মথি ৭:১৩-১৪ পদ, সঙ্কীর্ণ দ্বার দিয়া প্রবেশ কর; কেননা সর্ব্বনাশে যাইবার দ্বার প্রশস্ত ও পথ পরিসর, এবং অনেকেই তাহা দিয়া প্রবেশ করে; কেননা নজীবনে যাইবার দ্বার সঙ্কীর্ণ ও পথ দুর্গম, এবং অল্প লোকেই তাহা পায়।
পর্যবেক্ষণঃ
১। যীশু সংঙ্কীর্ণ দ্বার ও দূর্গম পথ বলতে কি বুঝিয়েছেন? কোন অর্থে সংঙ্কীর্ণ দ্বার ও দূর্গম পথ জীবনের পথ?
২। সর্ব্বনাশের দ্বার প্রশস্ত ও পথ পরিসর বলতে যীশু কি বুঝিয়েছেন? কেন অনেক লোক এই পথে প্রবেশ করে?
ব্যাখ্যাঃ
যীশু খ্রীষ্ট পর্বতে দত্ত উপদেশে তিনি স্বর্গ রাজ্যের বিষয় শিক্ষা দিচ্ছেন। তিনি এখানে শিষ্যদের পরিচয় তুলে ধরেন, তোমরা জগতের আলো, তোমরা জগতের লবন এটি খ্রীষ্টানদের প্রকৃত পরিচয়। তারপর তিনি ইহুদী সমাজ থেকে ঈশ্বরের রাজ্যেকে পৃথক করে, আলাদা করে তুলে ধরেন। পূর্ব যা বলা হয়েছে, তোমরা সেই মত কাজ করবে না, খ্রীষ্ট যেভাবে চান সেভাবে কর, রাগের পরিবর্তে ক্ষমা ও পূর্ণমিলন। শক্রকে হত্যার পরিবর্তে প্রেম করা। তোমরা যেমন ব্যবহার আশা কর অন্যের প্রতি তেমন ব্যবহার আগে কর। তারপর তিনি স্বর্গ পথে চলিবার বিষয় পরামর্শ দেন,
ক. সংঙ্কীর্ণ দ্বার ও দূর্গম পথ - এই পথ জীবনের পথ।
খ. প্রশস্ত দ্বার ও পরিসর পথ - সর্ব্বনাশের পথ।
যীশু শিষ্যদের সংঙ্কীর্ণ দ্বার ও দূর্গম পথে স্বর্গে প্রবেশের জন্য উৎসাহিত করেছেন। কেননা অনন্ত জীবনে যাওয়ার পথ সংঙ্কীর্ণ ও দূর্গম পথ, এই ধরনের পথেই পুরাতন নিয়মের বিশ্বাসী বীরগন পরিচালিত হয়েছিলেন, নতুন নিয়মে ইব্রীয় পত্রের লেখক ১১ অধ্যায়ে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরেছেন। অবশ্যই এটি বিশ্বাসে চলার পথ, এই পথে আছে দুঃখ, আছে কষ্ট, আছে অপমান, আছে অভাব অনাটন। এটি খ্রীষ্টের তৈরী পথ, এটি ক্রুশের পথ। এই পথ সম্পর্কে যীশু বলেন, মথি ১৬: ২৪-২৫ তখন যীশু আপন শিষ্যদিগকে কহিলেন, কেহ যদি আমার পশ্চাৎ আসিতে ইচ্ছা করে, তবে সে আপনাকে অস্বীকার করুক, আপন ক্রুশ তুলিয়া লউক, এবং আমার পশ্চাদগামী হউক। কেননা যে কেহ আপন প্রাণ রক্ষা করিতে ইচ্ছা করে, সে তাহা হারাইবে, আর যে কেহ আমার নিমিত্তে আপন প্রাণ হারায়, সে তাহা পাইবে।
অবশ্যই এই সংঙ্কীর্ণ দ্বার ও দূর্গম পথ খ্রীষ্টের পিছনে চলার দ্বারা শুরু হয়। এই চলার পথে মৃত্যু ঝুকি আছে, এ পথে মৃত্যু জীবন পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করে। এই পথে সকল প্রেরিত যীশুর নিমিত্ত প্রাণ হারিয়েছেন। আর সর্ব্বনাশের দ্বার প্রশস্ত, পথ পরিসর এই পথে কইন, নূহের সময় ব্যভিচারী বিশাল জনগোষ্টী, সদোম, ঘোমরা, মিশরের ফৌরন, সকল পরজাতির পত্তলিক লোক বৃন্দ, এটি নিজের ইচ্ছায় পরিচালিত পথ, এই পথে কোন শাসন, অনুযোগ নাই। এটি জাগতিক আনন্দের পথ, এটি সাময়িক নেশা, ভোগবাদের পথ। এই পথে ঈশ্বরের সকল অবাদ্ধ লোকেরা পরিচালিত হয়, যারা খ্রীষ্টের প্রতিরোধ করে, খ্রীষ্টকে মসীহ বলে অস্বীকার করে। তারা নিজ পাপে সর্ব্বনাশের পথে চলে। নরক, শয়তান তাদের শেষ ঠিকানা।
প্রয়োগঃ
১। আপনি কি সংঙ্কীর্ণ দ্বার ও দূর্গম পথে খ্রীষ্টের পিছনে জীবন পরিচালিত করছেন? তা উপলব্দি করুন!
২। আপনি কি সর্ব্বনাশের প্রশস্ত দ্বার ও পরিসর পথে নিজের ইচ্ছায় পরিচালিত হচ্ছেন? যেন খ্রীষ্টের কোন ইচ্ছার বাস্তবায়ন নেই? অবশ্যই তা চিন্তা করুন!
Comments