top of page
  • Black Facebook Icon
  • Black YouTube Icon
  • Black Instagram Icon
Search

ক্রুশের উপরে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের শেষ সাতটি বাণী

Updated: Apr 1, 2021


আমি আজ দুঃখের সথে বলছি, ২০২০ এর গুড ফ্রাইডে আমাদের জন্য একেবারেই ভিন্ন রকম হতে চলেছে। করোনা ভাইরাস আমাদের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ, সত্যিই এটি একটি বেদনা দায়ক মহূর্ত যা আমাদের যীশুর যন্ত্রণা বুঝতে সাহায্য করবে। কঠিন প্রতিকূল পরিস্তিতিতে যীশুর সাতটি বাণী আমাদের শোক শক্তিতে রুপান্ত‌রিত করবে। নতুনভাবে আমাদের ঈশ্বরের জন্য প্রস্তুত করবে।

‘‘পরে, মাথার খুলি নামক স্থানে গিয়া, তাহারা তথায় তাঁহাকে, এবং সেই দুই দুষ্কর্মকারীকে ক্রুশে দিল, এবং একজনকে তাঁহার দক্ষিণ পার্শ্বে, ও অন্য জনকে বাম পার্শ্বে রাখিল’’ (#লূক 23:33)|

প্রভু যীশুর শারীরিক দুঃখভোগ ছিল অতি তীব্র। এটা হয়েছিল চাবুকের আঘাতের দ্বারা যা আক্ষরিক অর্থেই তাঁর গায়ের চামড়া ফালি ফালি করে ছাড়িয়ে দিয়েছিল এবং পিঠে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছিল। ঐরকম চাবুকের আঘাতের ফলে অনেক লোক মারা যেত। এর পর, তারা একটা কাঁটার মুকুট নিয়ে তাঁর মাথায় চেপে বসিয়ে দিয়েছিল। তীক্ষ্ণ কাঁটা তাঁর মাথায় গেঁথে গিয়েছিল, আর রক্তের ধারা তাঁর মুখমন্ডল বেয়ে নেমে এসেছিল। তারা তাঁর মুখন্ডলেও আঘাত করেছিল, তাঁর গায়ে থুথু দিয়েছিল, এবং নিজেদের হাত দিয়ে তাঁর দাড়ি উপড়িয়ে নিয়েছিল। তারপরে তারা তাকে নিজের ক্রুশ যিরূশালেমের রাস্তা দিয়ে বয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল, সেই বধ্যভূমি পর্যন্ত যাকে বলা হয় কালভেরী। শেষ পর্যন্ত, বড় বড় পেরেক তাঁর পায়ের এবং হাতের তালুতে অর্থাৎ যেখানে হাতের তালু এবং কবজি সংযুক্ত হয়েছে, সেখানে বিদ্ধ করা হয়েছিল। এইভাবে তিনি ক্রুশের সঙ্গে পেরেকবিদ্ধ হয়েছিলেন। বাইবেল বলছে: ‘‘মনুষ্য অপেক্ষা তাঁহার আকৃতি [তাঁহার দৃষ্টিগোচরতা] মানব সন্তানগণ অপেক্ষা তাঁহার রূপ বিকারপ্রাপ্ত [বিকৃত চেহারা] বলিয়া, [মনুষ্যের পছন্দের বাহিরে বিকৃত] যেমন অনেকে তাঁহার বিষয়ে হতবুদ্ধি হইত’’ (#যিশাইয় ৫২:১৪)|

বর্তমান আমরা জিজাস ফ্লীমে  যীশুর চরিত্র অভিনয় করা দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি।  এই চলচ্চিত্রগুলি কখনো ক্রুশারোপনের সেই গভীর আতঙ্ক এবং যন্ত্রণাকর বর্বরতা বিশদভাবে দেখায় না। আমরা চলচ্চিত্রে যা দেখতে পাই সেটা কিছুই নয় যখন তার সঙ্গে যীশু ক্রুশের উপরে প্রকৃতপক্ষে যে অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন তার তুলনা করা হয়। ততক্ষণ নয় যতক্ষণ না ‘‘খ্রীষ্টের আবেগ’’ আমরা দেখতে পাই যা প্রকৃতপক্ষে তাঁর প্রতি ঘটেছিল। সেটা সত্যি সত্যিই ভয়ঙ্কর ছিল। তাঁর মাথার খুলিতে চিড় ধরেছিল। তাঁর মুখমন্ডল এবং ঘাড় বেয়ে রক্ত নিচে নেমে আসছিল। তাঁর চোখদুটি ফুলে উঠে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছিল। সম্ভবত তাঁর নাক ভেঙ্গে গিয়েছিল এবং সম্ভবত কন্ঠার হাড়ও ভেঙ্গেছিল। তাঁর দুটি ঠোঁট ছিঁড়ে গিয়েছিল এবং রক্ত ঝরছিল। তাঁকে চিনতে পারা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছিল। তবুও এটাই হচ্ছে ঠিক সেই কথা যা দুঃখভোগরত মৃত্যুের বিষয়ে ভাববাদী যিশাইয় ভবিষ্যবাণী করেছিলেন, ‘‘মনুষ্য অপেক্ষা তাঁহার আকৃতি মানব সন্তানগণ অপেক্ষা তাঁহার রূপ বিকারপ্রাপ্ত বলিয়া, যেমন অনেকে তাঁহার বিষয়ে হতবুদ্ধি হইত’’ (#যিশাইয় ৫২:১৪)।

বিদ্রূপ এবং থুথু ছেটানোর কথাও সেই ভাববাদীর মাধ্যমে আগেই বলা হয়েছিল:"আমি প্রহারকদের প্রতি আপন পৃষ্ঠ, যাহারা দাড়ি উপড়াইয়াছে তাহাদের প্রতি আপন গাল পাতিয়া দিলাম; অপমান ও থুথু হইতে আপন মুখ আচ্ছাদন করিলাম না’’ (#যিশাইয়। ৫০:৬)।

এটা আমাদের ক্রুশের কাছে নিয়ে আসছে। রক্তক্ষরণরত অবস্থায়, যীশুকে সেখানে ক্রুশারোপিত করা হল। যখন যীশু ক্রুশের উপরে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলেন, তখন তিনি সাতটি সংক্ষিপ্ত বাণী প্রদান করেছিলেন। আমি চাই যেন আমরা সকলে ক্রুশের উপরে যীশুর সর্বশেষ সেই সাতটি বাণীর বিষয়ে চিন্তা করি।

প্রথম বাণী - ক্ষমা

‘‘পরে, মাথার খুলি নামক স্থানে গিয়া, তাহারা তথায় তাঁহাকে, এবং সেই দুই দুষ্কর্ম্মকারীকে ক্রুশে দিল, একজনকে তাঁহার দক্ষিণ পার্শ্বে, ও অন্য জনকে বাম পার্শ্বে রাখিল| তখন যীশু কহিলেন, পিতঃ, ইহাদিগকে ক্ষমা কর; কেননা ইহারা কি করিতেছে তাহা জানে না’’ (#লূক ২৩:৩৩-৩৪)| এই কারণেই যীশু ক্রুশে গিয়েছিলেন - আমাদের পাপ ক্ষমা করার জন্য। যিরূশালেমে যাওয়ার বহু আগে থেকেই তিনি জানতেন যে তিনি নিহত হতে চলেছেন। নতুন নিয়ম শিক্ষা দেয় যে আপনার পাপের দেনা শোধ করার জন্য তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে ক্রুশারোপনের জন্য সমর্পণ করেছিলেন।

‘‘কারণ খ্রীষ্টও একবার পাপসমূহের জন্য দুঃখভোগ করিয়াছিলেন, সেই ধার্ম্মিক ব্যক্তি অধার্ম্মিকদের নিমিত্ত, যেন আমাদিগকে ঈশ্বরের নিকট লইয়া যান’’ (#১পিতর ৩:১৮ )|

‘‘শাস্ত্রানুসারে খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মরিলেন’’ (#১করিন্থীয় ১৫:৩)|

যীশু প্রার্থনা করেছিলেন, ‘‘পিতঃ, ইহাদিগকে ক্ষমা কর,’’ যখন তাঁকে ক্রুশে ঝোলানো হচ্ছিল। ঈশ্বর তাঁর প্রার্থনার উত্তর দিয়েছিলেন। যারা সম্পূর্ণভাবে যীশুতে বিশ্বাস স্থাপন করেন তাদের প্রত্যেককেই ক্ষমা করা হয়। ক্রুশের উপরে তাঁর মৃত্যু আমাদের পাপের সমস্ত দেনা শোধ করে তাঁর রক্ত আপনাদের সমস্ত পাপ ধুয়ে দূরে সরিয়ে দেয়।

দ্বিতীয় বাণী - অদ্যই তুমি আমার সাথে পরম দেশে উপস্থিত হইবে

যীশুর দুই পাশে দুই দস্যুকে, ক্রুশারোপিত করা হয়েছিল। ‘‘আর যে দুই দুষ্কর্ম্মকারীকে [অপরাধীকে] ক্রুশে টাঙ্গানো গিয়াছিল, তাহাদের মধ্যে একজন তাঁহাকে নিন্দা করিয়া বলিতে লাগিল, তুমি নাকি সেই খ্রীষ্ট, আপনাকে ও আমাদিগকে রক্ষা কর। কিন্তু অন্যজন উত্তর দিয়া, তাহাকে অনুযোগ করিয়া কহিল, তুমি কি ঈশ্বরকেও ভয় কর না, তুমি ত একই দন্ড পাইতেছ? আর আমরা ন্যায়সঙ্গত দন্ড পাইতেছি; কারণ যাহা যাহা করিয়াছি তাহারই সমুচিত ফল পাইতেছি: কিন্তু ইনি অপকার্য্য [মন্দ কার্য্য] কিছুই করেন নাই। পরে সে কহিল যীশু, আপনি যখন আপন রাজ্যে আসিবেন, তখন আমাকে স্মরণ করিবেন। তিনি তাহাকে কহিলেন, আমি তোমাকে সত্য বলিতেছি, অদ্যই তুমি পরমদেশে আমার সঙ্গে উপস্থিত হইবে’’ (#লূক ২৩:৩৯-৪৩) |

দ্বিতীয় দস্যুর মন পরিবর্তন খুবই প্রকাশমূলক। এটা আমাদের কাছে প্রকাশ করছে।

১। জলেব্যাপ্তিস্মের দ্বারা অথবা মন্ডলীর সদস্যপদ গ্রহণের দ্বারা পরিত্রাণ হয় না - সেই দস্যু ইহাদের কোনটিই করে নাই।  ২। ভাল উপলব্ধির দ্বারা পরিত্রাণ আসে না - দস্যুর শুধুমাত্র মন্দ উপলব্ধি ছিল - তাহাকে ক্রুশারোপিত করা হইয়াছিল আর সেইসঙ্গে পাপের অপরাধীও সাব্যস্ত করা হইয়াছিল। ৩। সম্মুখে আগাইয়া যাওয়া অথবা আপনার হস্ত উত্তোলনের দ্বারা পরিত্রাণ আসে না - দস্যুর পদদ্বয়ের সহিত্, তাহার দুই হস্তও ক্রুশের সহিত পেরেকবিদ্ধ ছিল। ৪। ‘‘যীশুকে আপনার হৃদয়ে আহ্বান করার দ্বারা পরিত্রাণ আসে না। দস্যুটি সম্ভবত আশ্চর্য্যান্বিত হইতো যদি তাহাকে কেহ ঐরূপ করিতে বলিতেন! ৫। ‘‘পাপির প্রার্থনা’’ করিবার দ্বারা পরিত্রাণ আসে না। সেই দস্যু এই প্রার্থনা করে নাই। সে শুধুমাত্র যীশুকে বলিয়াছিল তাহাকে স্মরণে রাখিতে। ৬। যেভাবে আপনি জীবন-যাপন করিতেছেন তাহার পরিবর্তন ঘটাইলে পরিত্রাণ আসে না। সেই দস্যুর এইরূপ করিবার সময় ছিল না।

এই দস্যুকে যেভাবে পরিত্রাণ পেয়েছিল সেইভাবে আপনিও অবশ্যই পরিত্রাণ পাবেন: ‘‘প্রভু যীশুতে বিশ্বাস কর, তাহাতে পরিত্রাণ পাইবে’’ (#প্রেরিত ১৬:৩১)| সমগ্র অন্তঃকরণ দিয়ে যীশুতে বিশ্বাস স্থাপন করুন, এবং তিনি তাঁর রক্ত এবং ধার্ম্মিকতা দিয়ে আপনাকে উদ্ধার করবেন সেইভাবে, ঠিক যেভাবে ক্রুশারোপিত দস্যুকে তিনি উদ্ধার করেছিলেন।

তৃতীয় বাণী - আবেগ [হে নারি, ঐ দেখ তোমার পুত্র ! পরে তিনি সেই শিষ্যকে কহিলেন, ঐ দেখ তোমার মাতা !]

‘‘আর যীশুর ক্রুশের নিকটে তাঁহার মাতা, ও তাঁহার মাতার ভগিনী, ক্লোপার [স্ত্রী] মরিয়ম এবং মগ্দলিনী মরিয়ম, ইহাঁরা দাঁড়াইয়া ছিলেন| যীশু মাতাকে দেখিয়া, এবং যাঁহাকে প্রেম করিতেন, সেই শিষ্য নিকটে দাঁড়াইয়া আছেন দেখিয়া, মাতাকে কহিলেন, হে নারি, ঐ দেখ তোমার পুত্র ! পরে তিনি সেই শিষ্যকে কহিলেন, ঐ দেখ তোমার মাতা ! তাহাতে সেই দন্ড অবধি ঐ শিষ্য তাঁহাকে আপন গৃহে লইয়া গেলেন’’ (#যোহন ১৯:২৫-২৭)|

যীশু যোহনকে তাঁর মায়ের যত্ন নিতে বলেছিলেন। আপনার উদ্ধার পাওয়ার পরে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর জীবনের প্রতি আরও কিছু থেকে যায়। আপনার সেইগুলির যত্ন নেওয়ার দরকার আছে। খ্রীষ্ট তাঁর প্রিয় মাকে প্রেরিত যোহনের হাতে অর্পণ করেছিলেন। তিনি আপনাকে স্থানীয় মন্ডলীর অধীনে অর্পণ করছেন। স্থানীয় মন্ডলীর যত্ন এবং স্নেহ ছাড়া খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর জীবনে কেউ এই কাজ করতে পারে না। সেটা যে সত্যি তা আজকের দিনে আমরা প্রায়ই ভুলে যাই।

‘‘আর যাহারা পরিত্রাণ পাইতেছিল প্রভু দিনদিন তাহাদিগকে তাহাদের সহিত [যিরূশালেমে] সংযুক্ত করিতেন’’ (#প্রেরিত ২:৪৭)|

চতুর্থ বাণী - নিদারুণ যন্ত্রণা [এলী, এলী, লামা শবক্তানী? অর্থাৎ, ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, তুমি কেন আমায় পরিত্যাগ করিয়াছ?]

‘‘পরে বেলা ছয় ঘটিকা হইতে নয় ঘটিকা পর্য্যন্ত সমুদয় দেশ অন্ধকারময় হইয়া রহিল| আর নয় ঘটিকার সময় যীশু উচ্চ রবে চীৎকার করিয়া ডাকিয়া, কহিলেন, এলী, এলী, লামা শবক্তানী? অর্থাৎ, ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, তুমি কেন আমায় পরিত্যাগ করিয়াছ?’’ (#মথি ২৭:৪৫-৪৬)|

যীশুর এই নিদারুণ বেদনাময় কান্না দেখাচ্ছে ত্রিত্বের সত্যতা, স্বর্গীয় প্রকৃতি। পিতা ঈশ্বর মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, যখন পুত্র ঈশ্বর ক্রুশের উপরে আপনার পাপ বহন করছিলেন। বাইবেল বলছে: ‘‘কারণ একমাত্র ঈশ্বর আছেন, ঈশ্বর ও মনুষ্যদের মধ্যে একমাত্র মধ্যস্থও আছেন, তিনি মনুষ্য খ্রীষ্ট যীশু’’ (#১তিমথীয় ২:৫)|

পঞ্চম বাণী - দুঃখভোগ [আমার পিপাসা পাইয়াছে ]

‘‘ইহার পরে যীশু, সমস্তই এখন সমাপ্ত হইল জানিয়া, শাস্ত্রের বচন যেন সিদ্ধ হয়, এই জন্য কহিলেন, আমার পিপাসা পাইয়াছে | সেই স্থানে সিরকায় পূর্ণ একটি পাত্র ছিল: তাহাতে লোকেরা সিরকায় পূর্ণ একটি স্পঞ্জ, এসোব নলে লাগাইয়া, তাঁহার মুখের নিকটে ধরিল’’ (#যোহন ১৯:২৮-২৯)|

এই পদ আমাদের দেখাচ্ছে যে আমাদের পাপের দেনা শোধ করার জন্য যীশুকে কি গভীর দুঃখভোগের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল: ‘‘তিনি আমাদের অধর্ম্মের নিমিত্ত বিদ্ধ, আমাদের অপরাধের নিমিত্ত চূর্ণ হইলেন’’ (#যিশাইয় ৫৩:৫)|

ষষ্ঠ বাণী - প্রায়শ্চিত্ত [সমাপ্ত হইল]

‘সিরকা গ্রহণ করিবার পর, যীশু কহিলেন, সমাপ্ত হইল’’ (#যোহন ১৯:৩০)|

আমি এতক্ষণ অবধি যা যা বলেছি তার অনেকটাই একজন ক্যাথলিক যাজক বলে দিতে পারতেন। কিন্তু এই ষষ্ঠ বাণীর উপরে প্রোটেস্ট্যান্ট পুনঃজাগরণ ঝুলে রয়েছে, সেই সঙ্গে আছে যুগ যুগ ধরে প্রটেস্ট্যান্ট বিশ্বাস। যীশু বলেছিলেন, ‘‘ইহা সমাপ্ত হইল।" 

যীশু কি সঠিক ছিলেন যখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘ইহা সমাপ্ত হইল’’? ক্যাথলিক মন্ডলী বলছে, ‘‘না। তারা বলেন যে তাঁকে নিশ্চয়ই নতুন করে ক্রুশারোপিত করতে হয়েছিল, এবং প্রতিটি জমায়েতে আবার উৎসর্গ করতে হয়েছিল। কিন্তু বাইবেল বলছে যে এটা ভুল হচ্ছে।

‘‘যীশু খ্রীষ্টের দেহ একবার উৎসর্গ করণ দ্বারা আমরা পবিত্রীকৃত হইয়া রহিয়াছি’’ (ইব্রীয় ১০:১০)। ‘‘কারণ যাহারা পবিত্রীকৃত হয় তাহাদিগকে তিনি একই নৈবেদ্য দ্বারা চিরকালের জন্য সিদ্ধ করিয়াছেন’’ (#ইব্রীয় ১০:১৪)|

‘‘আর প্রত্যেক যাজক দিন দিন সেবা করিবার এবং একরূপ নানা যজ্ঞ পুনঃপুনঃ উৎসর্গ করিবার জন্য দাঁড়ায়, সেই সকল যজ্ঞ কখনও পাপ হরণ করিতে পারে না: কিন্তু ইনি [যীশু], পাপার্থক একই যজ্ঞ  চিরকালের জন্য উৎসর্গ করিয়া, ঈশ্বরের দক্ষিণে উপবিষ্ট হইলেন’’ (#ইব্রীয় ১০:১১-১২)।

যীশু ক্রুশের উপরে, একবার এবং আমাদের সকলের জন্য, সমস্ত পাপের পূর্ণ প্রায়শ্চিত্ত উৎসর্গ করেছিলেন। যীশু সকলই শোধ করিয়াছেন, সকলের জন্য আমি তাঁহার কাছে ঋণী; পাপ গাঢ় কলঙ্ক রাখিয়া গিয়াছে, তিনি উহা তুষারের ন্যায় শুভ্র করিয়া ধৌত করিয়াছেন।

সপ্তম বাণী - ঈশ্বরের প্রতি দায়িত্ব অথবা সমর্পণ [পিতঃ, তোমার হস্তে আমার আত্মা সমর্পণ করি]

‘আর যীশু উচ্চ রবে চীৎকার করিয়া, কহিলেন, পিতঃ, তোমার হস্তে আমার আত্মা সমর্পণ করি : আর এই বলিয়া, তিনি প্রাণত্যাগ করিলেন’’ (#লূক ২৩:৪৬)।

মৃত্যুর আগে দেওয়া তাঁর সর্বশেষ বিবৃতিতে যীশু পিতা ঈশ্বরের প্রতি তাঁর সম্পূর্ণ সমর্পণকে দেখিয়েছেন| যেমন মহান স্পারজিয়ন নির্দেশ করেছেন যে, এটা প্রতিফলিত করছে যীশুর সেই নথিভূক্তকৃত প্রথম বাণীটিকেই, ‘‘আমার পিতার গৃহে আমাকে থাকিতেই হইবে ইহা কি জানিতে [পূর্বে জ্ঞাত হওয়া] না?’’ (#লূক ২:৪৯)।


প্রথম থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত, যীশু ঈশ্বরের ইচ্ছাই পালন করেছিলেন। রুক্ষ অমার্জিত শতপতিদের মধ্যে একজন যিনি তাঁকে ক্রুশের সঙ্গে পেরেক বিদ্ধ করেছিলেন তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে এই সাতটি বাণী শুনছিলেন। সেই শতপতি এর আগেও অনেক ক্রুশারোপন দেখেছেন, কিন্তু যখন যীশুর জীবন-রক্ত প্রবাহিত হয়ে চলেছে তখনও এক বিস্ময়কর ধর্ম্মোপদেশ প্রচাররত অবস্থায় যেভাবে তিনি মারা যাচ্ছেন, সেইভাবে কোন মানুষকে এর আগে মারা যেতে তিনি কখনও দেখেননি।

‘‘যাহা ঘটিল তাহা দেখিয়া, শতপতি ঈশ্বরের গৌরব করিয়া, কহিলেন, সত্য এই ব্যক্তি ধার্ম্মিক ছিলেন’’ (#লূক ২৩:৪৭)।

সেই শতপতি একটুক্ষণ যীশুর সম্বন্ধে ভাবলেন, এবং তারপরে বললেন, ‘‘সত্যই ইনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন’’ (#মার্ক ১৫:৩৯)|

তিনি হলেন ঈশ্বরের পুত্র! তিনি মৃত্যু থেকে - জীবন্ত, স্বশরীরে - পুনরুত্থিত হয়েছেন| তিনি স্বর্গে আরোহণ করেছেন| তিনি ঈশ্বরের ডান দিকে বসে থাকেন|‘প্রভু যীশুকে বিশ্বাস কর, তাহাতে পরিত্রাণ পাইবে’’ (#প্রেরিত ১৬:৩১)|

কিছু কিছু মানুষ আছেন যারা ভাবেন যে ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখলে সেটাই যথেষ্ট। কিন্তু তারা ঠিক নন| কেবলমাত্র ঈশ্বরের উপরে বিশ্বাস স্থাপনের দ্বারা কোন মানুষই পরিত্রাণ পেতে পারেন না| যীশু স্বয়ং বলেছেন, ‘‘আমা দিয়া না আসিলে, কেহ পিতার নিকটে আইসে না’’ (#যোহন ১৪:৬)। ‘ঈশ্বরের নিকট পৌঁছাবার অনেকগুলি পথের মধ্যে খ্রীষ্ট শুধু একটি পথ নয় সবগুলি পথের তুলনায় একটি অদ্বিয় সর্বোত্তম পথ; তিনি হচ্ছেন একমাত্র পথ। যদি আপনি যীশুকে বিশ্বাস না করেন, আপনি হারিয়ে যাবেন। আপনি কত "উত্তম" সেটা কোন ব্যাপার নয়, আপনি কত ঘন ঘন মন্ডলীতে উপস্থিত হচ্ছেন বা বাইবেল পাঠ করছেন, সেগুলো কোন ব্যাপার নয়, আপনি যদি যীশুতে বিশ্বাস না করেছেন তাহলে আপনি হারিয়ে গেছেন। ‘‘আমা দিয়া না আসিলে, কেহ পিতার নিকটে আইসে না। একমাত্র যীশুই রক্ত দিয়ে আপনার পাপ থেকে আপনাকে ধৌত করেন। আমেন।

#ক্রুশ #যীশু

 
 
 

Comments


আমাদেরকে অনুসরণ করুন

আমাদের সামাজিক মিডিয়ায় খুঁজুন
  • Facebook - White Circle
  • YouTube - White Circle
  • Instagram - White Circle
@ekmatroshotto

©2020 by The Only Truth

একমাত্রসত্য creates awareness about Christ followers (“Christians”) in Bangladesh and Bengali speaking people of the world. We also encourage and motivate Churches and Christ followers on evangelism to the other religion followers in their own communities. 

bottom of page