সংক্ষিপ্ত উত্তর: হ্যাঁ, খ্রীষ্টানদের বিচার হবে, তবে ভালো কাজের জন্য।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
ঈসা মসীহ বলেন, “আমি আপনাদের সত্যই বলছি, আমার কথা যে শোনে এবং আমাকে যিনি পাঠিয়েছেন তাঁর কথায় ঈমান আনে, তার অনন্ত জীবন আছে। তাকে দোষী বলে স্থির করা হবে না; সে তো মৃত্যু থেকে জীবনে পার হয়ে গেছে” (#যোহন ৪:২৫)।
এই আয়াত থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়, খ্রীষ্টানরা দোষের অধীন নয়। কারণ দোষ থেকে মুক্ত করার জন্য ঈসা মসীহ প্রাণ দিয়েছিলেন। ইঞ্জিল ও তৌরাত শরিফ অনুযায়ী শরিয়ত মানুষকে দোষী করে। শরিয়ত অনুযায়ী মানুষ আদি থেকে দোষী সাব্যস্ত। অবাধ্যতার ফলে, দুনিয়াতে পাপ এসেছে এবং মানুষ গুনাহগার হয়েছে। শরিয়ত দেওয়া হয়েছে যেন মানুষ তার এই অবস্থা বুঝতে পারে। আল্লাহ ন্যায়বিচারক, তিনি কখনও অন্যায় করেন না। অপরদিকে তিনি মানুষকে ভালোবাসেন এবং এই ভালোবাসার জন্যই তিনি হজরত ঈসা মসীহকে কোরবানি হিসাবে দিয়েছেন যেন গুনাহর উপযুক্ত বিচার হয়। এই দিক থেকে খ্রীষ্টাআদের বিচার হয়ে গেছে এবং শরিয়ত অনুসারেই সেই বিচার হয়েছে। সেই বিচারের রায় অনুসারে মানুষের পক্ষে ঈসা নিজেই শাস্তি গ্রহণ করেছেন।
খ্রীষ্টানদের বিচার: আমরা জানি যে, ঈসা একদিন এই দুনিয়াতে ফিরে আসবেন। তিনি সিংহাসনে বসবেন, রাজত্ব করবেন ও বিচার করবেন। তখন অবিশ্বাসী লোকদের পাশাপাশি ঈসায়ীদেরও বিচার করবেন (#মথি ২৫:৩১,৩২)।
সেই সময় অনেককে মসীহ বলবেন, যখন আমার খিদে পেয়েছিল, যখন পিপাসা পেয়েছিল, যখন খালি গায়ে ছিলাম, যখন অসুস্থ হয়েছিলাম তখন তোমরা আমার দেখাশোনা করেছিলে। তখন লোকেরা বলবে, কখন এসব করেছিলাম?
আর তিনি উত্তর দেবেন, যখন দুনিয়ার লোকদের প্রতি করেছিলে, তখন। এই লোকদের আরো বলবেন, ‘তোমরা আমার পিতার দোয়া পেয়েছ, এস। দুনিয়ার শুরুতে যে রাজ্য তোমাদের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে তার অধিকারী হও।’ ইঞ্জিল শরিফে ঈসা বলেন, “এই কথা শুনে আশ্চর্য হবেন না, কারণ এমন সময় আসছে, যারা কবরে আছে তারা সবাই ইবনে-আদমের গলার আওয়াজ শুনে বের হয়ে আসবে, যারা ভাল কাজ করেছে তারা জীবন পাবার জন্য উঠবে, আর যারা অন্যায় কাজ করে সময় কাটিয়েছে তার শাস্তি পাবার জন্য উঠবে” (#যোহন ৫:২৮-২৯)।
#রোমীয় ৮:১ অতএব এখন, যাহারা মসীহ ঈসাতে আছে, তাহাদের প্রতি কোন দণ্ডাজ্ঞা নাই।