top of page
  • Black Facebook Icon
  • Black YouTube Icon
  • Black Instagram Icon
Search

সংঙ্কীর্ণ দ্বার ও প্রশস্ত দ্বার বলতে যীশু কি বুঝিয়েছেন?


প্রিয়পাঠক, মথি ৭:১৩-১৪ পদে যীশু বলেন, "সঙ্কীর্ণ দ্বার দিয়া প্রবেশ কর; কেননা সর্ব্বনাশে যাইবার দ্বার প্রশস্ত ও পথ পরিসর, এবং অনেকেই তাহা দিয়া প্রবেশ করে; কেননা জীবনে যাইবার দ্বার সঙ্কীর্ণ ও পথ দুর্গম, এবং অল্প লোকেই তাহা পায়।"


১। সঙ্কীর্ণ দ্বার অর্থ কি যা দিয়ে প্রবেশ করতে হবে?


২। সর্ব্বনাশের পথ কি যা প্রশস্ত পথ, বহুলোক এই পথে এর অর্থ কি?


৩। যীশুতে বিশ্বাসীগন কোন পথে? সঙ্কীর্ণ না কি প্রশস্ত পথে ? 


আমাদের খ্রীষ্টীয় সমাজে বহু মতবাদ গত ধর্মতাত্ত্বিক মত পার্থক্য রয়েছে। তবে যীশু খ্রীষ্ট ত্রাণকর্তা এই বিশ্বাসে কোন মত পার্থক্য নেই। কিন্তু অনেকে যীশুতে পরিত্রাণের শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি ব্যবস্থা পালনের প্রতি ঝুকে পড়ছেন, যা সুসমাচারের শক্তিকে দূর্বল করছে। এখানে আমি এটি বলছি না ব্যবস্থা পালন করা খ্রীষ্টান হিসাবে উচিৎ নয় বা ব্যবস্থা পালন করা যাবে না। আমরা ইতি মধ্যেই যীশুতে ব্যবস্থা লঙ্ঘনের দোষ হইতে খ্রীষ্ট দ্বারা মুক্তি পেয়েছি, ব্যবস্থার কোন কতৃত্ব আমাদের উপর নেই। আমরা যীশুতে ব্যবস্থা পালন করবো ঈশ্বরের গৌরবের জন্য, পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য নয়। কেননা পরিত্রাণ শুধু বিশ্বাস দিয়ে যীশুতে পাওয়া যায়।


রোমীয় ৩:২০-২১ "যেহেতুক ব্যবস্থার কার্য্য দ্বারা কোন প্রাণী তাঁহার সাক্ষাতে ধার্ম্মিক গণিত হইবে না, কেননা ব্যবস্থা দ্বারা পাপের জ্ঞান জন্মে।কিন্তু এখন ব্যবস্থা ব্যতিরেকেই ঈশ্বর-দেয় ধার্ম্মিকতা প্রকাশিত হইয়াছে, আর ব্যবস্থা ও ভাববাদিগণ কর্ত্তৃক তাহার পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়া হইতেছে।"


যীশু শিষ্যদের পরিস্কার বলছেন, এই পৃথিবীর সকল মানুষ দুটি পথে চলছে।


১। সঙ্কীর্ণ পথ: যা দূর্গম

২। প্রশস্ত পথ, যা সর্বনাশ করে।


১। সঙ্কীর্ণ ও দূর্গম পথ যীশুঃ প্রভু যীশু যোহন লিখিত সুসমাচারে নিজেকে মেষদের দ্বার বলেছেন। মেষ অর্থ যীশুতে পরিত্রাণপ্রাপ্ত প্রত্যেক বিশ্বাসী, যাদের ঈশ্বর জগৎ সৃষ্টির পূর্বে মনোনিত করেছেন। এই মনোনিতরা যীশু পথে আছে, যা সঙ্কীর্ণ ও দূর্গম পথ কেননা যীশু বলেন -


  "কিন্তু যে কেহ শেষ পর্য্যন্ত স্থির থাকিবে, সেই পরিত্রাণ পাইবে।" (মথি ২৪:১৩)


"যীশু তাঁহাকে বলিলেন, আমিই পথ ও সত্য ও জীবন; আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকটে আইসে না।" (যোহন ১৪:৬)


২। প্রশস্ত ও সর্বনাশের পথঃ যীশু ছাড়া সকল ধর্মীয় পথ সকল প্রশস্ত, প্রলোভনে ভরপুর, জাগতিক সুখের দ্বার এখানে মানুষের অবস্থান প্রচুর, কিন্তু এই পথের শেষ স্বর্গ নয় কিন্তু নরকের যন্ত্রণা। এই পৃথিবীর জাগতিক মানুষরা এই পথেই চলছে, এমন কি এরা প্রতিনিয়ত এই পথে মনোনিতদের আহবান করছেন।


যীশু দুটি পথের বিষয়ে মথি লিখিত সুসমাচারে শিষ্যদের পরিস্কার বলেছেন, কেননা যীশুতে জীবন ও পিতার গন্তব্য আছে, শিষ্যরা যীশুতে কোন ভূল সিদ্ধান্ত নেয় নি, তারা সঠিক পথেই আছে।


যীশুতে বিশ্বাসী প্রত্যেক খ্রীষ্টান, সঙ্কীর্ণ ও দূর্গম পথ, যীশুতে আছেন। তারা সর্বনাশের পথে নেই। যদি কোন খ্রীষ্টান যীশুতে পরিত্রাণ অস্বীকার করে, এবং ব্যবস্থা পালনের দ্বারা একই সংগে যীশুকে বিশ্বাসের দ্বারা পরিত্রাণের কথা বলে এটি অবশ্যই বিপদজনক। কেননা সে যীশুর রক্তের দ্বারা পরিত্রাণের মূল্য তার পাপময় জীবনে উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সে স্বর্গীয় আসির্বাদ যীশুর রক্তের আসির্বাদ বুঝতে পারছেন না, কারণ ঈশ্বরের পবিত্র আত্মার পরিচালনায় সে চিন্তা করছেন না, তার চিন্তা ব্যবস্থার জ্ঞানে আবদ্ধ।  কারণ এই পৃথিবীর সমুদয় পাপ ক্ষমার জন্য যীশুর এক ফোটা ক্রুশে পাতিত রক্তই যতেষ্ট।


অতএব - যীশুতে বিশ্বাসী কোন খ্রীষ্টান  সর্বনাশের পথে চলছে এটি বলা যাবে না, যতক্ষণ না সে যীশুকে ত্রাণকর্তা বলে স্বীকার করে। মথি লিখিত সুসমাচারের শিক্ষায় - দুটি পথের কথা বলা হচ্ছে একটি যীশু পথ অপরটি যীশু ছাড়া অন্য সকল পথ। কিন্তু খ্রীষ্টানরা যীশু পথেই চলছে -


"অতএব এখন, যাহারা খ্রীষ্ট যীশুতে আছে, তাহাদের প্রতি কোন দণ্ডাজ্ঞা নাই।" (রোমীয় ৮:১)

 
 
 

Recent Posts

See All

বড়দিনের আধ্যাত্মিক বার্তা: গীতসংহিতা ২:১-১২ এর অন্তর্দৃষ্টি

গীতসংহিতা ২:১-১২ পদ “জাতিগণ কেন কলহ করে? লোকবৃন্দ কেন অনর্থক বিষয় ধ্যান করে? পৃথিবীর রাজগণ দণ্ডায়মান হয়, নায়কগণ একসঙ্গে মন্ত্রণা করে,...

Comments


আমাদেরকে অনুসরণ করুন

আমাদের সামাজিক মিডিয়ায় খুঁজুন
  • Facebook - White Circle
  • YouTube - White Circle
  • Instagram - White Circle
@ekmatroshotto

©2020 by The Only Truth

একমাত্রসত্য creates awareness about Christ followers (“Christians”) in Bangladesh and Bengali speaking people of the world. We also encourage and motivate Churches and Christ followers on evangelism to the other religion followers in their own communities. 

bottom of page