top of page
Search

পবিত্র বাইবেলে প্রতিমা এবং সাধু পূজা নিষিদ্ধ!


অনেকে ঈশ্বরের সুস্পষ্ট বাক্যের শিক্ষা এড়াবার চেষ্টায় এমন দাবি করে যে, পুরাতন নিয়মে মূর্তিপূজা নিষিদ্ধ হলেও এখন অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তারা দাবি করে যে, আমরা এখন আর পুরাতন নিয়মের সময়ে নেই, আমরা নতুন নিয়মের অধীন। এই যুক্তির মারাত্মক দুর্বলতা এই যে এটা সত্য নয়। নতুন নিয়মে মূর্তি সম্বন্ধে অনেক কথা লিপিবদ্ধ আছে যা সব সময়ই মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে। ঠিক যেমন আছে পুরাতন নিয়মে। নতুন নিয়মের গোড়ার দিকে একটি অংশে ১করিন্থীয় ১০:১৪ পদে লেখা রয়েছে, “ . . . হে আমার প্রিয়জনেরা, প্রতিমা-পুজা এড়িয়ে চল” এই আলোচ্য বিষয়টি নতুন নিয়মের সর্বত্রই আছে। এমনকি, নতুন নিয়মের শেষের দিকে পুস্তক ১যোহন ৫:২১ পদে লেখা আছে; যেখানে বলা হয়েছে, “বৎস, তোমরা অলীক দেবতাগুলো থেকে দূরে থাক।”


যে পদগুলো উল্লেখ করা হলো তা ছাড়াও এ বিষয়ে উল্লেখ করার মতো আরো অনেক পদ আছে, কিন্তু সেগুলো আমরা নিজেরাই দেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছি। আপনি দেখবেন যে, নতুন নিয়মের প্রায় সর্বত্রই মূর্তিপূজা করা নিষিদ্ধ। যেমন ১করিন্থীয় ৬:৯; ১০:৭; ১২:২ পদ; প্রেরিত ৭:৩৯-৪২; ১৭:১৬, ২৯ পদ; রোমীয় ১:২৩ পদ; ১পিতর ৪:৩ পদ; প্রকাশিত বাক্য ২:১৪; ৯:২০; ২১:৮; ২২:১৫ পদ ইত্যাদি।


মণ্ডলীতে প্রতিমা উপাসনার ইতিহাস


প্রথম শতাব্দীর মণ্ডলীগুলোতে প্রতিমার ব্যবহার ছিল না (মাছ প্রতীক ছাড়া অন্যান্য যা চিহ্নরূপে ব্যবহৃত হতো, মূর্তিরূপে নয়)। প্রায় তৃতীয় শতাব্দীর শেষভাগে মণ্ডলীতে প্রথম মূর্তি সুন্দর অলঙ্কাররূপে প্রবেশ করে। ৪০০ খ্রীষ্টাব্দে নির্দেশ সংক্রান্ত উদ্দেশ্যেও সেগুলো ব্যবহৃত হয়েছে এবং পরবর্তী শতাব্দীগুলোতে মূর্তিগুলোকে পবিত্র বলে সম্মান করা হয়। সেগুলো ৭৪৭ খ্রীষ্টাব্দে নিসিয়া কাউন্সিলে এবং পরে ১৫৬২ খ্রীষ্টাব্দে ট্রেণ্ট দ্বারা রোমীয় মণ্ডলীতে শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য গ্রহণ করা হয়।


কাথলিক প্রথা অনুযায়ী যখন কোনো ব্যক্তি প্রার্থনা করেন বা কোনো মূর্তির উপাসনা করেন, তখন তিনি সাধুর উপাসনা করেন। এই ব্যাখ্যায় এই দল দ্বিমত পোষণ করতে পারে কিন্তু মূর্তির নিকট প্রার্থনা কখনো যথাযথ ন্যায্যতা প্রতিপাদন করে না। কারণ ঈশ্বর সেরকম করতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। কাথলিক মণ্ডলীর বিশিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তি এ বিষয়টি বুঝেছেন। ২৩তম পোপ জন পল এর সংস্কার সাধনের কাজ শুরু করলে, অনেক মূর্তি মণ্ডলীগুলো থেকে বের করা হয়। পোপ জন এবং আরও কয়েকজন পোপ তার অনুসরণ করেছিলেন তারাও মণ্ডলীতে অন্যান্য পৌত্তলিক কাজের অনুশীলন বন্ধ করেছিলেন। একটি মূর্তি নিয়ে মিছিল বা প্রসেসন করা তার প্রমাণ বহন করে।


প্রশ্ন মূর্তিগুলো কাদের?


অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে মূর্তিগুলোর প্রতি ছবির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়, প্রকৃতপক্ষে সেগুলো সাধুদের মূর্তি নয় কারণ তাদের জীবনকালে ক্যামেরা ছিল না। আর তাদের অনেকেই ছবি আঁকাবার জন্য বা মূর্তি করার জন্য শিল্পীর সামনে বসে থাকেননি। এর সুস্পষ্ট বিষয় এই যে, মূর্তিগুলো হলো মডেলদের, শিল্পীরা যাদের ভাড়া করে আনতো। অনেক শিল্পী ধর্মীয় এবং ধর্মহীন শিল্পকর্মে একই মডেল ব্যবহার করতো। কখনো কখনো শিল্পকর্মের বিষয়বস্তু ছিল খুব ধার্মিক ব্যক্তিদের প্রতিকৃতি। আবার কখনো কখনো সেরকম ছিল না। অন্যান্য ঘটনায় শিল্পীদের ধ্যান চিন্তায় একজন সাধু ব্যক্তির চেহারা দেখতে কেমন হতে পারে মনে মনে স্থির করে নেন। তাদের শিল্পকর্মে তারা তা-ই রূপায়িত করেন। এটা সুস্পষ্ট হয়, যখন একজন অনেক মাতৃমূর্তির “Madonnas” সাধারণ বিবর্ণ মুখের চেহারা স্মরণ করেন, পরে বিখ্যাত কালো ম্যাডোনাকে স্মরণ করেন খ্রীষ্টমাতা মেরী হিসাবে।


লোকেরা সাধারণত কার কাছে প্রার্থনা করে, সে বিষয়ে একজন মহিলা চমৎকার একটি শিক্ষা পেয়েছিলেন। প্রকৃতপক্ষে যে মূর্তিগুলোর সামনে প্রার্থনা করা হয়, তা প্রায়ই ক্ষেত্রে সাধুদের মূর্তি নয়। একদিন এই মহিলা যখন তার কুকুর সঙ্গে নিয়ে একটি স্টুডিওর সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন স্টুডিওর শিল্পী দোকান থেকে বের হয়ে মহিলাটিকে বললেন, ‘আমি কি আপনার কুকুরের লেজ থেকে কয়েক গোছা চুল আমার তৈরি একটি সাধুর মূর্তির চোখের ভুরু করতে নিতে পারি?’ মহিলা স্বেচ্ছায় তার কুকুরের লেজের চুল নিতে দিলেন। তারপর ঘরে ফিরে এসে তিনি বুঝতে পারলেন এবং হৃদয়ঙ্গম করলেন, “এর অর্থ এই যে আমি আর কখনো কুকুরের লেজের চুলের সম্মুখে মাথা অবনত করবো না।” আর সঙ্গে সঙ্গে সেই দিন থেকেই তিনি নিজে মূর্তিপূজা বন্ধ করে দিলেন।


বাইবেলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হলো মূর্তি। বাইবেলে মূর্তিগুলোর বিষয়ে এত বেশি ঘটনা আছে যে, ঈশ্বরের বিবেচনায় তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন নিয়মের অনেক অংশ আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। পুরাতন নিয়মে এ বিষয় আরো বিরাট অংশে উল্লেখ থাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো নিজে উল্লেখ করা হলো। সেগুলো পাঠ করলে, মূর্তিগুলো সম্বন্ধে ঈশ্বরের অভিমত বা বিবেচনার ধারা সুস্পষ্ট হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। এর সংখ্যাগুলো কোনো সাহায্য করে না কিন্তু এ পদগুলো পাঠ করলে, ঈশ্বরের দৃষ্টিতে এই বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। যেমন: যাত্রাপুস্তক ২৩:২৪ পদ, ৩৪:১৪ পদ; লেবীয় পুস্তক ১৯:৪ পদ, ২৬:৩০ পদ; গণনাপুস্তক ৩৩:৫২ পদ; দ্বিতীয় বিবরণ ৫:৮-৯ পদ; ৯:১২-১৭ পদ, ১৬:২১ পদ; ২৭:১৫ পদ; ১রাজাবলি ১৪:৯ পদ, ২২-২৩ পদ; গীতসংহিতা ৭৮:৫৮ পদ, ৯৭:৭ পদ, ১০৬:১৯-২০ পদ, ১১৫:৪-৯ পদ, ১৩৫:১৫-১৮ পদ; যিশাইয় ১০:১০-১১ পদ, ৩০:২২ পদ, ৩১:৬-৭ পদ, ৪২:৮-১৭ পদ, ৪৪:৮-২০ পদ, ৪৫:২০ পদ, ৪৬:৬-৭ পদ; যিরমিয় ১০:৩-১৬ পদ; যিহিষ্কেল ১৬:১৭-২১ পদ, ৩০:১৩ পদ; দানিয়েল ৩:১-১৮ পদ; হোশেয় ১১:২ পদ, ১৩:২-৪ পদ; মীখা ১:৭ পদ, ৫:১২-১৩ পদ এবং হবক্কুক ২:১৮-২০ পদ।


সাধুদের সম্মুখে কি প্রার্থনা করা উচিত?


অনেকে পরামর্শ দিতে পারেন যে মূর্তির নিকট প্রার্থনা করা ভুল হলেও সাধুদের নিকট আমাদের প্রার্থনা করা ঠিক। এর কারণ হলো সাধু ব্যক্তিরা ঈশ্বর ও আমাদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী। যীশু নিজেই বলেছিলেন যে, “পিতার কাছে কেউই যেতে পারে না, যদি না সে আমার মধ্য দিয়ে যায়” (#যোহন ১৪:৬ পদ)। আরো স্পষ্টভাবে ১তীমথিয় ২:৫-৬ পদে বলা হয়েছে, “কেননা ঈশ্বর এক, এবং ঈশ্বর ও মানুষের মধ্যে মধ্যস্থ এক - তিনি সেই মানুষ যীশুখ্রীষ্ট যিনি সকলের মুক্তিপণ হিসাবে নিজেকে দান করলেন”। খ্রীষ্ট হলেন আমাদের মধ্যস্থতাকারী। কারণ তিনি ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের সংযোগ স্থাপন করেছেন। আমাদের পাপের জন্য যা প্রয়োজন ছিল তিনি তার সমস্তই পরিশোধ করেছেন, যেন আমরা পাপীরা সরাসরি ‘আমাদের স্বর্গস্থ পিতা’র কাছে প্রার্থনা করতে পারি। সুতরাং সাধুদের মাধ্যম করে প্রার্থনার বিষয়টি একেবারেই অর্থহীন, গুরুত্বহীন।


ঐ পদটি কেরি ভার্ষণ বাইবেলেও লেখা আছে যে, “কারণ একমাত্র ঈশ্বর আছেন; ঈশ্বরের ও মনুষ্যদের মধ্যে একমাত্র মধ্যস্থও আছেন, তিনি মনুষ্য, খ্রীষ্ট যীশু, তিনি সকলের নিমিত্ত মুক্তির মূল্যরূপে আপনাকে প্রদান করিয়াছেন।” এ পদের আলোকে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে যে, খ্রীষ্ট ব্যতিরেকে যদি মধ্যস্থতার অন্য কোনো সুযোগ থাকতো, তাহলে ঈশ্বর কেন আমাদের বলেছেন, যে খ্রীষ্ট যীশু একমাত্র মধ্যস্থতাকারী?


একজন যাজক একটি টিভি প্রোগ্রামে এই পদটির একটা ফাঁক তালাশ করার চেষ্টা করেছিলেন, যাতে সাধুদের কাছে কাথলিকদের প্রার্থনা করার সমর্থন পাওয়া যায়। সেজন্য তিনি ঐ আলোচনায় থাকা অন্যজনকে ব্যাখ্যা দিলেন : “সাধুরা সরাসরি প্রার্থনার উত্তর দিতে পারে না তা নয় কিন্তু তারা যীশুর কাছে প্রার্থনা করেন আর যীশু পিতা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন আর ঈশ্বর প্রার্থনার উত্তর দেন।” সেই প্রোগামে থাকা অন্যজন কাথলিক মতবাদ সম্পর্কে অবগত থাকায় যাজককে জিজ্ঞাসা করলেন, “সাধুরা কি সর্বজ্ঞ এবং সর্বত্র বিরাজমান? সমগ্র জগত থেকে যখন বিভিন্ন ভাষায় একই সময়ে প্রার্থনা করা হয়, সাধুরা কি তা শুনতে পান, বুঝতে পারেন সবার প্রার্থনা?” যাজকে অবশ্য উত্তর দিতে হয়েছিল - “না, একমাত্র ঈশ্বর সর্বজ্ঞ এবং সর্বত্র বিরাজমান; তারা ঐ সকল প্রার্থনা শুনতে পারেন না আর বুঝতে পারেন না।” যাজক নিজে কী বলেছিলেন, সেই বিষয়ে বুঝতে পেরে তার খেসারত দিতে গিয়ে বলেছিলেন, “ঈশ্বর পিতা প্রার্থনাগুলো শুনেন এবং সাধুদের বলেন, লোকেরা কী জন্য যাচ্ঞা করেছিল . . .!!!”


মনে রাখুন, একমাত্র ঈশ্বর একই সময়ে সকল স্থানে থাকেন এবং জগতের চারদিকের হাজার হাজার লোকের প্রার্থনাগুলো একই সময়ে শুনতে পারেন। আপনি কি এর চেয়ে ভালো কারণ চিন্তা করতে পারেন যে সরাসরি প্রথমেই তাঁর কাছে প্রার্থনা করবো না কেন?


ঈশ্বর আমাদের প্রেম করেন। তিনি আমাদের বন্ধু ও পিতা হতে চান। তিনি আমাদের তাঁর কাছে সরাসরি প্রার্থনা করতে অনুরোধ করেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে বলেন। তাঁকে সম্মান করতে এবং তাঁর প্রশংসা করতে বলেন। যখন আমরা অন্য একজনকে বা অন্য কোনো কিছুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং প্রশংসা করি তখন ঈশ্বর নিজেকে পরিত্যক্ত অনুভব করেন। বাইবেল আমাদের বলে যে, তিনি আমাদের প্রেম সংরক্ষণে সতর্কভাবে যত্নশীল এবং আমাদের বুঝাবার জন্য একজন গৃহকর্তা অর্থাৎ স্বামীর দৃষ্টান্ত দেন, যে সেই স্বামীর স্ত্রী বাইরে অন্য লোকদের কাছে যায় তা তিনি চাইতেন না। আমরা ঈশ্বরের কাছে কি বলবো যখন আমরা তাঁর দিকে পিছন ফিরাই এবং একজন সাধুর কাছে প্রার্থনা করি? এরকম মনে করা বা এরকম একটি সিদ্ধান্ত করা মহা অপরাধ যে, ঈশ্বর সাধুদের মতো দয়ালু, সুবিবেচক ও সহানুভূতিশীল নন্।


আসুন, আমরা একটি দৃষ্টান্ত পরীক্ষা করি যা আক্ষরিকভাবে শত শত ইতালিবাসী আমাদের দেখিয়ে থাকে। সাধুদের কাছে কেন আমাদের প্রার্থনা করা উচিত? তারা বলেছেন, “আপনি যদি কোনো একটি কারখানায় কাজ করতে চান আর আপনার কাকা সেই কারখানার মালিকের বন্ধু হয়ে থাকেন তবে আপনি নিশ্চয়ই একটি কাজের জন্য সরাসরি মালিকের কাছে যাবেন না। আপনি আপনার কাজের জন্য কাকাকে মালিকের কাছে যেতে অনুরোধ করবেন। এই দৃষ্টান্তটিতে কাকা সাধুর প্রতিরূপ বা মূর্তি এবং কারখানার মালিক ঈশ্বরের প্রতিরূপ। এই দৃষ্টান্তে পরোক্ষভাবে প্রকাশ করা হয়েছে যে, সাধু ব্যক্তি কাকার প্রতিরূপ আপনাকে জানেন এবং আপনাকে প্রেম করেন আর আপনাকে সাহায্য করতে চান। ঈশ্বর, যিনি কারখানার মালিকের প্রতিরূপ তিনি কিছুই করেন না। সত্য কথা হলো এই যে, ঈশ্বর আমাদের জানেন এবং আমাদের প্রেম করেন, আর ঈশ্বর যীশু খ্রীষ্টের নামে, যিনি একমাত্র মধ্যস্থতাকারী, আমাদের তাঁর নিকটে সরাসরি আসতে নির্দেশ করেন।


বাইবেল কখনও এই সিদ্ধান্ত দেয়নি যে, জীবিত বা মৃত কোনো সাধু ঈশ্বরের চেয়ে আমাদের প্রতি তারা বেশি সহানুভূতিসম্পন্ন। এমনকি, একবারও উল্লেখ করা হয়নি যে কোনো একজন তাদের কাছে প্রার্থনা করেছে বা তাদের মাধ্যমে প্রার্থনা করছে। খ্রীষ্ট সম্বন্ধে বলা হয়েছে “কেননা আমরা এমন একজন মহাযাজককে পাইনি, যিনি আমাদের দুর্বলতার সমব্যথী হতে অক্ষম, তিনি বরং পাপ ছাড়া আমাদের মতই সবদিক দিয়ে পরীক্ষিত হয়েছেন। সুতরাং এসো, সাহসভরে আমরা অনুগ্রহের সিংহাসনের কাছে এগিয়ে যাই, যেন দয়া লাভ করি এবং প্রয়োজনের দিনে সহায়তার সঙ্গে অনুগ্রহ পাই”। (#ইব্রীয় ৪:১৫-১৬ পদ; আরও পাঠ করুন #ইফিষীয় ৩:১২ পদ)। ঈশ্বর জানেন এবং তিনি যত্ন নেন্। খ্রীষ্ট স্বয়ং আমাদেরকে বলেছেন যে আমাদের কার কাছে প্রার্থনা করা উচিত। মথি ৭:৭-১১ পদে খ্রীষ্ট যীশু এভাবে বলেছেন, “যাচ্ঞা কর, তোমাদের দেওয়া হবে;” . . . এটা এখানেই শেষ হয়েছে “সুতরাং তোমরা মন্দ হয়েও যখন তোমাদের ছেলেদের ভাল ভাল জিনিষ দিতে জান, তখন যারা তাঁর কাছে যাচ্ঞা করে, তোমাদের স্বর্গস্থ পিতা যে তাদের ভাল ভাল জিনিষ দেবেন তা আরও কতই না নিশ্চিত”।


সাধু যোহন, #যোহন ১৫:১৬ পদে বলেছেন, যীশুর নামে পিতার কাছে আমাদের যাচ্ঞা করা উচিত। যোহন, যীশুর বিষয়ে ঐ পদে বলেছেন, “তোমরা আমাকে বেছে নাওনি, আমিই তোমাদের বেছে নিয়েছি, তোমাদের নিযুক্তও করেছি, যেন তোমরা গিয়ে ফলশালী হয়ে ওঠ ও তোমাদের ফল স্থায়ী হতে পারে, যাতে তোমরা পিতার কাছে যা কিছু আমার নামে যাচ্ঞা কর, তিনি তা তোমাদের দেন।” বাইবেলের প্রার্থনাগুলো পাঠ করলে আপনি দেখবেন যে সমস্তই পিতা ঈশ্বরকে সম্বোধন করে বলা হয়েছে; কোনো মৃত সাধুকে সম্বোধন করে বলা হয়নি।



275 views2 comments
bottom of page