top of page
  • Black Facebook Icon
  • Black YouTube Icon
  • Black Instagram Icon
Search

স্বর্গ কোথায়? সেখানে কেমন করে আমরা যেতে পারি?

Updated: Apr 25, 2020



বর্তমান বিশ্বে ৭৫০ কোটি লোক। অসংখ্য জাতি, গোষ্ঠী ও ধর্মে বিভক্ত, ঈশ্বর বিহীন নাস্তিকবাদ, ও উগ্রপন্থী মৌলবাদী সন্ত্রাসী, দালাই লামা, একজন কারারুদ্ধ আত্নোঘাতি বোমাবাজ, ইহুদী, ক্যাথলিক, ইভ্যানজেলিক্যাল, এবং মুসলিল ধর্মতত্ত্ববিদদের কথা সকলে একই সুরে কথা বলছেন - আমরা কেমন করে পাপের শাস্তি হইতে পরিত্রাণ পেতে পারি?


এই প্রশ্ন বিশেষ করে ইভ্যানজেলিক্যাল চার্চের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ এর উপর বিস্তর আলোচনা করার আগে আসুন যীশুর চরম সত্য যে দাবি করে তা দিয়ে আমাদের মনকে একটু চাঙ্গা করে নেই।


খ্রিস্টান বিশ্বাস ও বাইবেল আমাদের এই শিক্ষা দেয় যে, পরিত্রাণের জন্য একটি সতন্ত্র প্রেক্ষাপট আছে  - যীশু খ্রিস্টই একমাত্র প্রভু ও পরিত্রাণকর্তা। বাইবেল শিক্ষা দেয় যে, পরিত্রাণের প্রেক্ষাপট বা পটভূমি হল একজন ব্যক্তি, কিন্তু ধর্ম নয়, সেই ব্যক্তি যীশু ছাড়া আর কেউ নয়। সুতরাং #প্রেরিত ৪:১২ পদে পিতর বলেছেন


" আর অন্য কাহারও কাছে পরিত্রাণ নাই; কেননা আকাশের নীচে মনুষ্যদের মধ্যে দত্ত এমন আর কোন নাম নাই, যে নামে আমাদিগকে পরিত্রাণ পাইতে হইবে।"


পিতর এই কথা বলছেন কারণ যীশুই ঘোষণা করেছেন, যীশু দাবি করেছেন, "আমিই পথ, সত্য আর জীবন। আমার মধ্য দিয়ে না গেলে কেউই পিতার কাছে যেতে পারে না।" (#যোহন ১৪:৬ পদ)।


এই দাবি সকল ধর্মেকে কঠিন চ্যালেঞ্জ করে ও বলে যীশু ছাড়া ধর্মগুলো পিতার কাছে অর্থাৎ স্বর্গে যেতে পারে না, এই ক্ষমতা বিশ্বের কোন ধর্মের নেই, কেবল ঈশ্বর পুত্র যীশুই এই ক্ষমতার অধিকারী - একমাত্র একজন ব্যক্তি, যীশু হলেন পরিত্রাণদাতা। এটা যীশুর সময়ে যেমন সত্য, আজ একবিংশ শতাব্দীতেও সমভাবে প্রযোজ্য, যীশু পাথুরে সবাই উছোট খায় সেরকমই রয়ে গেছে।


পরিত্রাণ একমাত্র যীশুর মধ্য দিয়ে, যিনি ঈশ্বরের পুত্র, ঈশ্বর হইতে জাত, যিনি ঈশ্বর - মানব, যিনি সমস্ত শরিয়ত পালন করে একটি নিখুত জীবন কাটিয়েছেন, যিনি শরিয়তের অভিষাপ হইতে পাপিদের পরিত্রাণের জন্য ক্রুশে কুরবানী হয়েছেন, যিনি একমাত্র মৃত্যুদের হইতে পুনুরুন্থিত হয়েছেন,যিনি একমাত্র স্বর্গে আহোরণ করেছেন এবং যিনি একাই আবার এই পৃথিবীর বিচার করতে আসবেন এবং তাঁর কাছে তার লোকদের সংগৃহীত করবেন।


হ্যা, এই পৃথিবীতে যীশু ছাড়া আর কোন পরিত্রাণদাতা নেই, অন্য কোন নাম নেই, যার মধ্য দিয়ে আমরা পাপ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি।


খ্রিস্টান বিশ্বাস এই শিক্ষা দেয় পরিত্রাণের বার্তা - সুসমাচার,  প্রচার শুনা, সুসমাচারে বিশ্বাস আনা। কেননা খ্রিস্টান বিশ্বাস সব সময় শিক্ষা দিয়ে থাকে প্রচারের প্রয়োজনের উপর, সুসমাচার শ্রবণ করা ও লোকদের বিশ্বাস করতে উৎসাহিত করা যেন লোকেরা পরিত্রাণ পেতে পারে।


পৌল #রোমীয় ১০:১৩-১৫ পদ, "কারণ, যে কেহ প্রভুর নামে ডাকে, সে পরিত্রাণ পাইবে। তবে তাহারা যাঁহাতে বিশ্বাস করে নাই, কেমন করিয়া তাঁহাকে ডাকিবে? আর যাঁহার কথা শুনে নাই, কেমন করিয়া তাঁহাতে বিশ্বাস করিবে? আর প্রচারক না থাকিলে কেমন করিয়া শুনিবে? আর প্রেরিত না হইলে কেমন করিয়া প্রচার করিবে? যেমন লিখিত আছে, “যাহারা মঙ্গলের সুসমাচার প্রচার করে, তাহাদের চরণ কেমন শোভা পায়।”


ঈশ্বর এই পদ্ধতিতে কাজ করেন এর উপর প্রচারের প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে যেমন পৌল ১৭ পদে বলেছেন, "অতএব বিশ্বাস শ্রবণ হইতে এবং শ্রবণ খ্রীষ্টের বাক্য দ্বারা হয়।"


পরিশেষে,  খ্রিস্টান বিশ্বাস এই শিক্ষা দেয়


এটির পরিধি "সর্ব জাতির জন্য"। যখন পবিত্র আত্নার মধ্য দিয়ে পিতা ঈশ্বর প্রভু যীশুকে মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুললেন, তিনি যীশুকে ঈশ্বর ও মানুষের মধ্যস্থ করলেন, পূর্ণ ক্ষমতা দিলেন, আমাদের চুক্তির প্রধান হিসাবে - স্বর্গ ও দুনিয়ার সমস্ত ক্ষমতা তাঁকে দান করলেন। 


এই কারণে পুনুরুন্থিত যীশু তাঁর শিষ্যদের এই হুকুম দিলেন,


"তখন যীশু নিকটে আসিয়া তাঁহাদের সহিত কথা কহিলেন, বলিলেন, স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কর্ত্তৃত্ব আমাকে দত্ত হইয়াছে। অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর;আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সে সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও। আর দেখ, আমিই যুগান্ত পর্য্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।" (#মথি ২৮:১৮-২০)


সারা পৃথিবীর লোকদের জন্য সুসমাচারের এই ব্যাপকতা যার জন্য যীশুর এই দাবি যে, খ্রিস্ট মনোনিতদের জন্য মৃত্যু বরণ করেছেন -

#প্রকাশিত বাক্য ৫:  ৯ আর তাঁহারা এক নূতন গীত গান করেন, বলেন, "তুমি ঐ পুস্তক গ্রহণ করিবার ও তাহার মুদ্রা খুলিবার যোগ্য; কেননা তুমি হত হইয়াছ, এবং আপনার রক্ত দ্বারা সমুদয় বংশ ও ভাষা ও জাতি ও লোকবৃন্দ হইতে ঈশ্বরের নিমিত্ত লোকদিগকে ক্রয় করিয়াছ;"


বাইবেলে পরিত্রাণের বার্তা প্রচারের জন্য তিনটি সতন্ত্র বিষয় আছে তা হলো  - প্রচার, শুনা, এবং যীশুর সুসমাচারে ঈমান আনা - সর্বজাতি।


তবে, এখানে দুটি গুরুপূর্ণ ব্যতিক্রম আছে যা আমাদের আলোচনা করা প্রয়োজন, তা না হলে পরিত্রাণের এই শিক্ষা প্রশ্ন বৃদ্ধ হবে -


সুসমাচার শ্রবণ করা ও তাতে বিশ্বাস করার মধ্যে দিয়ে পরিত্রাণের জন্য দুটি ব্যতিক্রম একটি হল, শিশু কালে মৃত্যু বরণ এবং মনোনিত মানসিক প্রতিবন্ধি লোক। যারা মনোনিত শিশু, চুক্তির শিশু যারা শিশু কালে মারা যাচ্ছে, তারা নতুন জন্মপ্রাপ্ত, এবং যীশুর রক্ত কতৃর্ক উদ্ধারপ্রাপ্ত কেননা যীশু ঈশ্বরের মনোনিত ব্যক্তিদের জন্য মারা গিয়েছেন।


এখন প্রশ্ন হলঃ যারা কখনোই যীশুর সুসমাচার শুনে নি, যীশুকে জানে না, অথবা তাঁর উপর বিশ্বাস করে নি, তারা কি তাদের সৎ কাজ দিয়ে জীবনযাপন করলে পরিত্রাণ পাবে? 


#উত্তরঃ যারা কখনোই সুসমাচার শুনে নি (#রোমীয় ১০:১৪) এবং যীশুকে কখনই জানে নি (#২থিষল ১:৮-৯; #ইফি ২:১২; #যোহন ১:১০-১২), এবং তাঁকে বিশ্বাস করে নি, তারা নাজাত পেতে পারে না -(#যোহন ৮:২৪) যীশু ছাড়া ভিন্ন কোন উপায়ে পরিত্রান নেই, কিন্তু মাত্র যীশুতেই নাজাত, যীশুই একমাত্র পরিত্রাণদাতা তাঁর দেহ রুপ চার্চ (#প্রেরিত ৪:১২, #যোহন ১৪:৬, #ইফি ৫:২৩)।


আমি, বাইবেল পড়ে স্বর্গ সম্পর্কে এই উপসংহারে পৌছেছি, যীশুই স্বর্গ, যীশুর সংগে থাকাই হল স্বর্গে থাকা - তাই সর্বজাতির লোকদের আহবান করছি যীশুর সংগে যুক্ত হন - তিনিই স্বর্গ।


15 views0 comments

Comments


আমাদেরকে অনুসরণ করুন

আমাদের সামাজিক মিডিয়ায় খুঁজুন
  • Facebook - White Circle
  • YouTube - White Circle
  • Instagram - White Circle
@ekmatroshotto

©2020 by The Only Truth

একমাত্রসত্য creates awareness about Christ followers (“Christians”) in Bangladesh and Bengali speaking people of the world. We also encourage and motivate Churches and Christ followers on evangelism to the other religion followers in their own communities. 

bottom of page