top of page
  • Black Facebook Icon
  • Black YouTube Icon
  • Black Instagram Icon
Search

মুসলিমদের পাঁচটি মিথ্যা অভিযোগ



প্রিয়পাঠক, ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের পবিত্র বাইবেলের উপর আক্রমণ আজ নতুন কোন বিষয় নয়। কেননা তাদের বিরোধ স্বয়ন ঈশ্বরের সাথে, ঈশ্বরের বাক্যের সাথে, ঈশ্বরের পুত্রের সাথে, ঈশ্বরের মনোনিত পবিত্র জাতি ও মন্ডলীর সাথে। তাই আমরা তাদের মিথ্যা অভিযোগে দূর্বল নই।

বাইবেলের ঈশ্বর পবিত্র, কোন প্রকার পাপের অনুমোদন তিনি দেন না, পাপের সাথে তাঁর কোন সম্পর্ক নেই। পবিত্র বাইবেলে আমরা পাপের সংজ্ঞা দেখি,


"যে কেহ পাপাচরণ করে, সে ব্যবস্থালঙ্ঘনও করে, আর ব্যবস্থালঙ্ঘনই পাপ।" (১ যোহন ৩:৪)


ঈশ্বর পরিস্কার বলছেন, ব্যবস্থা লঙ্ঘনই পাপ। তাহলে দাড়াইল কি?


খ্রীষ্টান ধর্মে ধর্ষণ হালাল (দ্বিবি ২২:২৮-২৯)


যদি কেহ অবাগ্‌দত্তা কুমারী কন্যাকে পাইয়া তাহাকে ধরিয়া তাহার সহিত শয়ন করে, ও তাহারা ধরা পড়ে, তবে তাহার সহিত শয়নকারী সেই পুরুষ কন্যার পিতাকে পঞ্চাশ [শেকল] রৌপ্য দিবে, এবং তাহাকে মানভ্রষ্টা করিয়াছে বলিয়া সে তাহার স্ত্রী হইবে; সেই পুরুষ তাহাকে যাবজ্জীবন ত্যাগ করিতে পারিবে না। (দ্বিবি ২২:২৮-২৯)


ঈশ্বর মরুপ্রান্তরে অব্রাহামের দৈহিক বংশ ঈস্রায়েল জাতিকে, মোশি কতৃর্ক গঠন করছেন। ইতি মধ্যে ঈশ্বর ঈস্রায়েলকে ব্যবস্থা বা দশ ইআজ্ঞা দিয়েছেন এবং ৯ নম্বর আজ্ঞাতে বলেছেন," তোমরা ব্যভিচার করিও না।" সেই একই ঈশ্বর ঈস্রায়েল জাতিকে বলছেন, যদি কেউ ব্যভিচার বা ধর্ষণ করেই ফেলে তা হলে সেই পাপ হইতে মুক্ত হওয়ার একটি উপায় আছে, তা হচ্ছে,


ক. অর্থ দন্ড ( ধর্ষিত মেয়েটির পিতাকে দিতে হবে)।

খ. ধর্ষিত মেয়েটিকে বিবাহ করতে হবে এবং সে কখনোই সেই স্ত্রীকে ত্যাগ করতে পারবে না।


এই আইন শুধু অব্রাহামের দৈহিক বংশ ঈস্রায়েল জাতির জন্য সেই সময়ে প্রযোজ্য ছিল। কেননা সেই সময়ে বর্তমান রাষ্ট্রের ন্যায় কোন আইন ছিল না।


খ্রীষ্টান হিসাবে যখন আমরা ধর্ষণ বাইবেলের আলোকে বৈধ এমন কথা শুনি, তখন আমরা উদ্বিগ্ন ও হতাশ হই। কারণ যীশু পরিস্কার বলেছেন - মথি ৫:১-৮:১ পদে - পূর্বে যা ঘটেছে তা তোমরা অনুসরণ করবেন না,


ধর্ষণঃ পুরাতন নিয়মে ঈশ্বর মোশি কতৃর্ক যে দশ আজ্ঞা প্রদান করেন,  যেখানেও পরিস্কার উল্লেখ আছে, তোমরা ব্যভিচার, ধর্ষণ করবে না। যীশু শিষ্যদের সেই হুকুম স্মরণ করে, ও শরিয়তকে সমর্থন করে বলছেন,"তোমরা ব্যভিচার ও ধর্ষণ তো দূরের কথা, কামনার চোখ দিয়ে কোন নারীর প্রতি তাকানোই হল ব্যভিচার করা বলে গণ্য হবে। তাই কামনার চোখ পুরো দেহকে বাচাতে উপড়ে ফেলা ঢের ভাল" (মথি ৫:২৭-২৯)


অতএব তোমরা পৃথিবীস্থ আপন আপন অঙ্গ সকল মৃত্যুসাৎ কর- যথা বেশ্যাগমন, অশুচিতা, মোহ, কুঅভিলাষ, এবং লোভ, ইহা ত প্রতিমাপূজা। এই সকলের কারণ অবাধ্যতার সন্তানগণের প্রতি ঈশ্বরের ক্রোধ উপস্থিত হয়। পূর্বে যখন তোমরা এই সকলে জীবন ধারণ করিতে, তখন তোমরাও এই সকলে চলিতে। কিন্তু এখন তোমরাও এই সকল ত্যাগ কর- ক্রোধ, রাগ, হিংসা, নিন্দা ও তোমাদের মুখনির্গত কুৎসিত আলাপ। একজন অন্য জনের কাছে মিথ্যা কথা কহিও না; কেননা তোমরা পুরাতন মনুষ্যকে তাহার ক্রিয়াসুদ্ধ বস্ত্রবৎ ত্যাগ করিয়াছ, এবং সেই নূতন মনুষ্যকে পরিধান করিয়াছ, যে আপন সৃষ্টিকর্তার প্রতিমূর্তি অনুসারে তত্ত্বজ্ঞানের নিমিত্ত নূতনীকৃত হইতেছে। এই স্থানে গ্রীক কি যিহূদী, ছিন্নত্বক্‌ কি অচ্ছিন্নত্বক্‌, বর্বর, স্কুথীয়, দাস, স্বাধীন বলিয়া কিছু হইতে পারে না, কিন্তু খ্রীষ্টই সর্বেসর্বা। (কল ৩:৫-১১)


প্রিয়পাঠক, আমরা পবিত্র বাইবেলের পুরাতন ও নতুন নিয়ম থেকে পরিস্কার দেখলাম যে, ধর্ষণ এটি জঘন্যতম পাপ। যারা বৈধ বলছেন তারা সুসমাচার প্রচারে বিগ্ন সৃষ্টির জন্যই বলছেন, যেন মুসলিমরা পরিত্রাণের সুসমাচার শুনতে না পায়। কিন্তু আমি পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ করি, কেননা তিনি সুসমাচারের সত্য জানতে আমাকে সাহায্য করেছেন।


খ্রীষ্টানদের ব্যভিচার করা হালাল (২স্যামুয়েল ১১:২-৫)

"একদা বৈকালে দায়ূদ শয্যা হইতে উঠিয়া রাজবাটীর ছাদে বেড়াইতেছিলেন, আর ছাদ হইতে দেখিতে পাইলেন যে, একজন স্ত্রীলোক স্নান করিতেছে; স্ত্রীলোকটি দেখিতে বড়ই সুন্দরী ছিল। দায়ূদ তাহার বিষয় জিজ্ঞাসা করিতে লোক পাঠাইলেন। একজন কহিল, এ কি ইলিয়ামের কন্যা, হিত্তীয় ঊরিয়ের স্ত্রী বৎশেবা নয়? তখন দায়ূদ দূত পাঠাইয়া তাহাকে আনাইলেন, এবং সে তাঁহার নিকটে আসিলে দায়ূদ তাহার সহিত শয়ন করিলেন; সেই স্ত্রীলোকটি ঋতুস্নান করিয়া শুচি হইয়াছিল। পরে সে আপন গৃহে ফিরিয়া গেল। পরে সেই স্ত্রী গর্ভবতী হইল; আর লোক পাঠাইয়া দায়ূদকে এই সমাচার দিল, আমার গর্ভ হইয়াছে।" (২ শামূয়েল ১১:২-৫)


প্রিয়পাঠক, এই পৃথিবীতে একটি মাত্র ধর্ম গ্রন্থ আছে যা, পাপকে প্রকাশ করে পাপিকে ঈশ্বরের বিচারের মুখোমুখি করে, সে যেই ব্যক্তি পাপ করুক না কেন!সত্য প্রকাশে পবিত্র বাইবেল সব সময় অতলনীয়। তাই আসুন আমরা দাউদ সম্পর্কে জানি। 


দাউদ সম্পর্কে বাইবেল যা বলে তা হচ্ছেঃ দাউদ তার পাপ নিজ মুখে স্বীকার করেছেন, দেখুন,


"হে ঈশ্বর, তোমার দয়ানুসারে আমার প্রতি কৃপা কর;তোমার করুণার বাহুল্য অনুসারে

আমার অধর্ম সকল মার্জনা কর।

আমার অপরাধ হইতে আমাকে নিঃশেষে ধৌত কর, আমার পাপ হইতে আমাকে শুচি কর।

কেননা আমি নিজে আমার অধর্ম সকল জানি;

আমার পাপ সতত আমার সম্মুখে আছে।

তোমার বিরুদ্ধে, কেবল তোমারই বিরুদ্ধে আমি পাপ করিয়াছি,তোমার দৃষ্টিতে যাহা কুৎসিত, তাহাই করিয়াছি;অতএব তুমি আপনার বাক্যে ধর্মময়,

আপনার বিচারে নির্দোষ রহিয়াছ।

দেখ, অপরাধে আমার জন্ম হইয়াছে,

পাপে আমার মাতা আমাকে গর্ভে ধারণ করিয়াছিলেন।" (গীতসংহিতা ৫১: ১-৫)


ঈশ্বর দাউদের পাপ সম্পর্কে বলেন, " তখন নাথন দায়ূদকে কহিলেন, আপনিই সেই ব্যক্তি। ইস্রায়েলের ঈশ্বর, সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমি তোমাকে ইস্রায়েলের উপরে রাজপদে অভিষেক করিয়াছি, এবং শৌলের হস্ত হইতে উদ্ধার করিয়াছি;  আর তোমার প্রভুর বাটী তোমাকে দিয়াছি, ও তোমার প্রভুর স্ত্রীগণকে তোমার বক্ষঃস্থলে দিয়াছি, এবং ইস্রায়েলের ও যিহূদার কুল তোমাকে দিয়াছি; আর তাহা যদি অল্প হইত, তবে তোমাকে আরও অমুক অমুক বস্তু দিতাম। তুমি কেন সদাপ্রভুর বাক্য তুচ্ছ করিয়া, তাঁহার দৃষ্টিতে যাহা মন্দ, তাহাই করিয়াছ? তুমি হিত্তীয় ঊরিয়কে খড়্‌গ দ্বারা আঘাত করাইয়াছ ও তাহার স্ত্রীকে লইয়া আপনার স্ত্রী করিয়াছ, অম্মোন সন্তানদের খড়্‌গ দ্বারা ঊরিয়কে মারিয়া ফেলিয়াছ। অতএব খড়্‌গ কখনও তোমার কুলকে ছাড়িয়া যাইবে না; কেননা তুমি আমাকে তুচ্ছ করিয়া হিত্তীয় ঊরিয়ের স্ত্রীকে লইয়া আপন স্ত্রী করিয়াছ। সদাপ্রভু এই কথা কহেন, দেখ, আমি তোমার কুল হইতেই তোমার বিরুদ্ধে অমঙ্গল উৎপন্ন করিব, এবং তোমার সাক্ষাতে তোমার স্ত্রীগণকে লইয়া তোমার আত্মীয়কে দিব; তাহাতে সে এই সূর্যের সাক্ষাতে তোমার স্ত্রীগণের সহিত শয়ন করিবে।বস্তুতঃ তুমি গোপনে এই কর্ম করিয়াছ, কিন্তু আমি সমস্ত ইস্রায়েলের সাক্ষাতে ও সূর্যের সাক্ষাতে এই কার্য করিব।" (২ শামূয়েল.  ১২:৭-১২)


ভিকটিম স্বীকার করেছিল - ২ সামুয়েল ১১:৫ পদ, দাউদ দোষী। সুতরাং বাইবেল যা বলছে তা সত্য - বরং যারা পাপকে অস্বীকার করে তারা ঈশ্বরের নয় বরং শয়তানের, কারণ শয়তান পাপ স্বীকার করে না। রাজা দাউদ পাপ স্বীকার করে অনুতাপ করে ঈশ্বরের প্রতি ফিরে ছিলেন, তাই ঈশ্বর দাউদকে সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন, ঈশ্বর দাউদ সম্পর্কে বলেছেন, "দাউদ আমার মনের মত লোক।" (প্রেরিত ১৩:২২)


ব্যভিচার সম্পর্কে পবিত্র বাইবেলের শিক্ষাঃ "তোমরা কি জান না যে, তোমাদের দেহ খ্রীষ্টের অঙ্গ? তবে আমি কি খ্রীষ্টের অঙ্গ লইয়া গিয়া বেশ্যার অঙ্গ করিব? তাহা দূরে থাকুক। অথবা তোমরা কি জান না, যে ব্যক্তি বেশ্যাতে সংযুক্ত হয়, সে তাহার সহিত একদেহ হয়? কারণ তিনি বলেন, ‘‘সেই দুই জন একাঙ্গ হইবে।"কিন্তু যে ব্যক্তি প্রভুতে সংযুক্ত হয়, সে তাঁহার সহিত একাত্ম হয়। তোমরা ব্যভিচার হইতে পলায়ন কর। মনুষ্য অন্য যে কোন পাপ করে, তাহা তাহার দেহের বহির্ভূত; কিন্তু যে ব্যভিচার করে, সে নিজ দেহের বিরুদ্ধে পাপ করে। অথবা তোমরা কি জান যে, তোমাদের দেহ পবিত্র আত্মার মন্দির, যিনি তোমাদের অন্তরে থাকেন, যাঁহাকে তোমরা ঈশ্বর হইতে প্রাপ্ত হইয়াছ? আর তোমরা নিজের নও, কারণ মূল্য দ্বারা ক্রীত হইয়াছ। অতএব তোমাদের দেহে ঈশ্বরের গৌরব কর। (১ করি ৬:১৫-২০)


ইসলামিক ধর্মতত্ত্ববিদদের অভিযোগ খ্রীষ্টানদের ব্যভিচার বৈধ বা হালাল এই কথা পবিত্র বাইবেলের নিরাময় শিক্ষার আলোকে খারিজ করা হইল, কেননা খ্রীষ্টানদের দেহ ব্যভিচারের নিমিত্ত নয়, কিন্তু প্রভুর গৌরবের নিমিত্ত, এটি প্রমাণিত।


খ্রীষ্টানদের যৌনদাসী রাখা বৈধ বা হালাল।(১রাজাবলি১১:৩০)

বাইবেলের ঘোষণাঃ "বিবাহ ব্যতিত সকল প্রকার যৌন সম্পর্ক পাপ।" (আদি ২:২৪)


এই কারণ মনুষ্য আপন পিতা মাতাকে ত্যাগ করিয়া আপন স্ত্রীতে আসক্ত হইবে, এবং তাহারা একাঙ্গ হইবে।


"কিন্তু ব্যভিচার নিবারণের জন্য প্রত্যেক পুরুষের নিজের নিজের ভার্যা থাকুক, এবং প্রত্যেক স্ত্রীর নিজের নিজের স্বামী থাকুক।"  (১ করি ৭:২)


এখন, আমরা মুসলিমদের অভিযোগ সম্পর্কে সেই অংশটি দেখি,


তখন অহিয় আপন গাত্রের নূতন বস্ত্রখানি ধরিয়া ছিঁড়িয়া বারো খণ্ড করিলেন।  (১ রাজাবলি ১১:৩০)


প্রিয়পাঠক, দেখুন উক্ত পদে যৌনদাসী সম্পর্কে কোন কিছুই লেখা নেই। তাহলে মুসলিম ভাইয়েরা কিসের ভিত্তিতে অভিযোগ করেছেন? নিঃসন্দেহে এটি হিংসার প্রতিফল।


তোমরা কি জান না যে, তোমাদের দেহ খ্রীষ্টের অঙ্গ? তবে আমি কি খ্রীষ্টের অঙ্গ লইয়া গিয়া বেশ্যার অঙ্গ করিব? তাহা দূরে থাকুক। অথবা তোমরা কি জান না, যে ব্যক্তি বেশ্যাতে সংযুক্ত হয়, সে তাহার সহিত একদেহ হয়? কারণ তিনি বলেন, ‘‘সেই দুই জন একাঙ্গ হইবে।” কিন্তু যে ব্যক্তি প্রভুতে সংযুক্ত হয়, সে তাঁহার সহিত একাত্ম হয়। তোমরা ব্যভিচার হইতে পলায়ন কর। মনুষ্য অন্য যে কোন পাপ করে, তাহা তাহার দেহের বহির্ভূত; কিন্তু যে ব্যভিচার করে, সে নিজ দেহের বিরুদ্ধে পাপ করে। অথবা তোমরা কি জান যে, তোমাদের দেহ পবিত্র আত্মার মন্দির, যিনি তোমাদের অন্তরে থাকেন, যাঁহাকে তোমরা ঈশ্বর হইতে প্রাপ্ত হইয়াছ? আর তোমরা নিজের নও, কারণ মূল্য দ্বারা ক্রীত হইয়াছ। অতএব তোমাদের দেহে ঈশ্বরের গৌরব কর। (১ করি ৬:১৫-২০)


পবিত্র বাইবেলের ঘোষণা হচ্ছে এই, " বিবাহ ব্যতিত সকল প্রকার যৌন সম্পর্ক পাপ, পাপ, পাপ।


নিজ কন্যাকে দাসী বানিয়ে বিক্রি করা বৈধ বা হালাল ?

আর কেহ যদি আপন কন্যাকে দাসীরূপে বিক্রয় করে তবে দাসেরা যেমন যায়, সে তদ্রূপ যাইবে না। তাহার মনিব তাহাকে আপনার জন্য নিরূপণ করিলেও যদি তাহার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়, তবে সে তাহাকে মুক্ত হইতে দিবে; তাহার সঙ্গে প্রবঞ্চনা করাতে অন্য জাতির কাছে তাহাকে বিক্রয় করিবার অধিকার তাহার হইবে না। (যাত্রাপুস্তকঃ ২১:৭-৮)


এই পদের রেফারেন্স ব্যবহার করে মুসলিমরা উক্ত অভিযোগ করেন। ঈশ্বর আসলে এখানে দাসীদের অধিকার রক্ষার ব্যবস্থা ঘোষণা করছেন। কেননা অব্রাহাম ও যোশেফের সময় থেকেই দাস ও দাসী বিক্রির বৈধ নিয়ম ছিল। এই নিয়মের সুযোগ যোশেফের দশ ভাই নিয়েছিলেন, এবং যোশেফকে বিক্রি করেছিলেন। সেই সময়ের নিয়ম ছিল ক্রয়কৃত দাসীদের মুক্তির কোন অধিকার নেই। কিন্তু ঈশ্বর সেই নিয়মের সংস্কার এনেছেন, ঈস্রায়েল সমাজের লোকেরা দাস ও দাসী বিক্রয় করলেও পরজাতিদের মধ্যে বিক্রয় করা যাবে না। আবার দাসদের মত দাসীরা হবেন না। যদি মালিক তার দাসীর উপর খুশি না থাকত তাহলে তিনি তাকে তার পরিবারের কাছে টাকার বদলে মুক্তি দিতে বাধ্য থাকতেন, অথবা অন্য কোন ঈস্রায়েল লোকের নিকট টাকার বিনিময়ে বিক্রয় করতে পারত। কোন দাসীকে যদি কোন মালিকের ছেলে বিয়ে করতো তাহলে তার সাথে তাদের পরিবারের একজনের মতই ব্যবহার করার হুকুম ছিল।


এই ব্যবস্থার প্রয়োগ ছিল শুধুমাত্র মরুপ্রান্তরে, সেই সময়ে, সেই অঞ্চলগুলোতে ঈস্রায়েল জাতির মধ্যে।কিন্তু খ্রীষ্টানদের শিক্ষা হচ্ছে,


সন্তানেরা, তোমরা প্রভুতে পিতামাতার আজ্ঞাবহ হও, কেননা তাহা ন্যায্য। তোমার পিতাকে ও তোমার মাতাকে সমাদর করিও, এ ত প্রতিজ্ঞাসহযুক্ত প্রথম আজ্ঞা- যেন তোমার মঙ্গল হয়, এবং তুমি দেশে দীর্ঘায়ু হও। আর পিতারা, তোমরা আপন আপন সন্তানদিগকে ক্রুদ্ধ করিও না, বরং প্রভুর শাসনে ও চেতনা প্রদানে তাহাদিগকে মানুষ করিয়া তুল। (ইফি ৬:১-৪)


খ্রীষ্টানদের জন্য চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই বৈধ বা হালাল কেন?

কিন্তু স্ত্রীলোক, বালক-বালিকা ও পশুগণ প্রভৃতি নগরের সর্বস্ব, সমস্ত লুটদ্রব্য আপনার জন্য লুট-স্বরূপে গ্রহণ করিবে, আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দত্ত শত্রুদের লুট ভোগ করিবে। (দ্বিবি ২০:১৪)


এই পদের আলোকে মুসলিম বন্ধুরা খ্রীষ্টানদের প্রতি উক্ত অভিযোগ করে থাকেন। এই পদের মূল অর্থ বুঝতে হলে অবশ্যই আমাদের অব্রাহামের সাথে ঈশ্বরের প্রমিজ ল্যান্ড বা প্রতিশ্রুতির কেনান দেশ সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। কেননা অব্রাহাম অজানা দেশের প্রতি যাত্রা শুরু করেছিলেন। অব্রাহামের দৈহিক বংশধর ঈস্রায়েল জাতিকে ঈশ্বর মিশর থেকে বের করে এনেছেন, প্রমিজ ল্যান্ডে নেওয়ার জন্য। কিন্তু সেই প্রতিজ্ঞাত কেনান দেশে পরজাতিরা বসবাস করছেন, যে দেশ ঈশ্বর ঈস্রায়েল জাতিকে দিয়েছেন, তাদের রক্ষা করতে হবে, তবেই তারা সেই প্রমিজ ল্যান্ড অধিগ্রহণ করতে পারবে। ঈশ্বর সেই ল্যান্ড দখল করতে তাদের যুদ্ধের ব্যবস্থা দিচ্ছেন। কেনান দেশের আশেপাশের জাতিগুলো যদি স্বেচ্ছায় ঈস্রায়েলকে তাদের দেশ অধিগ্রহণের সুযোগ দিয়ে আত্নোসমর্পণ করেন, তা হলে তারা রক্ষাপ্রাপ্ত হবেন। আর যদি তারা আত্নোসমর্পণ না করে তা হলে তাদের সকল পুরুষদের মেরে ফেলা হবে। মহিলাদের, ও সন্তানদের বাঁচার সুযোগ আছে।কেননা ঈশ্বরের ব্যবস্থা ঈস্রায়েল জাতির জন্য পরিস্কার। এই যুদ্ধের নীতি শুধুমাত্র প্রমিজ ল্যান্ডের পার্শ্ববর্তী জাতিগুলোর জন্য প্রযোজ্য।


কারণঃ ঈশ্বর পূর্বেই খুন, ব্যভিচার ও চুরিকে নিষিদ্ধ করেছেন।


যাত্রাপুস্তক ২০:১৩ পদে, খুন বা নরহত্যা করিও না।

যাত্রাপুস্তক ২০:১৪ পদে, ব্যভিচার করিও না।

যাত্রাপুস্তক ২০:১৫ চুরি করিও না।


পবিত্র বাইবেলে নতুন নিয়মে যীশু খ্রীষ্টের শিক্ষা আরো পরিস্কার, "তুমি তোমার প্রতিবেশিকে নিজের মত প্রেম করিবে।"  এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, আপনি যদি প্রতিবেশিকে নিজের মত প্রেম দেখান, তা হলে কি তাকে খুন, ধর্ষণ ও তার কোন সম্পদ চুরি করতে পারবেন?  তা দূরে থাকুক, তাই নয় কি?


অতএব পবিত্র বাইবেলের শিক্ষা পরিস্কার, চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষণের কোন অনুমোদন ঈশ্বরের নিকট নেই। তিনি ন্যায়বান ও প্রেমময় পবিত্র পবিত্র বাহিনীগনের সদাপ্রভু।



 
 
 

Recent Posts

See All

বড়দিনের আধ্যাত্মিক বার্তা: গীতসংহিতা ২:১-১২ এর অন্তর্দৃষ্টি

গীতসংহিতা ২:১-১২ পদ “জাতিগণ কেন কলহ করে? লোকবৃন্দ কেন অনর্থক বিষয় ধ্যান করে? পৃথিবীর রাজগণ দণ্ডায়মান হয়, নায়কগণ একসঙ্গে মন্ত্রণা করে,...

Comments


আমাদেরকে অনুসরণ করুন

আমাদের সামাজিক মিডিয়ায় খুঁজুন
  • Facebook - White Circle
  • YouTube - White Circle
  • Instagram - White Circle
@ekmatroshotto

©2020 by The Only Truth

একমাত্রসত্য creates awareness about Christ followers (“Christians”) in Bangladesh and Bengali speaking people of the world. We also encourage and motivate Churches and Christ followers on evangelism to the other religion followers in their own communities. 

bottom of page