top of page
  • Black Facebook Icon
  • Black YouTube Icon
  • Black Instagram Icon
Search

বেহেস্তের [ স্বর্গের ] ভাষা কী হবে?

Updated: Feb 23, 2020

সংক্ষিপ্ত উত্তর: সকল ভাষাই বেহেস্তের ভাষা হবে।


এই পৃথিবীতে এক শ্রীণির মানুষ ঈশ্বরের জ্ঞানকে একটি ভাষাতে সীমাবদ্ধ করতে চায় কিন্তু তারা বুঝতে চায় না ভাষার ক্ষেত্রে ঈশ্বরের কোন সীমাবদ্ধতা নেই।


ভাষা মানুষের আজন্ম অধিকার। জন্মের মধ্য দিয়ে মানুষ ভাষার সাথে পরিচিত হয়। কোন শিশু যে ভাষাভাষী মা-বাবার কোলে জন্মগ্রহণ করে, সে সেই ভাষা রপ্ত করে, সেই ভাষাতেই কথা বলতে ও যোগাযোগ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। তবে আধুনিক মানুষ মাতৃভাষার গণ্ডি পেরিয়ে দুই তিনটি ভাষা শেখে। এমনকি অনেকে মাতৃভাষার মতোই বিভিন্ন ভাষাতে পারদর্শী হয়। ভাষা হলো মানুষের সীমাবদ্ধতার প্রতীক। মানুষ সব ভাষা বলতে পারে না কিন্তু ঈশ্বর সব ভাষা বুঝতে পারেন। বাইবেলের #আদিপুস্তক ১১ অধ্যায়ে দেখা যায়, মানুষ একসময় একটা ভাষাতেই কথা বলতো। পুরাতন নিয়ম লেখা হয়েছিল হিব্রু ভাষায়, যে ভাষায় মুসা কথা বলতেন। যেহেতু তখন পৃথিবীতে একটির বেশি ভাষা ছিল না, সেহেতু বলা যায় আদম ও হাওয়াও সেই হিব্রু ভাষাতেই কথা বলতেন। গুনাহের কারণে আদম ও বিবি হাওয়াকে ঈশ্বর বেহেশত থেকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছিলেন। গুনাহর কারণে যদি তাদের ভাষারও পরিবর্তন না হয়ে থাকে, তবে বলতে হয় আদম বেহেশতে হিব্রু ভাষায় কথা বলতেন। কিন্তু #আদিপুস্তক ১১ অধ্যায়ে বিশেষ কারণে ঈশ্বর মানুষের ভাষার মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করেছিলেন। ফলে মানুষ একে অপরের ভাষা বুঝতে না পেরে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল।


বেহেস্তে সবাই সব ভাষা বুঝবে: ভাষা ব্যবহারের আর একটি উদাহরণ আছে বাইবেলে #প্রেরিত কিতাবের ২ অধ্যায়ে। এখানে ঈসা মসীহের [ যীশু খ্রীষ্টের ] প্রতিজ্ঞা অনুসারে, পাকরুহ নেমে আসার পর সাহাবিরা তাঁর (পাকরুহের) দেওয়া শক্তিতে কথা বলতে শুরু করেছিলেন। লেখা আছে, “তাতে তাঁরা সবাই পাকরুহে পূর্ণ হলেন এবং সেই রুহ যাঁকে যেমন কথা বলবার শক্তি দিলেন সেই অনুসারে তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলতে লাগলেন। সেই সময় দুনিয়ার নানা দেশ থেকে ঈশ্বরভক্ত ইহুদি লোকেরা এসে, জেরুজালেমে বাস করছিল।” কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার ছিল, সেই আগত লোকদের ভাষা ভিন্ন ভিন্ন হলেও সবাই তাদের কথা বুঝতে পারছিল। তারা আশ্চর্য হয়ে বলছিল, “এই যে লোকেরা কথা বলছে, এরা কি সবাই গালীলের লোক নয়?


যদি তা-ই হয়, তাহলে আমরা প্রত্যেকে কি করে নিজের নিজের মাতৃভাষা ওদের মুখে শুনছি? … আমরা সকলেই তো আমাদের নিজের নিজের ভাষায় ঈশ্বরের কাজের কথা ওদের বলতে শুনছি।” এই ঘটনা থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়, ঈশ্বর কিংবা তাঁর পাকরুহের কাছে ভাষার কোন সীমাবদ্ধতা নেই।


অতএব, বেহেশতে যে যার মাতৃভাষাতেই সুন্দর করে কথা বলবে আর সবাই তা বুঝতে পারবে। শিশুর না বলা কথা ও হাসির ভাষা যেভাবে মা বোঝে, সেভাবে ঈশ্বর আমাদের প্রিয় মাতৃভাষায় বলা কথা আরো বেশি করে বুঝবেন।

#প্রকাশিত বাক্য ৫:৯-১০ আর তাঁহারা এক নূতন গীত গান করেন, বলেন, ‘তুমি ঐ পুস্তক গ্রহণ করিবার ও তাহার মুদ্রা খুলিবার যোগ্য; কেননা তুমি হত হইয়াছ, এবং আপনার রক্ত দ্বারা সমুদয় বংশ ও ভাষা ও জাতি ও লোকবৃন্দ হইতে ঈশ্বরের নিমিত্ত লোকদিগকে ক্রয় করিয়াছ; এবং আমাদের ঈশ্বরের উদ্দেশে তাহাদিগকে রাজ্য ও যাজক করিয়াছ; আর তাহারা পৃথিবীর উপরে রাজত্ব করিবে।"



ree


 
 
 

Recent Posts

See All
আল্লাহ আর ইয়াহওয়ে কি এক?

আমরা প্রায়ই শুনি, “সব ধর্মের ঈশ্বর এক” বা “আল্লাহ আর খ্রিস্টানদের ঈশ্বর একই।” কিন্তু একটু গভীরভাবে ভাবলে দেখা যায়, ইসলামের আল্লাহ এবং...

 
 
 

Comments


আমাদেরকে অনুসরণ করুন

আমাদের সামাজিক মিডিয়ায় খুঁজুন
  • Facebook - White Circle
  • YouTube - White Circle
  • Instagram - White Circle
@ekmatroshotto

©2020 by The Only Truth

একমাত্রসত্য creates awareness about Christ followers (“Christians”) in Bangladesh and Bengali speaking people of the world. We also encourage and motivate Churches and Christ followers on evangelism to the other religion followers in their own communities. 

bottom of page