খ্রীষ্ট ধর্মের জনপ্রিয় চিহ্ন কি? ক্রুশ। অনেক খ্রীষ্টিয়ান আছেন ক্রুশের বিষয়টি এড়িয়ে যান কেননা “আমার পাপের জন্য যীশু ক্রুশে মরেছিলেন।”
ক্রুশীয় মৃত্যু কি?
খ্রীষ্ট পূর্ব ৫০০ অব্দে পারসিকরা ক্রুশীয় মৃত্যুর শাস্তি আবিস্কার করে। রোমানদের অধীনে তা পাকাপোক্ত হয়। ক্রুশীয় মৃত্যুদন্ডের রহিত হয় প্রায় ৩০০ খ্রীষ্টাব্দে। ক্রুশীয় মৃত্যু ছিল সমাজের ব্যথা জনক ও অপমানজনক মৃত্যু।
দ্বিতীয় বিবরণ ২১ঃ২৩ পদে বলে, কেননা যে ব্যক্তিকে টাংগানো যায় (গাছে অথবা ক্রুশে) , সে ঈশ্বরের শাপগ্রস্থ। রোমীয়রা তাদের নাগরিকদের ক্রুশে দিতো না। এই মৃত্যু ছিল দুঃসহ যন্ত্রণাদায়ক। এই মুত্যু প্রক্রিয়ার অত্যন্ত ধীরগতিসম্পন্ন, দীর্ঘ বেদনাদায়ক । এই শাস্তির পথে অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে একজনের মৃত্যু হতো। যখন কোন অপরাধীকে ক্রুশারোপিত করা হতো তখন তাদের ক্রুশের উপরে পা বাকাঁ করা হতো, পাজঁরের হাড় নিষ্পেষিত করা হতো। পরে পায়ে পেরেক মেরে ঝুলিয়ে রাখা হতো। এই মূর্হুতে অপরাধীর প্রায়ই দম বন্ধ হয়ে যায়। এই সমস্ত কিছু ঘটে খোলা আকাশের নীচে। প্রকৃতির সমস্ত কিছুই সূর্যের আলো, বাতাস, তাপ এবং রাতের ঠান্ডা অপরাধীর দেহে তীব্র প্রভাব পড়ে।
তাদের শরীরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়, শরীরের জ্বালাভাব এবং প্রচন্ড আঘাত অনুভব করে।
এই মৃত্যু সমাজের নিষ্ঠুরতম, লজ্জাজনক ও দীর্ঘ সময় ধরে মৃত্য-যন্ত্রণা অনুভব করে মরতে হথ। ক্রুশীয় মৃত্যু অনেক সময় কিছুদিন স্থায়ী হতো। এই শাস্তির স্হান নির্বাচিত করা হতো খোলামেলা জায়গায় যেখানে সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত ছিল। যেমনঃ হাট বাজার ও পার্ক। অনেক খারাপ লোক এই ক্রুশীয় শাস্তিকে খেলাধূলায় রূপান্তর করত। এই সময় তারা উপহাস, হাসি তামাশা ও বিরক্ত করত।
এটা বিরল যে, মহিলাদের ক্রুশে দেওয়া হতো। যদি দেওয়া হতো তাহলে তাদের মুখ ক্রুশের দিকে ঘুরিয়ে দিতো যেন মহিলাদের ক্রুশীয় যন্ত্রণা দেখতে না হয়।
প্রায়ই অপরাধীদের চোখের সমতলে ক্রুশে দেওয়া হতো যেন তাদের শক্রুরা চোখে চোখ রাখতে পারে। যারা ক্রুশের নিচে থাকত তারা প্রতিহিংসা গ্রহণ করার চেষ্টা করত, চিৎকার করত, থু থু দিতো ও প্রশাবও করে দিতো। এটা ভয়ংকর যে, কিছু লোক ক্রুশকে ফ্যাশন হিসাবে ব্যবহার করে, গলায় ঝুলিয়ে রাখে অথবা শরীরে উলকী আঁকে।
কিভাবে যীশু মারা গেলেন?
ক্রুশীয় মৃত্যুর আগের দিন নিদ্রাহীন রাতে যীশুর প্রিয় শিষ্যেরা তাঁকে রেখে পালিয়ে যায়। মধ্যরাতে যীশুর ক’টি মিথ্যা বিচার হয় যেখানে যীশুর কোন দোষ খুঁজে পায়নি । দেশাধ্যক্ষ পীলাতও কোন দোষ না পেয়ে যীশুকে চাবুক মারার আদেশ দেন। চাবুক সাধারণ চামড়ার ছিল এবং এতে লোহার তৈরী বল ও হাঁতের হুক লাগানো থাকত। চাবুকের কশাঘাতের সময় মানুষের পিঠের মাংস ছিড়ে বের হয়ে যেত। অনেক সময় বুকের পাজরের হাড় বেরিয়ে যেত। যীশুকে পরে আরও চাবুকের কষাঘাত করা হয়ে ছিল।
রোমীয় সৈন্যরা যীশুকে কাঁটার মুকুট তৈরী করে মাথায় পরিয়ে দিয়ে ছিলেন। তাঁকে উপহাস ও অবজ্ঞা করে বেগুনী পোশাক পরিয়ে ছিলেন।
পরে সৈন্যরা যীশুর চোখ বেঁধে তাঁর মুখে আঘাত করেছিলেন এবং চিৎকার করে বলেছিলেন, ভাববাণী কর! কে তোকে আঘাত করল?
ভাববাদী #যিশাইয় ৫২ঃ১৪ পদ বলে, যীশুর চেহারা বিশ্রী করা হয়েছে। তার মানে যীশুকে এতই অত্যাচার করা হয়েছিল যে, তাঁর চেহারা চেনার উপায় ছিল না। যীশু তাঁর নিজের ক্রুশ বহন করেছিলেন যা ছিল খুবই ভারী ও ভাঁজ কাটা। একই ক্রুশে অনেকেই ক্রুশে দেওয়া হত। যীশুর দুঃখভোগ ও নির্যাতনের কারণে এতই জটিল হয়েছিলেন যে, তখন ক্রুশ বহনের জন্য অন্যের সাহায্য দরকার ছিলো। যখন তারা কালভেরীতে অর্থাৎ মাথার খুলী নামক বদ্ধ ভূমিতে উপস্থিত হয় তখন যীশুকে শায়িত করা হয়। পরে সৈন্যরা শায়িত ক্রুশের উপরে যীশুর হাত ও পায়ে পেরেক লাগায় যা অত্যন্ত সংবেদনশালী ও ব্যথা জনক।
তাঁকে প্রায় নগ্ন করে অপমানা করা হয়। পরে শায়িত ক্রুশকে আক্রমনাত্মক ভাবে গর্তে রাখা হয় যেন ক্রুশ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। এই মূহূর্তে যীশু অবশ্যই প্রচন্ড ঝাঁকনী অনুভব করেন। এ অবস্থায় যীশুর দেহ থেকে প্রচুর ঘাম, হাত ও পা থেকে যেখানে পেরেক মারা হয়েছিল সেখান থেকে রক্ত বের হতে ছিল। রক্ত বের হতেছিল যেখানে চাবুকের আঘাত করা হয়েছিল, ঘুষি মারা হয়েছিল এবং মাথার কাঁটার মুকুট থেকে।
যীশু তখনও শত্রুদের দেখতে পাচ্ছিলেন, শিষ্যদের যারা ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন তাঁর মা ও অন্যান্য মহিলাদের দেখতে পাচ্ছিলেন্। যীশু কোন বিদ্রুপ করেননি বা কোন হিংসা দেখাননি। তিনি তাঁর প্রিয় শিষ্য যোহনের সাথে তাঁর মার জন্য কথা বলেন। তিনি কথা বলেন, অন্য ক্রুশারে।পিত ব্যক্তির সাথে। যীশুর ক্রুশের উপর শুধু ভালবাসার কথা বলেন।
তিনি বলেন, পিতা, এদের ক্ষমা কর।
#যিশাইয় ৫৩ঃ ২-৭ বলে যীশুর এ ভয়াবহ অবস্থা সম্পর্কে বলেছেন ,
“তাহার এমন রূপ কি শোভা পাই যে, তাঁহার প্রতি দৃষ্টিপাত করি;-----''
অবশেষে যীশু সমস্ত বেদনা সহ্য করে পরিত্রাণ কাজ সম্পন্ন করে পিতার কাছে আত্মা সমর্পণ করে মৃত্যু বরণ করেন।
কেন যীশু মারা গেলেন?
পাপের শাস্তি হচ্ছে মৃত্যু। কেননা পাপের বেতন হচ্ছে মৃত্যু। (#রোমীয় 6:23)
এই মৃত্যু থেকেই বাঁচার উপায় হচ্ছে
সুসমাচার। এটা কিভাবে সুসমাচার হতে পারে? আমরা যদি যিশাইয় ৫৩ অধ্যায় লক্ষ্য করি, তাহলে দেখতে পাই: , কিন্তু তিনি আমাদের অর্ধমের নিমিত্ত বিদ্ধ, আমাদের অপরাধের নিমিত্ত চূর্ণ হইলেন। (#যিশাইয় ৫৩ঃ৫)
নিম্নলিখিত পদগুলি পড়ার অনুরোধ করা হলো:
#যিশাইয়- ৫৩ঃ১২
#রোমীয়- ৪ঃ১৪-২৫
#রোমীয়- ৫ঃ৮
#১করি- ১৫ঃ৩
#১পিতর-৩ঃ১৮
#১যোহন ২ঃ২
#গালা ৩ঃ১৩
যীশু তাঁর প্রজাদের জন্য মারা গেছেন। তিনি আমাদের পাপের শাস্তির মূল্য পরিশোধ করেছেন। যীশু আমাদের " বদলি" ( substitution) তিনি আমার স্থানে মারা গেছেন। তিনি শুধু একজন আর্দশ( Model) না কিন্তু তিনি বদলি ( substitution ) ।
তিনি পাপার্থক বলি উৎসর্গ করেছেন যেন ঈশ্বরের সাথে মিলিত হতে পারি। তিনি পুরাতন নিয়মের বলিদান প্রথার পূর্ণতা দিয়েছেন।
যীশু আমাদের মধ্যস্থাকারী।
যীশুই পরিত্রাণ কর্তা।
Mark Driscol বলেন, "যীশু ঈশ্বর, যিনি যে জীবন আমরা যাপন করিনি- তিনি সে জীবন যাপন করেছেন । যে মৃত্যু আমাদের বরণ করার কথা ছিল তিনি সেই মৃত্যু সেচ্ছায় বরণ করেছেন । যে দান ( পরিত্রাণ)আমাদের লাভ করার কথা ছিল না তা তিনি আমাদের সে দান দিয়েছেন।"
সে কারণে আমরা যীশুকে ভালবাসি।
প্রভু যীশু ক্রুশে মৃত্যু বরণের মধ্য দিয়ে কি সম্পন্ন করেছেন?
প্রথমত: যীশুই আমাদের তাঁর ধার্মিকতা দিয়েছেন ।( Justification)
#গালা ২ঃ১৬ বলে , "তথাপি বুঝিয়াছি, ব্যবস্থার কার্য হেতু নয়, কেবল যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা মনুষ্য ধার্মিক গণিত হয়। সেই জন্য আমরাও খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাসী হইয়াছি, যেন ব্যবস্থার কার্য হেতু নয়, কিন্তু খ্রীষ্টে বিশ্বাস হেতু ধার্মিক গণিত হই; কারণ ব্যবস্থার কার্য হেতু কোন মনুষ্য ধার্মিক গণিত হইবে না।"
"ধার্মিকতা"- এটি আইনের শব্দ যা কোর্টে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ স্বরূপ একজন অপরাধী যখন ধার্মিক বিচারকের সামনে দাঁড়ান।
কিভাবে আমরা ধার্মিক গনিত হই?
আমাদের নিজেদের কাজ দ্বারা ? কখনও না।
শুধু বিনামূল্যে প্রাপ্ত উপহার দ্বারা। ধর্ম-কর্ম বা পূর্ণ অর্জন করে কি ঈশ্বরের সন্তুষ্ট অর্জন করা যায়? অনেকে নিজেদের জেলে থাকা অপরাধীদের সাথে তুলনা করেন। মনে করেন তাদের চেয়ে অনেক বেশি ভাল ।
প্রকৃত পক্ষে তুলনা যদি করতে আমাদের তুলনা করা উচিত যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন।
এটা গর্বের ব্যাপার যদি মনে করেন আপনি অনেকের চেয়ে ভাল মানুষ। কারণ আমাদের সৎ কাজ সম্পর্কে #যিশা 64:6 বলে,
"আমরা ত সকলে অশুচি ব্যক্তির সদৃশ হইয়াছি, আমাদের সর্বপ্রকার ধার্মিকতা মলিন বস্ত্রের সমান; আর আমরা সকলে পত্রের ন্যায় জীর্ণ হই, আমাদের অপরাধ সকল বায়ুর ন্যায় আমাদিগকে উড়াইয়া লইয়া যায়।"
সত্য কথা যে, শেষ বিচারের দিনে আমরা সৃষ্টিকর্তাকে বলতে পারবো না যে আমরা কিছু ভাল কাজ করেছি।
ফিলি 3 : 8 পদে.....পৌল বলেন তাঁর আত্মধার্মিকতার কথা যা তিনি মলবৎ ত্যাগ করেছেন যেন খ্রীষ্টে বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে ঈশ্বর প্রদত্ত ধার্মিকতা অর্জন করেন ।
#২করি ৫ঃ২১ আরও বলে, "যীশু খ্রীষ্টের মধ্যে কোন পাপ ছিল না; কিন্তু ঈশ্বর আমাদের পাপ তাঁর উপর তুলে দিয়ে তাঁকেই পাপের জায়গায় দাঁড় করালেন, যেন খ্রীষ্টের সংগে যুক্ত থাকবার দরুন ঈশ্বরের পবিত্রতা আমাদের পবিত্রতা হয়।"
-এই ধার্মিকতা বলেন খ্রীষ্টে বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে আমরা ধার্মিক বলে গনিত হই। যা তিনি আমাদের দান করেন। এটা ঈশ্বরের পক্ষ থেকে দয়া। শুধু খ্রীষ্ট বিশ্বাস দ্বারা। যীশুর কাছ থেকে শুধু অনুগ্রহ দ্বারা :
" ঈশ্বরের দয়ায় বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে তোমরা পাপ থেকে উদ্ধার পেয়েছ। এটা তোমাদের নিজেদের দ্বারা হয় নি, তা ঈশ্বরেরই দান।"
ইফি: 2:8
দ্বিতীয়ত: খ্রীষ্ট যীশুই আমাদের প্রায়শ্চিত্ত বলি।
#১যোহন-৪ঃ১০,
"ইহাতেই প্রেম আছে; আমরা যে ঈশ্বরকে প্রেম করিয়াছিলাম, তাহা নয়; কিন্তু তিনিই আমাদিগকে প্রেম করিলেন, এবং আপন পুত্রকে আমাদের পাপার্থক প্রায়শ্চিত্ত হইবার জন্য প্রেরণ করিলেন।"
ঈশ্বর আমাদের ভালবাসেন কিন্তু তাঁর অবশ্যই পাপের প্রতি ক্রোধ আছে। বাইবেলে বলে ভালবাসার চেয়ে তার ক্রোধের কথা বলে বেশি। ঈশ্বর আপনার প্রতি রাগ করেন কারণ আপনার পাপ; আপনি নিজেকে যতুটকু খারাপ মনে করেন তার চেয়ে বেশি আপনি পাপী এবং আপনি কষ্টের কে যতটুকু ভাল মনে করেন তার চেয়ে তিনি উত্তম।
ঈশ্বরের অবশ্যই পাপের জন্য রাগ করতে হয়- কারণ তিনি উত্তম। তাঁকে পাপের জন্য শাস্তি দিতে হয় কারণ তিনি ধার্মিক। তাঁর বিচারের দাবী যেন প্রতিটি পাপের অবশ্যই পূর্ণরূপে মূল্য পরিশাধ করতে হবে। ঈশ্বরের বিচারের দাবী দাওয়া যীশু ঈশ্বরের ভালবাসার জন্যে পূর্ণ করেছেন।যা প্রায়চিত্ত্ব বলির মতবাদ নামে পরিচিত। সর্বশেষে, প্রকৃত বিচার সম্পন্ন হবে।
রক্তের মধ্যে জীবন থাকে, পাপ মৃত্যু দাবী করে, ঈশ্বর তাই রক্তের বলিদান দাবী করেন। যেখানে রক্ত সেখানেই জীবন। যখন তা ঢেলে দেওয়া হয় তখন মৃত্যু আসে। ঈশ্বরের ক্রোধ আমদের পরিবর্তে যীশুর উপরে ঢালা হয়েছে। যীশুই সেই ঈশ্বরের মেষ শাবক যিনি জগতের পাপভার নিয়ে যান।
তৃতীয়ত: যীশুতেই আমরা মুক্তি পাই।
ঈশ্বর তাঁর সস্তানদের ভালবাসেন। তারা ভুল করলে শাসন করেন ও শৃঙ্খলায় নিয়ে আসেন যেন তারা সৎ জীবন গঠন করতে পারেন।
যেমন : পিতা তার সন্তানদের জন্য করেন।
পিতা ঈশ্বর যীশুকে আমাদের জন্য শাস্তি দিয়েছেন, তিনি এখন আমাদের শাস্তি দেন না। তিনি আমাদের খারাপ সময় পার করতে সমর্থন করেন যেন আমাদের মঙ্গল হয় এবং এর মধ্যে দিয়ে যেন তাঁর মহিমা প্রকাশিত হয়।
যীশু আমাদের পাপ, লজ্জা, মলিনতা, অপরাধ হীনমন্যতা ও মন্দতা থেকে পরিষ্কার করেন। যারা যীশুর আহবানে সাড়া দেয় যীশু তাদেরকে পরিষ্কার করবেন, ধার্মিক গনিত করবেন এবং ঈশ্বরের দৃষ্টিতে উত্তম হিসেবে তৈরী করা হবে। একটাই কারণ যীশুর ক্রুশ। বিচারের দিন আমরা সাদা বস্ত্র পরিধাণ করব। উদাহরণ স্বরূপ একজন মহিলা ব্যভিচার করল যখন সে বাগদত্তা হল। তখন তার অপরাধ শুনতে পেরে প্রভুর কাছে ক্ষমা চাইল। পরে তাঁর স্বামী বাইরে নিয়ে সাদা পোশাক তাকে পরিয়ে দিলো। তিনি পরে বলেন, তিনি তাকে যেভাবে দেখেন সে ভাবে ঈশ্বর তাকে দেখেন।
ক্রুশ কি ঈশ্বরের ভালবাসার বিপরীতে করে?
না, ক্রুশীই ঈশ্বরের ভালবাসা।
$যিহিষ্কেল ১৮ঃ২৩ পদ বলে,
"দুষ্ট লোকের মরণে কি আমার কিছু সন্তোষ আছে? ইহা প্রভু সদাপ্রভু কহেন; বরং সে আপন কুপথ হইতে ফিরিয়া বাঁচে, ইহাতে কি আমার সন্তোষ হয় না?"
আপনি এখানে দেখতে পারেন ঈশ্বর আমাদের কত ভালবাসেন। লক্ষ্য করুন আমরা কেমন পাপী দেখুন যোহন ৩ঃ১৬ পদে ঈশ্বর আমাদের কত ভালবাসেন। নিজের জীবন দানের চেয়ে এত ভালোবাসার আর হতে পারে না।
#রোমীয় 5:8 বলে ,
"কিন্তু ঈশ্বর আমাদের প্রতি তাঁহার নিজের প্রেম প্রদর্শন করিতেছেন; কারণ আমরা যখন পাপী ছিলাম, তখনও খ্রীষ্ট আমাদের নিমিত্ত প্রাণ দিলেন।"
#১যোহন ৪ঃ৯ বলে,
"আমাদের মধ্যে ঈশ্বরের প্রেম ইহাতেই প্রকাশিত হইয়াছে যে, ঈশ্বর আপনার একজাত পুত্রকে জগতে প্রেরণ করিয়াছেন, যেন আমরা তাঁহার দ্বারা জীবন লাভ করিতে পারি।"
আপনি যদি লক্ষ্য করেপ তাহলে দেখবেন প্রভু যীশু আমাদের সাথে চিহিৃত হয়েছেন, আমাদের সাথে বাস করেছেন, আপনার জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন এবং পুনরুত্থিত হয়েছেন। যীশু আমাদের সকলকে তাঁর কাছে আসার জন্যে আহবান করছেন। আমি আপনাদের বিনীত করছি পরিত্রাণ গ্রহণ করুন, পাপের জন্য অনুতপ্ত হোন। যীশুর কাছে প্রার্থনা করুন যেন তিনি আপনার পাপ ক্ষমা করেন এবং তাঁতেই আপনি পথ খোঁজে পাবেন।
খোলা নিমন্ত্রন:
এই অপূর্ব অনুগ্রহ গ্রহণ করার জন্য খোলা নিমন্ত্রণ।
যীশু কি আপনার জন্য ক্রুশে মারা গেছেন।
#মথি ১১ঃ২৮-৩০
"হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব।
আমার জোয়ালি আপন স্কন্ধে তুলিয়া লও, এবং আমার নিকটে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত; তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে।কারণ আমার জোয়ালি সহজ ও আমার ভার লঘু।"
ঈশ্বর তাঁর প্রজাদের সহিষ্ণুতার বর দান করেন যেন সারা জীবন সহ্য করতে পারে। তাই তাঁর দিকে যেন দৃষ্টি রাখি এবং যীশুকেই স্মরণ করি। আমেন।
(Based upon a sermon by Mark Driscol, Mars Hill Church, Seattle, USA)