুলো টিকতে পারে কিংবা ধ্বংস হয়ে যায়। আকার নয়, ক্ষমতা নয়, মান - সম্মান নয়, বরং শুধুমাত্র প্রেরিতগনের সুসমাচার চার্চকে জীবন দিতে, আকার দিতে ও বাড়িতে তুলতে পারে।

প্রেরিত ৪:১২ আর অন্য কাহারও কাছে পরিত্রাণ নাই; কেননা আকাশের নীচে মনুষ্যদের মধ্যে দত্ত এমন আর কোন নাম নাই, যে নামে আমাদিগকে পরিত্রাণ পাইতে হইবে।

43 views0 comments
bottom of page