top of page
  • Black Facebook Icon
  • Black YouTube Icon
  • Black Instagram Icon
Search

সত্য হলো বাইবেলের যীশু, কিন্তু মুহাম্মাদ তাঁকে ঈসা বলেছেন কেন?


আল্লাহ্‌র কালামে নবীদের নামের অর্থ খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকসময়ে আল্লাহ্‌ মানুষকে ডাক দেওয়ার সময়ে তাদের একটি নতুন নাম দিয়েছিলেন – যেমন হযরত ইবরাহিম বা হযরত ইয়াকুব। তাদের নামে তাদের ভূমিকা বা কাজ জানা যায়। যেমন ‘আদম’ মানে ‘মানুষ’, ‘ইবরাহিম’ মানে ‘অনেক জাতির পিতা’, ‘মূসা’ মানে ‘বের করে আনা’ (মিসরের গোলামি থেকে তিনি বনি-ইসরাইল বের করে এনেছিলেন), ইত্যাদি।


যীশুর ক্ষেত্রে, তার নামে তার জীবনের কাজ জানা যায়, কারণ ‘যীশু’ শব্দ হিব্রু 'ইয়াসুয়া' থেকে আসে। হিব্রু ক্রিয়া, 'ইয়াসা', এর অর্থ 'পরিত্রান করা', 'রক্ষা করা' , 'উদ্ধার করা', ‘নাজাত করা’ বা ‘নাজাতদাতা’। তাই ‘যীশু’ এবং ‘মসীহ্‌’ এই দুই নাম যোগ করলে অর্থ হয় “মনোনীত নাজাতদাতা”।


যীশু নামটা এসেছে হিব্রু শব্দ 'ইয়াসুয়া' থেকে। ইয়াসুয়ার আরবি হলো 'ইয়াসু (يَسُوعَ)'। তাই আমরা দেখি আরবি বাইবেলে যীশুকে 'ইয়াসু' বলা হয়। কিন্তু কোরান এবং মোহাম্মদ 'ইয়াসু' কে ঈসা বলেছেন। এখন দেখি ঈসা নামটা কোথা থেকে এসেছে? কোরানের (আরবি) ঈসা ( عيسى) এসেছে হিব্রু শব্দ 'ঈসাও' (Esau) থেকে।


মুহাম্মদ বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে ইয়াসু কে ঈসা বলেছেন। তার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে, সেই কারণ হচ্ছে এই যে, যীশু পাপিদের ত্রাণকর্তা এই সুসমাচারের উপর একটি কালো আবরণ দিয়ে ঢেকে দেওয়ার বৃথা চেষ্টা মাত্র । এই সম্পর্কে যীশু শিষ্যদের শতর্ক করেছেন:


'কারণ ভণ্ড খ্রীষ্টেরা ও ভণ্ড ভাববাদীরা উপস্থিত হয়ে বহু বড় বড় চিহ্ন ও অলৌকিক কর্ম করে দেখাবে, যেন সম্ভব হলে মনোনীতদেরও প্রতারিত করতে পারে। দেখো, ঘটনা ঘটবার পূর্বেই আমি তোমাদের একথা বলে দিলাম। ' (মথি ২৪:২৪-৫)


পুরাতন নিয়মে নবিদের, (১রাজাবলি ১৯:১৬ পালকদের যাত্রাপুস্তক ২৯:৭ বাদশাদের ১শমূয়েল ১০:১) অভিষেক হয়েছিল তৈল দ্বারা, যাকে পবিত্র আত্মার প্রতীকরূপে ধরা হত। এ অভিষেকের দ্বারা তারা তাদের কাজের জন্য আলাদাকৃত ছিলেন এবং বিশেষ কাজের জন্য তারা যোগ্য হয়েছিলন।


যীশু মসীহ নবি, পালক/ইমাম (Pastor) ও রাজার মত ত্রিধর্মীয় কাজের জন্য পবিত্র আত্মা (Holy Spirit) দ্বারা  অভিষিক্ত হলেন। ঐতিহাসিক ভাবে তিনি যখন পবিত্র আত্মা দ্বারা মরিয়ম গর্ভে এলেন এবং যোহন-বাপতাইজিত দ্বারা Baptism নিলেন, তখনই যীশু মসিহের অভিষেক সম্পন্ন হল।


যীশুর জন্মের আগে একজন ফেরেশতা বিবি মরিয়মের কাছে প্রকাশ করেছিলেন যে পাক-রূহের কুদরতীতে যে সন্তান হবে তার নাম “যীশু” রাখা হবে। এই নাম দেওয়ার কারণ নিয়ে কোন সন্দেহ নাই, কারণ ফেরেশতা এইভাবে বলেছিলেন—


'কিন্তু একথা বিবেচনার পরে, স্বপ্নে প্রভুর এক দূত তাঁর কাছে আবির্ভূত হয়ে বললেন, “দাউদ-সন্তান যোষেফ, তোমার স্ত্রীরূপে মরিয়মকে ঘরে নিতে ভয় পেয়ো না, কারণ তাঁর গর্ভধারণ পবিত্র আত্মা থেকে হয়েছে। তিনি এক পুত্রের জন্ম দেবেন ও তুমি তাঁর নাম যীশু রাখবে, কারণ তিনিই তাঁর প্রজাদের তাদের সব পাপ থেকে পরিত্রাণ দেবেন।” এই সমস্ত ঘটনা ঘটল, যেন ভাববাদীর মুখ দিয়ে প্রভু যা বলেছিলেন, তা পূর্ণ হয়: “সেই কুমারী-কন্যা গর্ভবতী হবে এবং এক পুত্র-সন্তানের জন্ম দেবে, আর তারা তাঁকে ডাকবে ইম্মানুয়েল” নামে, যার অর্থ, “ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে আছেন।” ' (মথি ১:২০-২৩)




 
 
 

Recent Posts

See All

বড়দিনের আধ্যাত্মিক বার্তা: গীতসংহিতা ২:১-১২ এর অন্তর্দৃষ্টি

গীতসংহিতা ২:১-১২ পদ “জাতিগণ কেন কলহ করে? লোকবৃন্দ কেন অনর্থক বিষয় ধ্যান করে? পৃথিবীর রাজগণ দণ্ডায়মান হয়, নায়কগণ একসঙ্গে মন্ত্রণা করে,...

1 Comment


Sudan Sikder
Sudan Sikder
Jun 15, 2020

Very good analysis! Thanks! Blessings.

Like

আমাদেরকে অনুসরণ করুন

আমাদের সামাজিক মিডিয়ায় খুঁজুন
  • Facebook - White Circle
  • YouTube - White Circle
  • Instagram - White Circle
@ekmatroshotto

©2020 by The Only Truth

একমাত্রসত্য creates awareness about Christ followers (“Christians”) in Bangladesh and Bengali speaking people of the world. We also encourage and motivate Churches and Christ followers on evangelism to the other religion followers in their own communities. 

bottom of page