আজকের বাক্য
২৬ মে, ২০২০
আজকের বাক্য (২৬ মে, ২০২০)
‘‘শান্তি আমি তোমাদের কাছে রাখিয়া যাইতেছি, আমারই শান্তি তোমাদিগকে দান করিতেছি; জগৎ যেরূপ দান করে, আমি সেরূপ দান করি না…।" (যোহন ১৪:২৭)
যখন একজন ব্যক্তি খ্রীষ্টকে জানেন, সেখানে একটি স্থায়ী আভ্যন্তরীন শান্তি সৃষ্টি হয়, যা পৃথিবীর অন্য কারও কাছে থাকে না।
সেই ব্যক্তি যিনি খ্রীষ্টের “মধ্যে” থাকেন, এবং যিনি প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে তার সমস্যা যীশু নামে ঈশ্বরের প্রতি সমর্পন করেন, তার কাছে এক অদ্ভূত ধরণের শান্তি থাকে, যাকে বাইবেল বলছে “সমস্ত চিন্তার অতীত, যে ঈশ্বরের শান্তি” (ফিলিপীয় ৪:৭ )। এই জগত সেই শান্তি সাধারণভাবে বুঝতে পারে না যে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা কেন গ্রেপ্তার হওয়া, অত্যাচারিত হওয়া, কারাবন্দী হওয়া, এবং শাস্তি পাওয়ার মত ঘটনার মধ্যে দিয়ে যাবেন – যেমনটি নাকি আজ এখন বিশ্বের চতুর্দিকের বহু রাষ্ট্রেই হয়ে চলেছে।
এই শান্তির অর্থ এই নয় যে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের মধ্যে কোন আভ্যন্তরীন দ্বন্দ, ভাবাবেগ গত কোন সমস্যা, বা শারীরিক কোন অসুস্থতা নেই। বিশ্বে বহু সুসমাচার প্রচার সংক্রান্তেরা সাফল্য, উন্নতি, প্রশান্তি, সুখ, এবং স্ব-উন্নতি নিয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আছেন। তার বিশ্বাসের জন্য মাথা নিচের দিকে করে ঝুলিয়ে দেওয়া একজন চীনা খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর কাছে অথবা কিউবাতে বসবাসকারী একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর কাছে, যিনি পাঁচ বছরের জন্য একাকী কারাবন্দী ছিলেন, অথবা যীশুতে বিশ্বাস করার জন্য মৃত্যুর সম্মুখীন হওয়া ইরানের একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর কাছে এই বিষয়গুলি হাস্যকর বলে মনে হবে।
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির এই সমস্ত তাড়নাগ্রস্ত খ্রীষ্ট বিশ্বাসীগণ যীশু কি বলতে চেয়েছিলেন সেটা বোঝার জন্য অনেক বেশী কাছে এসেছেন যখন যীশু বলেছিলেন, “এই সমস্ত তোমাদিগকে বলিলাম, যেন তোমরা আমাতে শান্তিপ্রাপ্ত হও” (যোহন ১৬:৩৩)| আমি মনে করি তারা বুঝে থাকবেন যে এই শান্তি একটি আভ্যন্তরীন শান্তভাবের সঙ্গে সংযুক্ত অবস্থার উল্লেখ করছে, যা এই জ্ঞানের ফলস্বরূপ প্রাপ্ত যে, তাদের পাপের ক্ষমা হয়েছে এবং ঈশ্বর তাদের সম্পর্কে যত্নশীল।
