... যেসব নবী রসুলদের কাহিনী খুব সুন্দর করে বাইবেলে ধারাবাহিকভাবে ও বিস্তারিতভাবে বর্নিত আছে , সেসব নবীদের কিছু কিছু নাম কোরানে উল্লেখ করেছে খুবই জগাখিচুড়ি ভাবে , আর তা থেকে বোঝার কোন উপায় নেই যে তারা কোথায় জন্মেছিল, কি বার্তা তারা প্রচার করেছিল বা কার পরে কে দুনিয়াতে আসছিল। এসব ভাল ভাবে জানতে গেলে পড়তে হয়, বাইবেল।
ইসলাম ও মোহাম্মাদ নিজেকে ঈশ্বর প্রদত্ব ধর্মের সর্বশেষ নবী বলে দাবী করে বলে- মোহাম্মদের আগে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার নবী ও রসুল এসেছে। অথচ কোরানে মাত্র ২৪/২৫ জন নবীর নাম উল্লেখ আছে। কিন্তু এই নবীগন কে কার আগে এসেছিল , কোথায় এসেছিল, কি বানী প্রচার করেছিল, সেটা কি বাইবেল ছাড়া শুধু কোরান পড়ে জানা যায় ?
পবিত্র বাইবেলেই কেবল সব নবীর কাহিনী ও ঘটনাবলী ধারাবাহিকভাবে বর্ননা করা আছে। এমন কি ইব্রাহীম যে ইসমাইলকে কোরবানী করেছিল সেটাও কোরানে বলা নেই সেটা জানতে হয় নানা কায়দায় পবিত্র বাইবেল থেকেই। অথচ বাইবেল নাকি বিকৃত, তাহলে কোরানের কথিত ঘটনা যে সত্য সেটা কিভাবে প্রমাণ করা সম্ভব ?
কোরানে নবীদের ঘটনা বলতে গিয়ে কি বলেছে সেটা দেখা যাক —–
সুরা আল আন আম – ৬: ৮৩: "এটি ছিল আমার যুক্তি, যা আমি ইব্রাহীমকে তাঁর সম্প্রদায়ের বিপক্ষে প্রদান করেছিলাম। আমি যাকে ইচ্ছা মর্যাদায় সমুন্নত করি। আপনার পালনকর্তা প্রজ্ঞাময়, মহাজ্ঞানী"
এখানে প্রথমে ইব্রাহীমের নাম উল্লেখ করা হচ্ছে। এরপরের আয়াত — ৬:৮৪: "আমি তাঁকে দান করেছি ইসহাক এবং ইয়াকুব। প্রত্যেককেই আমি পথ প্রদর্শন করেছি এবং পূর্বে আমি নূহকে পথ প্রদর্শন করেছি-তাঁর সন্তানদের মধ্যে দাউদ, সোলায়মান, আইউব, ইউসুফ, মূসা ও হারুনকে। এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।"
ইব্রাহিমের পুত্র ইসহাকের ও ইসহাকের পুত্র ইয়াকুবের উল্লেখ আছে যা ধারাবাহিকভাবে সঠিক। উল্লেখ্য এখানে ইব্রাহীমের অন্য পুত্র ইসমাইলের উল্লেখ নেই , মোহাম্মদ যার ভিত্তিতে নিজেকে নবী দাবী করেন , সেটাই এখানে উল্লেখ নেই। তারপর উল্লেখ আছে – নুহ, দাউদ, সোলায়মান, আইউব, ইউসুফ, মুসা ও হারুনের নাম। এরা কি ধারাবাহিকভাবে একের পর এক দুনিয়াতে এসেছিল ? যদি না এসে থাকে , তাহলে কার পর কে এসেছিল ? সেটা কি কোরান পড়ে বোঝা কারও পক্ষে সম্ভব? সেটা না বুঝলে কিন্তু আসলে ইব্রাহিমের বংশে ঈশ্বরের মাহাত্মই বোঝা অসম্ভব। এখন সেটা বুঝতে গেলে আমাদেরকে যেতে হবে তৌরাত কিতাব তথা বাইবেলে। বাইবেলে এসব নবীদের ধারাবাহিকতা সম্পর্কে কি বলছে —
নূহের পর ইব্রাহিম , তারপর তার দুই পুত্র ইসহাক ও ইসমাইল, তারপর ইসহাকের পুত্র ইয়াকুব , ইয়াকুবের পুত্র ইউসুফ, ইউসূফের পর মূসা ও হারুন দুই ভাই, মুসার পর দাউদ , দাউদের পর তার পুত্র সোলায়মান——–এটাই হলো ধারাবাহিক ভাবে আসা নবীদের নাম।
৬:৮৪ আয়াতে বলছে ইব্রাহীমকে দান করেছে ইসহাক ও ইয়াকুব। ঘটনা কি সত্য? ঈ্শ্বর ইব্রাহীমকে দান করেছিল দুই পুত্র ইসহাক ও ইসমাইলকে। ইয়াকুবকে নয়। ইসহাককে দান করেছিল পুত্র ইয়াকুবকে। এই একই আয়াতে বলছে —এবং পূর্বে আমি নূহকে পথ প্রদর্শন করেছি-তাঁর সন্তানদের মধ্যে দাউদ, সোলায়মান, আইউব, ইউসুফ, মূসা ও হারুনকে। এখানে নুহকে উল্লেখ করে বলছে তার সন্তানরা হলো দাউদ , সোলায়মান , আইউব , ইউসুফ , মুসা , হারুন ইত্যাদি।
আব্রাহামিক ধর্মে ইব্রাহীমকেই আদিপিতা ধরা হয়। সুতরাং ইব্রাহীমের পর যত নবী এসেছে , তাদের সবারই আদি পিতা ইব্রাহীমকে ধরা হয়, এটাই রীতি। কিন্তু হঠাৎ করে ইব্রাহীমকে বাদ দিয়ে নুহকে আমদানী করে , তাকে আদি পিতা বানিয়ে তার সন্তান হিসাবে যাদের কথা বলা হচ্ছে তারা আসলে ইব্রাহীমের বংশধর। দাউদ , সোলায়মান, মুসা , হারুন ইত্যাদিরা সবাই ইব্রাহীমের পরবর্তী নবী আর তারা সবাই ইব্রাহীমের বংশধর। আবার এদের নাম উল্লেখ করতে গিয়েও ঝামেলা করেছে সেটা হলো দাউদ ,সোলায়মান এদের পরে মুসা ও হারুনের নাম বলছে কিন্তু আসলে এদের আগেই মুসা ও হারুনের নাম আসবে। এর পরের আয়াত —-
সুরা আল আন আম – ৬: ৮৫: "আর ও যাকারিয়া, ইয়াহিয়া, ঈসা এবং ইলিয়াসকে। তারা সবাই পুণ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।"
সুরা আল আন আম – ৬: ৮৬: "এবং ইসরাঈল, ইয়াসা, ইউনূস, লূতকে প্রত্যেককেই আমি সারা বিশ্বের উপর গৌরবাম্বিত করেছি।"
৬: ৮৫ আয়াতে যাকারিয়া, ইয়াহিয়া, ইসা ও ইলিয়াসের নাম বলা হয়েছে। মজার বিষয় হলো জাকারিয়ার ছেলে ছিল যোহন দা ব্যাপ্তাইজ মুসলমানরা তাকে বলে ইয়াহিয়া, এই যোহনের পরে ঈসা ( যীশু) এর জন্ম। কিন্তু ইলিয়াস ? এই নবীটা আবার কে ? মজার বিষয় হলো এই ইলিয়াস যাকে এলিজাও বলা হয় , তার জন্ম কিন্তু যীশুর প্রায় ৯০০ বছর আগের এমন কি দাউদ , সোলায়মানের আগে। সুতরাং যাকারিয়া, ইয়াহিয়া ও ঈসার নামের মধ্যে ইলিয়াসের নাম কিভাবে আসে ? কিন্তু তার চাইতে মজার বিষয় হলো ৬: ৮৬ নং আয়াতে , এই আয়াতে ইসরাইলের নাম বলা হচ্ছে , যে কি না আসলে ইয়াকুব ,যার অন্য নাম ছিল ইসরাইল আর এর নাম কিন্তু ৬: ৮৪ নং আয়াতে একবার উল্লেখ করা হয়েছে। তার মানে বোঝা যাচ্ছে কোরান বুঝতেই পারছে না ইয়াকুব ও ইসরাইল আসলে এক ব্যাক্তিত্ব। এই ইসরাইলের ছিল বারটা পুত্র যাদের বংশধর থেকে বারটা ইসরাইলি বংশের পত্তন ঘটে। বাইবেলেই বলা হয়েছে , ইয়াকুবের নাম ঈশ্বর ইসরাইল রেখেছে। কিন্তু কোরান বিষয়টা বুঝতে পারছে না। বা কোরান থেকে আমরা এবিষয়ে পরিস্কার কোন ধারনা পাচ্ছি না যে কারা আসলে ইসরাইলি। অথচ এই ইসরাইলি বংশধারা আব্রাহামিক বংশে একটা গুরুত্বপূর্ন বিষয় কারন মুসা নবীর কাছে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছিল যে এই বংশ ধারায় ভবিষ্যতে নবী আসবে।
ঘটনার এখানেই শেষ হলে ভাল হতো , কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেটা হচ্ছে না। ৬:৮৬ আয়াতে ইয়াসা বলে একজন নবীর নাম বলছে , যে আসলে বাইবেলে এলিজা নামে পরিচিত। অর্থাৎ এই এলিজা ও ইলিয়াস একই ব্যাক্তি। কিন্তু মনে হচ্ছে , কোরান সেটা ধরতে পারে নি। এমনকি অনেক আলেম এটাকে এলিজা বলেই অনুবাদ করেছে ৬: ৮৬ নং আয়াতে।যেমন –
Muhammad Asad: and [upon] Ishmael, and Elisha, and Jonah, and Lot. And every one of them did We favour above other people;
M. M. Pickthall: And Ishmael and Elisha and Jonah and Lot. Each one (of them) did We prefer above (Our) creatures,
Yusuf Ali (Saudi Rev. 1985): And Isma’il and Elisha, and Jonas, and Lot: and to all We gave favour above the nations:
৬: ৮৫ নং আয়াতে যে ইলিয়াস সেও যে এলিজা সেটাও কিন্তু বিভিন্ন আলেমের অনুবাদে আছে –
Muhammad Asad: and [upon] Zachariah, and John, and Jesus, and Elijah: every one of them was of the righteous;
Dr. Laleh Bakhtiar: And Zechariah and Yahya and Jesus and Elijah—all are among the ones in accord with morality.
Wahiduddin Khan: Zachariah, John, Jesus, and Elijah every one of them was righteous
Safi Kaskas :Zachariah, John, Jesus and Elijah– every one of them was righteous.
Abdel Haleem :Zachariah, John, Jesus, and Elijah- every one of them was righteous-
তার মানে দেখা যাচ্ছে ৬:৮৫ নং আয়াতে যাকে ইলিয়াস বলছে , ৬:৮৬ নং আয়াতে তাকেই ইচ্ছা করে বাংলা অনুবাদে ইয়াসা বলছে, যাতে মানুষ কোরানের এই ভ্রান্তি ধরতে না পারে, কিন্তু আসলে তারা একই ব্যাক্তি। কিন্তু কোরান আসলে বুঝতে পারছে না , যে তারা আসলে কারা আর তারা ঈশার পরে নাকি আগে দুনিয়াতে আসছিল। তা জানতে ঈসার সাথে ইলিয়াস বা এলিজা – এর নাম আসত না।
তার মানে দেখা যাচ্ছে যেসব নবী রসুলদের কাহিনী খুব সুন্দর করে বাইবেলে ধারাবাহিকভাবে ও বিস্তারিতভাবে বর্নিত আছে , সেসব নবীদের কিছু কিছু নাম কোরানে উল্লেখ করেছে খুবই জগাখিচুড়ি ভাবে , আর তা থেকে বোঝার কোন উপায় নেই যে তারা কোথায় জন্মেছিল, কি বার্তা তারা প্রচার করেছিল বা কার পরে কে দুনিয়াতে আসছিল। এসব ভাল ভাবে জানতে গেলে পড়তে হয়, বাইবেল।কিন্তু মুসলমানরা দাবী করে বাইবেল নাকি বিকৃত। সুতরাং সেই বিকৃত কিতাব তো আর তারা ব্যবহার করতে পারে না। এমতাবস্থায়, কিভাবে মুসলমানরা কোরানে বর্নিত নবীদের সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য প্রদান করতে পারে, তারা কোথায় জন্মগ্রহন করেছিল , আর তাদের বার্তা কি ছিল , তাদের কে কার আগে জন্মেছিল ইত্যাদি বিষয় কিভাবে জানা যাবে ? সেটা বোঝা না গেলে মোহাম্মদ যে শেষ নবী সেটাও বা কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে ? নাকি হুট করে কিছু নবী রাসুলের নাম উল্লেখ করে , খাপছাড়া কিছু কাহিনী বলেই দাবী করা যাবে যে মোহাম্মদ নবী ? আর যদি কেউ তাকে নবী হিসাবে বিশ্বাস না করে , তাহলে তার ওপর জোর করতে হবে ,যদি তাতেও সে না মানে তো তাকে হত্যা করতে হবে ,এটাই কোরান ও হাদিসের বিধান। সুতরাং এতক্ষনে কি বুঝতে কোন সমস্যা আছে যে ইসলাম আসলে কতটা সত্য ধর্ম ?
AYAMTOTO
AYAMTOTO
AYAMTOTO
AYAMTOTO
AYAMTOTO
AYAMTOTO
AYAMTOTO
AYAMTOTO
AYAMTOTO
AYAMTOTO
AYAMTOTO
AYAMTOTO
AYAMTOTO
AYAMTOTO
AYAMTOTO
AYAMTOTO
AYAMTOTO
AYAMTOTO
AYAMTOTO
KUATOTO
KUATOTO
KUATOTO
KUATOTO
KUATOTO
KUATOTO
KUATOTO
KUATOTO
KUATOTO
KUATOTO
KUATOTO
KUATOTO
KUATOTO
KUATOTO
KUATOTO
KUATOTO
KUATOTO
KUATOTO
KUATOTO
KUATOTO
LINEDEWA
LINEDEWA
LINEDEWA
LINEDEWA
LINEDEWA
LINEDEWA
LINEDEWA
LINEDEWA
MMA128
MMA128
MMA128
MMA128
MMA128
MMA128
MMA128
MMA128
MMA128
MMA128
MMA128
MMA128
MMA128
MMA128
MMA128
MMA128
LINE5D
LINE5D
LINE5D
LINE5D
LINE5D
LINE5D
LINE5D
LINE5D
LINE5D
karatetoto karatetoto karatetoto karatetoto karatetoto karatetoto karatetoto karatetoto karatetoto karatetoto slot gacor slot gacor slot gacor slot gacor slot gacor slot gacor slot gacor link slot gacor link slot gacor slot 4d slot 4d slot 4d slot 4d slot 4d slot 4d slot 4d slot 4d situs toto situs toto situs toto situs toto slot777 slot777 slot777 slot777 slot777 slot777 slot777 slot777 togel 4d togel 4d togel online togel online togel online togel online togel online togel taiwan togel taiwan togel taiwan togel taiwan togel taiwan toto slot toto slot toto 4d toto 4d
link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link link
MMOexp: As the release date nears, finding the best pre-order deal becomes crucial for maximizing your EA Sports FC 25 experience. The game is available across multiple platforms, including FIFA 25 Coins PC, PS4, PS5, Xbox One, Xbox Series X/S, and Nintendo Switch. Here's where you can find the top pre-order deals:
Amazon: Often a reliable option for competitive pricing, Amazon is offering various editions of the game with all the pre-order bonuses intact.
The Game Collection: Known for its attractive deals on new releases, The Game Collection is another excellent place to secure your copy of EA Sports FC 25.
Both retailers provide the standard and ultimate editions, so you can choose the version that best suits your needs. If you're serious about building a powerful Ultimate Team, the Ultimate Edition's early access and extra in-game currency might be worth the investment.
Conclusion
As EA Sports FC 25 prepares to launch, now is the perfect time to secure your pre-order and start planning your strategy. Whether you're focused on building an unstoppable Ultimate Team or immersing yourself in Career Mode, the game's new features, coupled with the strategic use of FIFA 25 Coins and the option to buy FC 25 Coins, will help you dominate the competition from day one. Don't miss out on the early access and the chance to make the most of the game's release—secure your copy today and get ready to cheap FIFA 25 Coins hit the pitch!