ঈশ্বরের অনুগ্রহে এবং মসীহতে ঈমান আনার মধ্যদিয়েই সবাই নাজাত পাবে কেননা নাজাত শুধু ঈমান দিয়ে যীশুতে পাওয়া যায়।
বাইবেল যখন বলেন ঈশ্বর নাজাতের জন্য শুধু যীশুকে পাঠিয়েছেন, তিনি ছাড়া আর কোন নাজাতদাতা নেই। তখন প্রশ্ন আসে তা হলে যীশুর আগমনের পূর্বের লোকেরা, নবীরা কিভাবে নাজাত পাবেন?
বাইবেল বলে সকল প্রশ্নের উত্তর হলো যীশু তাই ঈশ্বর পরম দয়ালু, তিনি মানুষকে ভালোবাসেন। তিনিই মানুষের বিষয়ে ন্যায়বিচার করবেন। তবে যতদূর জানা যায়, আগেকার লোকেরাও যীশু খ্রীষ্টের [ ঈসার ] মধ্যদিয়েই নাজাত পাবে। কেননা ঈশ্বর প্রথম থেকেই যীশু খ্রীষ্টের বা মসীহের কথা নবীদের মধ্যদিয়ে মানুষকে জানিয়েছিলেন। আদিপুস্তক থেকে শুরু করে প্রায় সকল কিতাবেই মসীহের বিষয়ে ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছিল। আদম থেকে শুরু করে, প্রায় সকল নবীই খ্রীষ্টের বা মসীহের সম্পর্কে জানতেন এবং তাঁকে বিশ্বাস করতেন। প্রায় সকল নবীই মানুষের কাছে যীশু বা ঈসা মসীহের কথা প্রচার করে গেছেন। আদম, নূহ, ইবরাহিম, ঈসাহাক, ইয়াকুব, ইউসুফ, মুসা, দাউদ, সলোমন, নহিমিয়, ইশাইয়া, ইউনুস, ইয়ারমিয়া, ইহিস্কেল, ইয়াহিয়া সকল নবীগণ যীশু বা ঈসার আগমনের বিষয়ে দ্ব্যার্থহীনভাবে ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন। তারা যেমন তা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন, তেমনি তারা চাইতেন যেন মানুষ তা বিশ্বাস করে। অনেকেই তাঁদের কথায় বিশ্বাস করতেন।
"আদিতে বাক্য ছিলেন, এবং বাক্য ঈশ্বরের কাছে ছিলেন, এবং বাক্য ঈশ্বর ছিলেন।তিনি আদিতে ঈশ্বরের কাছে ছিলেন। সকলই তাঁহার দ্বারা হইয়াছিল, যাহা হইয়াছে, তাহার কিছুই তাঁহা ব্যতিরেকে হয় নাই।" (#যোহন ৩:১-৩,১৪)
আর সেই বাক্য মাংসে মূর্ত্তিমান হইলেন, এবং আমাদের মধ্যে প্রবাস করিলেন, আর আমরা তাঁহার মহিমা দেখিলাম, যেমন পিতা হইতে আগত একজাতের মহিমা; তিনি অনুগ্রহে ও সত্যে পূর্ণ।
যীশু বর্তমান, তিনি ছিলেন, তিনি আছেন ও তিনি থাকবেন। পূর্বের নবীদের নিকট যে ওহী বা ঈশ্বরের বাক্য এসেছিল তা যীশু বিষয়ক।
Comments