top of page
  • Black Facebook Icon
  • Black YouTube Icon
  • Black Instagram Icon
Search

পবিত্র বাইবেলের ঈশ্বর ও কোরানের আল্লাহ কি ন্যায়বিচারক?



প্রিয়পাঠক, আমরা খ্রীষ্টান ও ইসলাম ধর্মের পার্থক্য গুলো নিয়ে আলোচনা করছি, যেন আপনারা প্রকৃত সত্য পার্থক্যগুলো পরিস্কার জানতে পারেন। আজকের বিষয়, "ন্যায়বিচার"। বাইবেলের ঈশ্বর ন্যায়বিচারক না কি কোরানে আল্লাহ ন্যায়বিচারক!



পবিত্র বাইবেলের ঈশ্বর সম্পূর্ণরূপে ন্যায়বান। তিনি পাপের দন্ড দেন। তিনি বিনা বিচারে কখনই পাপের ক্ষমা দেন না। কেননা বাইবেলের ঈশ্বরের সাথে পাপের কোন সম্পর্ক নেই। তিনি অপরাধের বিচার ভিন্ন কোন ভাবেই পাপিকে ক্ষমা করেন না। পাপের ক্ষমা শুধু অনুতাপ করাতে হয় না, এর জন্য বিকল্প পরিনতি প্রদান করতে হত।


লেবিয় ১৭:১১ কেননা রক্তের মধ্যেই শরীরের প্রাণ থাকে, এবং তোমাদের প্রাণের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করণার্থে আমি তাহা বেদির উপরে তোমাদিগকে দিয়াছি; কারণ প্রাণের গুণে রক্তই প্রায়শ্চিত্ত-সাধক।


বিনা বিচারে ঈশ্বর কখনোই পাপের ক্ষমা দেন না। যদি ঈশ্বর বিনা বিচারে পাপের ক্ষমা দেন, তাহলে ঈশ্বর যে ন্যায়বিচারক এটি প্রশ্ন বিদ্ধ হয়। কেননা বাইবেল বলে,


রোমীয় ৬:২৩ পাপের বেতন মৃত্যু, প্রত্যেক পাপি মৃত্যুতে পতিত এটিই ঈশ্বরের ন্যায়বিচার। উদ্ধার ন্যায়বিচারের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।


ইব্রীয় ৯:২২ আর ব্যবস্থানুসারে প্রায় সকলই রক্তে শুচিকৃত হয়, এবং রক্তসেচন ব্যতিরেকে পাপমোচন হয় না।


অর্থাৎ পাপিদের বিকল্প রক্তের দ্বারা, ন্যায়বান ঈশ্বর পাপের ক্ষমা করেন, এই সকল ক্ষমা যীশুর রক্তের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।


২ করি ৫:২১ যিনি পাপ জানেন নাই, তাঁহাকে তিনি আমাদের পক্ষে পাপস্বরূপ করিলেন, যেন আমরা তাঁহাতে ঈশ্বরের ধার্মিকতাস্বরূপ হই।


খ্রীষ্টানদের পাপ স্বীকার শুধু অনুতাপ ও মৌখিক ক্ষমা চাওয়া উপর নির্ভরশীল নয়, কিন্তু খ্রীষ্টের কুরবানিকৃত রক্তের দ্বারা, ঈশ্বরের ন্যায়বিচারের দ্বারা অনুতাপ করে, ক্ষমা লাভ করা।


কোরানের আল্লাহঃ পবিত্র বাইবেলের ঈশ্বরের মত কোরানের আল্লাহ ন্যায়বিচারক নন। কেননা কোরানের আল্লাহর নিকট শুধু মাত্র পাপ স্বীকার ও মৌখিক অনুতাপ করলেই পূর্বের সকল পাপ ক্ষমা করেন, এটি আল্লাহর ক্ষমতার প্রকাশ। এই ধরনের স্বীকারোক্তিতে আল্লাহ যে ন্যায়বিচারক নন তা প্রকাশিত হয়।


শয়তানের প্ররোচনায় পাপ হয়ে গেলে অনুশোচনার পরপরই কোনো নেকির কাজ করা উচিত। কারণ নেকি পাপ মিটিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই সৎ কর্মসমূহ মন্দ কর্মসমূহকে বিদূরিত করে।’ (সুরা : হুদ, আয়াত : ১১৪)


শয়তানের প্ররোচনায় যতবার পাপ হবে, ততবারই তাওবা করা উচিত (তাওবা-ইস্তিগফারের অভ্যাস গড়ে তোলা)। কারণ শয়তান চায় না কোনো বান্দা ক্ষমা পেয়ে যাক। তাই পাপ থেকে মুক্ত থাকার জন্য বারবার তাওবা করার অভ্যাস করে নিতে হবে। হাদিসে কুদসিতে আছে, ‘হে আদম সন্তান! তোমার গুনাহর পরিমাণ যদি আসমানের কিনারা বা মেঘমালা পর্যন্তও পৌঁছে যায়, তারপর তুমি আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব, এতে আমি পরোয়া করব না। হে আদম সন্তান! তুমি যদি সম্পূর্ণ পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়েও আমার কাছে আসো এবং আমার সঙ্গে কাউকে অংশীদার না করে থাকো, তাহলে তোমার কাছে আমি পৃথিবীপূর্ণ ক্ষমা নিয়ে হাজির হব।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪০)


বিনা বিচারে পাপের ক্ষমা এখানে আল্লাহ ন্যায়বান তা প্রমাণিত হয় না। ন্যায়বান হতে হলে অবশ্যই পাপের দন্ড দিতে হবে, তাই নয় কি?




 
 
 

Recent Posts

See All
বড়দিনের আধ্যাত্মিক বার্তা: গীতসংহিতা ২:১-১২ এর অন্তর্দৃষ্টি

গীতসংহিতা ২:১-১২ পদ “জাতিগণ কেন কলহ করে? লোকবৃন্দ কেন অনর্থক বিষয় ধ্যান করে? পৃথিবীর রাজগণ দণ্ডায়মান হয়, নায়কগণ একসঙ্গে মন্ত্রণা করে,...

 
 
 

1 comentário


qrfass
21 de out. de 2021

দাবী করবেন কোরআনের প্রতি, আর ব্যাখ্যা করবেন শয়তানের বাণী বাইবেলের নকল হাদিস দিয়ে। এটি কোন ধরণের ন্যায়বিচার?


Curtir

আমাদেরকে অনুসরণ করুন

আমাদের সামাজিক মিডিয়ায় খুঁজুন
  • Facebook - White Circle
  • YouTube - White Circle
  • Instagram - White Circle
@ekmatroshotto

©2020 by The Only Truth

একমাত্রসত্য creates awareness about Christ followers (“Christians”) in Bangladesh and Bengali speaking people of the world. We also encourage and motivate Churches and Christ followers on evangelism to the other religion followers in their own communities. 

bottom of page