বর্তমানে ইসলামের অনুসারীরা মনে হচ্ছে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে একটু বেশিই অনার্থক প্রশ্ন করছেন।এই প্রশ্নগুলোরজনক আফ্রিকার মৃত আহমেদ দিদাত ও ড. জাকির নায়েক এবং তার বিশ্বাসীদের। তারা সব সময় বাইবেলের ভুল ব্যাখ্যা ও ভুল প্রয়োগ এর বিষয় লজ্জাহীনভাবে সাধারণ মুসলিমদের যা বুঝাচ্ছেন তাতে আপনারা গা না ভাসিয়ে দিয়ে বাইবেল পড়ুন ও সত্য জানুন।
কেননা - খ্রিস্টানদের প্রশ্ন করার আগে, একটু চিন্তা করুন, বাইবেল প্রায় এই পৃথিবীর সব ভাষায় অনুবাদ করা, যেন লোকেরা নিজের মাতৃভাষাতে সকলেই ঈশ্বরের বাক্যের স্বাদ গ্রহন করতে পারে, নিজে পড়ে সত্যের নিঘুর্তত্ব পর্যন্ত পৌছাতে পারে। সুতরাং যীশু ঈশ্বর এটি খ্রিস্টানদের নিজস্ব তৈরী কোন মতববাদ নয়, এটি ঈশ্বরের নিরাময় শিক্ষার প্রতিফলন। বাইবেলে নেই এমন কোন শিক্ষার চর্চা, খ্রিস্টানরা করে না। অতএব নির্বোধের মত প্রশ্ন করে মূর্খের পরিচয় দিবেন না। বাইবেলে পরিস্কার লেখা আছে যীশু ঈশ্বর ঈশ্বর মানব, এটিও লেখা আছে কেন তিনি ঈশ্বর মানব, আপনি যদি প্রকৃতই সত্যে অনুসন্ধান করতে চান তাহলে, নিজে নম্র ও নত করে প্রার্থনা পূর্বক বাইবেল অধ্যায়ণ শুরু করুন, এটি পরিস্কার দেখতে পাবেন যীশু কেন ঈশ্বর মানব?
প্রিয়পাঠক আসুন - এই সুন্দর সকালে শত কাজের মাঝে আমরা আমাদের পবিত্র বাইবেল খুলি ও দেখি প্রভু যীশুকে কেন আমরা ঈশ্বর মানব বলে বিশ্বাস ও প্রচার করি -
১। যোহন ১০:৩০ " আমি ও পিতা, আমরা এক। " এখানে যীশু নিজেকে ঈশ্বর বলেছেন।
২। যোহন ১৪:১ "তোমাদের হৃদয় উদ্বিগ্ন না হউক; ঈশ্বরে বিশ্বাস কর, আমাতেও বিশ্বাস কর।"
এখানে যীশু নিজে ঈশ্বরের মত বিশ্বাস ও নির্ভর করতে শিষ্যদের আহবান করেন।
৩। মথি ১২:৮ "কেননা মনুষ্যপুত্র বিশ্রামবারের কর্ত্তা।" এখানে যীশু নিজেকে [ বিশ্রামবার ] ইবাদতের মালিক বলছেন।
৪। "যীশুকে জানাই হল ঈশ্বর কে জানা" - যোহন ৮:১৯।
৫। "যীশুকে দেখাই হল ঈশ্বরকে দেখা" - যোহন ১৪:৯।
৬। "যীশুকে ঘ্রিণা করাই হল ঈশ্বরকে ঘ্রিণা করা" - যোহন ১৫: ২৩।
৭। "যীশুকে সম্মান করাই হল ঈশ্বরকে সম্মান করা" - যোহন ৫:২৩।
পাঁচটি কারণে যীশু ঈশ্বরঃ
১। যীশু দৃশ্য ও অদৃশ্য সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা - যোহন ১:১-৩ , কল ১:১৫-১৬, ইব্রীয় ১:১-৫ পদ।
২। যীশু পাপ ক্ষমা করেন - মার্ক ২:৫ পদ।
৩। যীশু মৃতকে জীবন দেয় -লুক ৮:৫৩-৫৬ পদ।
৪। স্বর্গ দূতরা যীশুর ইবাদত করেছেন - মথি ৪:১১ পদ।
৫। যীশু ইবাদতের [ বিশ্রাম বারের ] মালিক - মথি ১২:৮
তাহলে বলুন, সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা কে? পাপ কেবল কে ক্ষমা করতে পারে? কে মৃতকে জীবন দিতে পারেন? স্বর্গ দূত বা ফেরেশতা কার সেবা করেন? ইবাদতের একমাত্র মালিক কে? আপনি নিশ্চয় এই পাঁচটি প্রশ্নের এক কথায় উত্তর দিবেন "ঈশ্বর"। তা হলে দাড়াইল কি যীশু ঈশ্বর।
অতএব - আমি আশা ও বিশ্বাস করি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।
আপনার যদি আরো জানতে ইচ্ছে হয় কোরানের আলোকে যীশু কিভাবে ঈশ্বর তাহলে এই লেখাগুলো পড়ুন :
আল্লাহর কালাম’ ও ‘অনুপ্রাণিত পুস্তক’ হিসেবে দাবীকৃত বাইবেল রচিত, সম্পাদিত, সংশোধিত ও সংশোধনযোগ্য- এ কথা প্রায় সকল খ্রিস্টান পণ্ডিতই বিশ্বাস করেন। বাইবেল সংশোধনের ধারা বাইবেল রচনার পর থেকে আজও পর্যন্ত অব্যাহত আছে। খ্রিস্টান পণ্ডিতগণ বিভিন্ন সময় বাইবেল সংশোধন করে বলেছেন, এটি সংশোধিত ও নির্ভরযোগ্য বাইবেল। পরবর্তীতে সেই সংশোধিত বাইবেলেই পাওয়া গেছে হাজারো ভুল। পুনরায় খ্রিস্টান পণ্ডিতগণ ‘আল্লাহর কালাম’ সংশোধনে রত হয়েছেন! প্রকাশিত হয়েছে সংশোধিত সংস্করণ।
বাইবেলের ভুল ও সংশোধন বিষয়ে ‘লূক ম্যাগাজিনে’ (Look magazine) The truth about the bible শিরোনামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় ২৬ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সংখ্যায়। লেখক হার্টজেল স্পেন্স তার প্রবন্ধটি শুরু করেন একটি প্রশ্ন দিয়ে, ‘আমরা আজ যে বাইবেলটি পড়ছি তা কতটুকু নির্ভুল?’ কিন্তু গোটা প্রবন্ধে লেখক কোথাও প্রশ্নটির উত্তর দেননি।
লেখক হার্টজেল স্পেন্স বাইবেলের শুধু…
নিজ ধর্মের ভুল ব্যখ্যা দিবেন না। আমার পিতা এবং আমি এক এর মানে যিশু ঈশ্বর নয়। তাদের উদ্দ্যেশ্য এক। এখন যদি বলেন এখানে ইশ্বর এর কথায় বলা হয়েছে, তাহলে আপনি যদি বলেন আপনি এবং আপনার পিতা এক, তাহলে কি মানুষ এটা ভাববে না যে আপনার সাথে আপনার মায়ের ও শারীরিক সম্পর্ক আছে???? কিন্তু যদি এটা উদ্দ্যেশ্যের ক্ষেত্রে হয় তাহলে ঠিক আছে। আপনি আপনার ব্যখ্যা দিয়ে যিশুর চরিত্র নিয়ে আঙ্গুল তুলছেন এবং ইশ্বরের ও ( নাওজুবিল্লাহ)।