top of page
Search

যীশু কে? "আমি, আমিই সদাপ্রভু;আমি ভিন্ন আর ত্রাণকর্ত্তা নাই।"

Updated: May 14, 2020



কেন প্রাথমিক প্রেরিতগন ও চার্চ উচ্চ রবে চিৎকার করে এমন কি মৃত্যু পর্যন্ত বলেছেন,


"পাপ থেকে পরিত্রাণ আর কারও কাছে পাওয়া যায় না, কারণ সারা পৃথিবীতে আর এমন কেউ নেই যার নামে আমরা পাপ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি" - #প্রেরিত ৪:১২।


আমি পর্বের পোস্ট গুলোতে এটি দেখানোর চেষ্টা করেছি যে, যীশুর কথাবার্তা সমস্তটই ছিল অসাধারণ, প্রকৃত পক্ষে যীশু স্বর্গের সংগে তাঁর সম্পর্কের কথা বলেছেন:


১। যীশু স্বর্গ থেকে এসেছেন ২। স্বর্গ যীশুর বাড়ী ৩। স্বর্গ যীশুর সংগে বর্তমান


বাইবেলের পুরাতন নিয়মে আমরা দেখেছি যে, ঈশ্বর নিজের পরিচয় বলার সময় আমিই শব্দের ব্যবহার করেছেন। প্রথমত, সদাপ্রভু "আমিই" হিব্রুঃ ভাষায় আনি হু বা গ্রীক ভাষায় ইগো ইমি " সব সময় ঈশ্বরের জন্য, সর্ব শক্তিমান ঈশ্বরের জন্য বলা হয়ে থাকে। এই রকম বিবৃ‌তি একমাত্র সত্যিকার ঈশ্বর দিতে পারেন।


ফলে, যদি অন্য কেউ এই রকম দাবি করে থাকে তবে সে হয় তো ঈশ্বরের নিন্দা করছে অথবা তিনি নিজেই ঈশ্বর। আমরা পুরোটাই বিশ্বাস করি নাসরতের যীশু খ্রীস্ট যখন তা দাবি করেছেন আমিই তখন তিনি নিজেকে ঈশ্বরের সমান হিসাবে সত্যিকার ঈশ্বর হিসাবে - ইবাদত পাবার ঈশ্বর হিসাবেই দাবি করেছেন যাঁকে আমরা সত্যিকার হিসাবে বিশ্বাস করতে পারি ও তাঁর উপর নির্ভর করতে পারি। তাই তো যীশু একত্ববাদী ইহুদীদের বলেছিলেন কেননা  মনুষ্যপুত্র বিশ্রামবারের কর্তা - এর অর্থ হল যীশু ইবাদতের মালিক।


দ্বিতীয়ত, আমিই উক্তিটি নতুন নিয়মের প্রভু যীশু কতৃক একটি এক্সক্লুসিভ দাবি। প্রাই যখন প্রভু বলেছেন, আমি বা আমিই তিনি তখন তিনি ঈশ্বর হিসাবে তাঁর পরিচিতি তুলে ধরেছেন। আমরা যিশাইয় তা দেখেছি -


"সদাপ্রভু কহেন, তোমরাই আমার সাক্ষী, এবং আমার মনোনীত দাস; যেন তোমরা জানিতে ও আমাতে বিশ্বাস করিতে পার, এবং বুঝিতে পার যে, আমিই তিনি; আমার পূর্ব্বে কোন ঈশ্বর নির্ম্মিত হয় নাই, এবং আমার পরেও হইবে না। আমি, আমিই সদাপ্রভু;আমি ভিন্ন আর ত্রাণকর্ত্তা নাই।" #যিশাইয় ৪৩:১০-১১ 


আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে, যীশু সেই একই দাবী করেছেন। তিনি আমিই বক্তব্য যুক্তকরার মাধ্যমে এবং "আমিই পথ, সত্য ও জীবন - আমাকে ছাড়া কেউ পিতার কাছে যেতে পারে না" এই কথা বলার মধ্য দিয়ে এই দাবীকে আরো শক্তিশালী বলে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।


প্রিয়পাঠক, আসুন এতক্ষণ যে আলোচনা করেছি তাতে আমাদের মনোযোগ দেই। আমাদের বিশ্বাস ও খ্রীস্টের ইবাদতের অর্থ কি?


আসুন, সেই বিষয়ে তিনটি বিষয় দেখিঃ


যীশুর বলা "আমিই" বক্তব্য আমাদের জন্য কি অর্থ বহন করে?


প্রথমত, যীশুর আমিই বক্তব্য আমরা প্রকৃত পক্ষে যা মনে করছি সে কথাই বলছে। যীশুই প্রত্যেকটি "আমিই " বক্তব্য সরাস‌রি আমাদের চোখ খুলে দেয় শুধুমাত্র খ্রীস্টের ধনাধক্ষ্যতা পরিস্কার ভাবে দেখতে নয় কিন্তু তা আমাদের ব্যক্তিগত দারিদ্র্যতা আরও ভাল করে দেখতে সাহায্য করে।


  • যদি প্রভু যীশু স্বর্গের রুটি হয়ে থাকেন, তখন এর মধ্য দিয়ে তিনি আমাদের বুঝাতে চান যে,যীশুকে ছাড়া আমাদের আত্না ক্ষুধার্ত।

  • যদি প্রভু যীশু পৃথিবীর আলো হয়ে থাকেন, এর মানে আমরা যীশুকে ছাড়া অন্ধকারে বাস করছি।

  • যদি প্রভু যীশু উত্তম মেষপালক হয়ে থাকেন, তাহলে যীশুকে ছাড়া আমরা হারানো মেষ -


"আমরা সকলে মেষগণের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি,প্রত্যেকে আপন আপন পথের দিকে ফিরিয়াছি;আর সদাপ্রভু আমাদের সকলকার অপরাধ তাঁহার উপরে বর্ত্তাইয়াছেন।" #যিশাইয় ৫৩:৬ 
"কারণ যাহা হারাইয়া গিয়াছিল, তাহার অন্বেষণ ও পরিত্রাণ করিতে মনুষ্যপুত্র আসিয়াছেন।" #লুক ১৯:১০

  • যদি প্রভু যীশু পুনুরুন্থান ও জীবন হয়ে থাকেন, তখন আমরা যীশুকে ছাড়া শুকনো ডালপালা, গাছ থেকে যাদের কেটে ফেলা হয়েছে এবং পুনরায় কলম করে লাগানো দরকার।

  • যদি প্রভু যীশু পথ হয়ে থাকেন তবে আমরা যীশুকে ছাড়া বিপথে হাঁটছি

  • যদি প্রভু যীশু একমাত্র সত্য হয়ে থাকেন, তা হলে আমরা তাঁকে ছাড়া মিথ্যায় বাস করছি

  • যদি যীশু জীবন হয়ে থাকেন, তা হলে আমরা যীশুকে ছাড়া মৃত্যুতে বাস করছি, আমাদের পুনুরুন্থান প্রয়োজন। এই পৃথিবীর মানুষ - সত্যিকারভাবে একজন উদ্ধারকর্তার খোঁজ করছেন। কারণ তারা পাপে পতিত কিন্তু যীশুর আমিই বক্তব্য এই বিষয়ে আমাদের কিছু বলে। কেননা - পৃথিবীর বিখ্যাত ব্যক্তিরা তাদের বিষয় কি বলে তা পড়ুন - তা হলো - "তারা ঈশ্বর নন কিন্তু মানুষ "।

  • আমরা জানি সক্রেটিস একজন মহান মানুষ কিন্তু তিনি কি বলেছেন? "ঈশ্বরের উপরে বিশ্বাস কর, আমি সক্রেটিস আমার উপরেও বিশ্বাস কর।" গৌতম বৌদ্ধ তিনি মহান লোক ছিলেন, তবুও তিনি স্বীকার করেছেন, যে, তিনি ঈশ্বর সম্পর্কে কিছুই জানেন না, তিনি কখনই বলেল নি " ঈশ্বরের উপরে বিশ্বাস কর, আমার উপরেও বিশ্বাস কর " ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মোহাম্মাদ তিনি মহান লোক ও নবী ছিলেন, তিনি নিজেও কখনও বলেন নি যে - "ঈশ্বরের উপরে নির্ভর কর, আমার উপরেও নির্ভর কর "


এই সব নেতারা সবাই মাত্র মানুষ ছিলেন। তারা মাত্র মানুষ হিসেবেই সত্য আবিষ্কার ও প্রকাশ করেছেন, তারা অন্যদের পথ দেখিয়েছেন, তারা অন্যদের স্বর্গের সন্ধান দিয়েছেন যীশুকে ছাড়া, তারা মনে করেছেন ও আশা করেছেন তারা হয় তো জীবন পাবেন।


এই সমস্ত ধর্মীয় নেতারা কোন এক্সক্লুসিভ দাবি করেন নি  - প্রভু যীশু যে দাবি নিজের জন্য করেছেন তা থেকে তাঁরা সব সময়ই নিজের পৃথক রেখেছেন। তারা সবাই স্বীকার করেছেন যে, তাঁরা ঈশ্বর নন এবং কাউকে পরিত্রাণ করতে সমর্থন নয়।


কিন্তু যীশুই কেবল একমাত্র দাবি করেছেন তিনি ঈশ্বর এবং মানুষ তাই তিনি আমাদের পরিত্রাণ করতে সক্ষম।


প্রভু যীশু অন্য ধর্মীয় শিক্ষকদের মত কথা বলেন নি, তিনি অনন্ত জীবন পেতে সাহায্য করবেন কিন্তু তিনি বলেছেন, "আমিই পুনুরুন্থান ও জীবন। যে আমার উপর বিশ্বাস করে সে মরলেও জীবন পাবে। যে জীবিত থাকতে আমার উপর বিশ্বাস করে, সে কখনও মৃত্যু বরণ করবে না।"


প্রভু যীশুর "আমিই" বক্তব্য হল বর্তমান আমাদের বিশ্বাস ও ভবিষ্যৎতের আশা। আর এটাই আমাদের স্বর্গের দিকে পরিচালিত করে।


এটা সত্যি যখন যীশু বলেছেন, "তাঁকে ছাড়া আমরা অন্ধ -


  • প্রভু যীশুকে ছাড়া আপনি অন্ধকারে হাঁটছেন।

  • প্রভু যীশুকে ছাড়া শয়তান আপনার পিতা।

  • প্রভু যীশুকে ছাড়া আপনি পাপের দাস।

  • প্রভু যীশুকে ছাড়া আপনি আপনার পাপে মরবেন।


কিন্তু এটা সম্পূর্ণভাবে সত্য, যেমন যীশু প্রতিজ্ঞা করেছেন, "যীশুতে বিশ্বাস করুন তখন আপনার চোখ খুলে যাবে" -


  • প্রভু যীশুতে বিশ্বাস করুন, তাতে আপনি আলোতে চলতে পারবেন।

  • প্রভু যীশুর উপর বিশ্বাস করুন, তাতে পিতা ঈশ্বর আপনার নতুন পিতা হবেন।

  • প্রভু যীশুতে বিশ্বাস করুন, তাতে পাপের ক্ষমা পাবেন।

  • প্রভু যীশুতে বিশ্বাস করুন, তাতে স্বর্গে স্থান পাবেন। আপনি ঈশ্বরের দত্তক পুত্র হবেন তাঁর একমাত্র পুত্রের মধ্য দিয়ে।


যীশু ছাড়া কোন পথ নেই, যীশু ছাড়া কোন সত্য নেই, যীশু ছাড়া কোন জীবন নেই।


প্রভু যীশু বলেছেন,

'আমিই পথ যা অবশ্যই তোমরা অনুসরণ করবে; আমিই সত্য যাতে অবশ্যই তোমরা বিশ্বাস করবে; আমিই জীবন যাতে তোমরা অবশ্যই আশা রাখবে।

আমিই ধ্বংসহীন পথ অভ্রান্ত সত্য, অনন্ত জীবন।'


আমি সকল পাঠকদের জন্য এই প্রার্থনা করি, আপনি জীবনে পথ খুজে পান, আপনি জীবনে সত্যে বিশ্বাস করুন ও প্রভু যীশুর মধ্য দিয়ে অনন্ত জীবন লাভ করুন। 

225 views0 comments

Recent Posts

See All

কোন পার্থক্য নেই! সবাই পাপি! এবং মুক্তির সুসমাচার যীশু খ্রীষ্ট

পাঠের বিষয়: রোমীয় ৩: ২১-২৬ “কিন্তু এখন ব্যবস্থা ব্যতিরেকেই ঈশ্বর-দেয় ধার্ম্মিকতা প্রকাশিত হইয়াছে, আর ব্যবস্থা ও ভাববাদিগণ কর্ত্তৃক তাহার...

Comments


bottom of page