মুসলিম ভাইয়েরা দাবী করে বাইবেল বিকৃত। যুক্তিবিদ্যা অনুযায়ী, যদি কেউ কোন বিষয়ে কিছু দাবী করে , তাহলে সেই দাবী প্রমানের দায়ীত্ব দাবীকারীর ওপর বর্তায় তাই নয় কি? অর্থাৎ মুসলমানরা যদি দাবী করে , বাইবেল বিকৃত - তাহলে সেটা প্রমানের দায়ীত্ব কার ? নিশ্ছয় মুসলমান ভাইদের, নাকি অমুসলমানের ? কিন্তু আসল কথা হলো, মুসলিমরা বাইবেল সম্পর্কে যা বলে কোরান কি তাই বলে? সেটা কি আমরা কখনও ভালভাবে পরীক্ষা করে দেখেছি ? আসুন প্রিয়পাঠক একটু পরীক্ষা করে দেখা যাক।
প্রথমেই বাইবেল কি সেটা জানা যাক। বাইবেল অর্থ [তৌরাত + যাবুর + নবীদের কিতাব + ইনজিল শরীফ]। মুসার কাছে নাজিল হওয়া তৌরাত ও যীশুর কথা ইঞ্জিল- এই দুই কিতাবকে একত্রে বাইবেল বলে। যদিও এই বাইবেলে তৌরাত ও ইঞ্জিল ছাড়াও আরও বহু নবীদের কাছে আসা বানী লিপিবদ্ধ আছে। খৃষ্টানরা বলে বাইবেল হলো এমন কিতাব যার মধ্যে ঈশ্বরের বানী সংরক্ষিত আছে। কেন আমরা সেটা বলি? কারন বাইবেল লেখা হয়েছে কাহিনী আকারে। এই কাহিনীর মধ্যে ঈশ্বরের বানী প্রাসঙ্গিক ও প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে সংযোজন করা হয়েছে। উদাহরন স্বরূপ ইঞ্জিল কিতাব থেকে দেখা যাক ---
#যোহন- অধ্যায়-১, বানী-২৯-৩১
"পরদিন তিনি যীশুকে তিনি নিজের দিকে আসতে দেখে বললেন -'ঐ দেখ ঈশ্বরের মেষ শাবক, জগতের পাপ যিনি হরন করেন । তারই সম্পর্কে আমি বলেছিলাম, আমার পরে এমন একজন আসছেন যিনি আমার অগ্রগন্য , কারন আমার আগেও তিনি ছিলেন। আমিও তাকে জানতাম না , কিন্তু ইস্রায়েলের কাছে যাতে তিনি প্রকাশিত হন, এ জন্যেই আমি এসে জলে দীক্ষাস্নান করি।"
এখানে যে বানী গুলো , এর একটাও কিন্তু ঈশ্বরের বানী না। যীশুর এক শিষ্য, যোহন যীশু সম্পর্কে বর্ননা করছেন।কিভাবে যোহনের সাথে যীশুর সর্বপ্রথম দেখা হলো , সেটাই কাহিনীর আকারে বর্ননা করা হয়েছে। তবে সেই কাহিনীতে , যোহন যীশু সম্পর্কে তার মূল্যায়ন করেছেন , যে যীশু আসলে কে। প্রথম সাক্ষাতেই কিভাবে যোহন জানতে পারলেন যীশু আসলে কে ? এখানেই বুঝতে হবে বিষয়টা। যোহন যে যীশু সম্পর্কে লিখেছেন , সেটা কিন্তু দেখা হওয়ার সাথে সাথে লেখেন নি। তিনি লিখেছেন , যীশুর সাথে বেশ কিছুদিন মেলামেলা করার পর , তার কার্যকলাপ সম্পর্কে সম্যক অবগত হয়ে। অত:পর যীশুর শিক্ষা লেখার সময় যোহন যীশু সম্পর্কে তার মূল্যায়ন লিখেছেন। যেমনটা মুহাম্মদের সাহাবীরা তার নানা হাদিস লিখেছে মুহাম্মদ মারা যাওয়ার অনেক পরে। সেসব হাদিস তাদের মুখস্ত ছিল, স্মৃতি থেকেই তারা অত:পর সেসব লিখেছিল। তাই যদি হয় , তাহলে ইঞ্জিল কিতাব ঈশ্বরের কিতাব হয় কেমনে ? সেটা বুঝতে গেলে নিচের অংশটুুকু পড়তে হবে ---
#যোহন, অধ্যায়-৮, বানী-১২
"আবার যীশু তাদের উদ্দেশ্যে বললেন- 'আমিই জগতের আলো। যে আমাকে অনুসরন করবে , সে অন্ধকারে চলবে না, কিন্তু জীবনের আলো পাবে। '"
এই যে কথাগুলো বললেন যীশু , এটাই সেই ঈশ্বরের বার্তা। এটাই হচ্ছে সমগ্র ইঞ্জিল কিতাবের মূল বার্তা। ইঞ্জিল শরিফের যে চারটা কিতাব আছে যেমন - মথি, মার্ক,লুক ও যোহন সব কিতাবের মূল বার্তা এটাই। দুনিয়াতে হাজার রকম সংস্করনের ইঞ্জিল কিতাব আছে , কিন্তু সকল কিতাবের মূল বার্তা এটাই। এ বার্তার ব্যাপারে দুনিয়ার শত রকম ইঞ্জিল কিতাবের মধ্যে কোনই বিরোধ নেই। খৃষ্টানরা যখন বলে ইঞ্জিল কিতাব হলো ঈশ্বরের বার্তা , আমরা ঠিক এটাই বোঝায়। আমরা কখনই বোঝাই না যে , গোটা ইঞ্জিল কিতাব বা বাইবেল- এর সকল বক্তব্য বা বর্ননা আক্ষরিকভাবে ঈশ্বরের বানী। অথচ মুসলমানরা বলে যে , দুনিয়ায় শত শত রকমের ভার্শানের বাইবেল আছে , কোন বাইবেল ঈশ্বরের বানী ?
এ প্রশ্ন করে তারা প্রমান করতে চায় বাইবেল বিকৃত করে ফেলেছে ইহুদি ও খৃষ্টানরা। তারা এই ধরনের প্রশ্ন করে , বাইবেলের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য না জেনেই। এর অন্য একটা কারন হলো - তারা বিশ্বাস করে , গোটা কোরানের সব বানী স্বয়ং আল্লাহর কথিত বানী। এর মধ্যে অন্য কারও বানী নেই। তারা তাই ভাবে , বাইবেল যদি আল্লাহর বানী হয়, তাহলে সেটাও হবে কোরানের মতই একটা কিতাব। অথচ কোরান কিন্তু কখনই বলে নি যে , বাইবেল বিকৃত। কিছু মোমিন নিচের আয়াত উল্লেখ করে বোঝাতে চায়, যে কোরান বলেছে বাইবেল বিকৃত -
সুরা বাকারা- ২: ৭৯: অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে।
নিজেদের হাতে লেখা কিতাবকে যদি বিকৃত বলে ধরার আদর্শ মানা হয়, তাহলে প্রথমেই কোরান হয়ে যাবে একটা বিকৃত কিতাব। আল্লাহ কি তার বানীকে কিছু কাগজে লিখে তা ছাপিয়ে একটা পূর্নাঙ্গ কিতাব আকারে মুহাম্মদের কাছে পাঠিয়েছিল ? আজকে আমরা যে কোরান দেখি , সেটার লেখক কি আল্লাহ ? দুনিয়ার সকল মুসলমানই জানে ও বিশ্বাস করে , কোরানের বানী কখনই লিখিত আকারে মুহাম্মদের নিকট প্রেরন করা হয় নি , বরং কথিত এক ফিরিস্তা জিব্রাইল আল্লাহর বানী মুহাম্মদের কাছে এসে বলেছে, মুহাম্মদ সেসব মুখস্ত করে তা তার সাহাবীদেরকে বলেছেন, সাহাবীরা সেসব মুখস্ত করেছে বা কাঠ/হাড়ের ওপর তা লিখে রেখেছে। অত:পর মুহাম্মদ মারা যাওয়ার ২০/২২ বছর পরে খলিফা ওসমানের আমলে তিন সদস্যের এক কমিটি মিলে মানুষের কাছ থেকে শুনে , কাঠ বা হাড়ের ওপর লেখা বিভিন্ন আয়াত অত:পর সংকলিত করে আজকের কোরান তৈরী করা হয়। তো বর্তমান কোরান কি আল্লাহর লেখা, নাকি ওসমানের সেই কমিটির লেখা ?
তবে বিস্ময়কর তথ্য হলো - যদি তাফসির পড়া হয়, ইসলামের ইতিহাস পড়া হয়, তাহলে দেখা যাবে , এই আয়াত ২: ৭৯ এটা কিন্তু ইহুদি বা খৃষ্টানদেরকে বুঝায় নি। মুহাম্মদের আমলে , মুহাম্মদ ছাড়াও আরও কিছু লোক নিজেদেরকে নবী দাবী করত। তারা ছিল মুলত পৌত্তলিক। তারাই নিজেদের কথাকে আল্লাহর বানী বলে চালিয়ে দিয়ে , মানুষকে ঠকাত আর এভাবে অর্থ উপার্জন করত। আর কি ভয়ংকর ব্যাপার যে, যে বানী ইহুদি বা খৃষ্টানদের সম্পর্কে বা বাইবেল সম্পর্কে নাজিল হয় নি , সাধারন মানুষের অজ্ঞতার সুযোগে সেটাকেই তারা ভুল ভাবে বাইবেলের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে , মানুষকে বিভ্রান্ত করছে , তাদেরকে আরও অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে।
তারপরেও যদি ধরেও নেই , যে এই আয়াত ইহুদি ও খৃষ্টানদের সম্পর্কে বলা হয়েছে , তাহলেও বা কি হবে ? দেখা যাচ্ছে ,যে পদ্ধতি/মানদন্ড প্রয়োগ করে মুসলমানরা বলে বাইবেল বিকৃত , সেই একই পদ্ধতি/মানদন্ড প্রয়োগ করলে কোরানই হয়ে যাবে সব চাইতে বেশী বিকৃত কিতাব। কিন্তু কে শোনে কার কথা ! মুমিনরা কোনভাবেই যুক্তি বা প্রমানের ধার ধারে না। ধরা যাক , উক্ত আয়াত দ্বারা কোরান বলছে যে বাইবেল বিকৃত কিতাব। তাহলে অত:পর নিশ্চিতভাবেই কোরান কখনই সেই বিকৃত কিতাবকে প্রামান্য মানবে না , বা কোনভাবেই সেই কিতাবের ভিত্তিতে কোরানকে বিচার করতে বলবে না। যদি বলে তাহলে কোরান হয়ে যাবে একটা স্ববিরোধী কিতাব। সুতরাং দেখা যাক , কোরান কি বলেছে বাইবেল সম্পর্কে---
সুরা ইউনুস- ১০: ৩৭: আর কোরআন সে জিনিস নয় যে, আল্লাহ ব্যতীত কেউ তা বানিয়ে নেবে। অবশ্য এটি পূর্ববর্তী কালামের(তৌরাত ও ইঞ্জিল) সত্যায়ন করে এবং সে সমস্ত বিষয়ের বিশ্লেষণ দান করে যা তোমার প্রতি দেয়া হয়েছে, যাতে কোন সন্দেহ নেই-তোমার বিশ্বপালনকর্তার পক্ষ থেকে।
সূরা আল ইমরান- ৩: ৩: তিনি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন সত্যতার সাথে; যা সত্যায়ন করে পূর্ববর্তী কিতাবসমুহের।
সত্যায়ন কিভাবে করে ? কেউ একজন শিক্ষাগত সার্টিফিকেটের ফটোকপিকে কোন সরকারী কর্মকর্তার কাছে গিয়ে সত্যায়ন করতে গেলে , তো মূল সার্টিফিকেটটাকে সত্যায়নকারীর কাছে উপস্থাপন করা লাগে। তা না হলে তো সেই কর্মকর্তা ফটোকপিকে সত্যায়ন করবে না। আর যদি করেও তাহলে সেই সত্যায়িত কপি জাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মুহাম্মদের সময় যে তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাব ( বাইবেল) বিদ্যমান ছিল, বা মুহাম্মদের কাছে ইহুদি ও খৃষ্টানরা তাদের কাছে থাকা যে তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাব হাজির করত, সেসব যদি সঠিক না হতো , তাহলে কোরান বা মুহাম্মদ কিভাবে সেই কিতাবগুলোকে সত্যায়ন করে ? কোরান বা মুহাম্মদ যদি তৌরাত বা ইঞ্জিল কিতাবের সত্যায়নকারী হয়, মূল তৌরাত/ইঞ্জিল কিতাব না দেখে সত্যায়ন করলে , তো কোরান বা মুহাম্মদের সত্যায়ন জাল হয়ে যাওয়ারই সম্ভাবনা থাকে। কোরান বা মুহাম্মদ তো বিকৃত বাইবেলকে ঈশ্বরের বানী বলে সত্যায়ন করতে পারে না, যদি কোরানও ঈশ্বরের বানী হয় বা মুহাম্মদ সত্য নবী হয়। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, কোরান রীতিমতো ভয়ংকর কথা বলছে এবার -
সুরা ইউনুস- ১০: ৯৪: সুতরাং তুমি যদি যা তোমাদের প্রতি নাজিল করেছি তা সম্পর্কে কোন সন্দেহের সম্মুখীন হয়ে থাক যা তোমার প্রতি আমি নাযিল করেছি, তবে তাদেরকে জিজ্ঞেস করো যারা তোমার পূর্ব থেকে কিতাব পাঠ করছে। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, তোমার পরওয়ারদেগারের নিকট থেকে তোমার নিকট সত্য বিষয় এসেছে। কাজেই তুমি কস্মিনকালেও সন্দেহকারী হয়ো না।
অর্থাৎ কোরান নিয়ে কোন সন্দেহ হলে , সেটা সঠিক নাকি বেঠিক নির্ধারন করার জন্যে পূর্বের কিতাব অর্থাৎ তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাব যারা পাঠ করে , তাদের কাছে যেতে হবে। আর তারা তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাবের ভিত্তিতে কোরানের বিচার করবে। স্বয়ং আল্লাহ বা মুহাম্মদ , কোরানের সত্যতা বিচার করার জন্যে বাইবেলের ওপর দায়ীত্ব দিচ্ছে। তো বাইবেল যদি বিকৃত/জাল হয়, তাহলে তার ভিত্তিতে কিভাবে কোরানের সত্যতা নির্নীত হবে ? বিকৃত বা জাল সাক্ষীর দ্বারা কি কোন মামলার বিচার করা যায় ? আদালতে যদি জাল সাক্ষী ধরা পড়ে , সাথে সাথে তাকে জেলের ভাত খেতে হয়। আর যদি জাল সাক্ষীর ভিত্তিতে বিচার হয়ও , তাহলে সেটা ন্যায় বা সঠিক বিচার হবে না।
এখানেই শেষ হলে ভাল হতো। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। কোরান আরও বলছে-
সুরা আল আনআম- ৬: ১১৫: আপনার প্রতিপালকের বাক্য পূর্ণ সত্য ও সুষম। তাঁর বাক্য কেউ পরিবর্তন করতে পারে না। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।
মুমিনেরা বলে এটা নাকি খালি কোরানের জন্যে প্রযোজ্য। তা কিভাবে ? যদি কোন বাক্য আল্লাহর হয়ে থাকে , তা পরিবর্তন করতে পারে দুনিয়ার কোন মানুষ ? তা হোক কোরান বা বাইবেল। এই আয়াতটা শুধুমাত্র কোরানের জন্যে প্রযোজ্য হলে বলতে হবে , বাইবেলের কোন বার্তাই আল্লাহর না। তা যদি হতো , তাহলে কেউ তা পরিবর্তন করতে পারত না। সর্বশক্তিমান আল্লাহ যদি তার বাক্যকে পরিবর্তনের হাত থেকে রক্ষা করতে না পারে , তাহলে সেই আল্লাহ কিভাবে সর্বশক্তিমান হয় ? সেই কোরানই বার বার বলেছে তৌরাত ও ইঞ্জিলের বানীও তার। তাহলে সমস্যা কি বাইবেলে, নাকি কোরানে ?
প্রসঙ্গত: আজকে যে তৌরাত কিতাব আমরা দেখি যা মুসার কাছে নাজিল হয়েছিল , তা যীশুর জন্মেরও প্রায় ৩০০ বছর পূর্বে অর্থাৎ মুহাম্মদেরও জন্মের ৯০০ বছর আগে সংকলিত হয়েছিল। আর যীশুর ইঞ্জিল কিতাবের যে সংস্করন আজকে আমরা দেখি তা রোমের সম্রাট কনস্টানটাইন যখন খৃষ্টান ধর্ম গ্রহন করে , সেই ৩৫০ খৃষ্টাব্দের দিকে তা সম্পাদিত হয়। যদিও সেটা করা হয়েছিল যীশু মারা যাওয়ার পর ৪০/৫০ বছরের মধ্যে লেখা পান্ডুলিপির ভিত্তিতে। অর্থাৎ বর্তমান ইঞ্জিল কিতাবও মুহাম্মদের জন্মের প্রায় ২৫০ বছর আগেই বর্তমান আকারে সংকলিত হয়। মুহাম্মদ নিজে ও কোরান উভয়ই , মুহাম্মদেরও জন্মের সেই ৯০০ ও ২৫০ বছর আগেকার কিতাবকেই সত্য বলে রায় দিচ্ছেন কারন মুহাম্মদের কাছে ইহুদি ও খৃষ্টানরা সেই কিতাবই উপস্থিত করত।
অতএব উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা এই উপসংহারে আসতে পারি যে, কোরান কখনই বাইবেল বিকৃত তা বলে না, তা হলে কি উদ্দেশ্য মুসলিম ভাইয়েরা বলছেন বাইবেল বিকৃত?