
প্রিয়পাঠক, আমরা জানি পবিত্র বাইবেলের প্রেরিত ১:৮ পদটি, আমি পড়ছি আপনি অনুগ্রহ করে তা শুনুন! প্রভু যীশু খ্রীষ্ট এই বাক্যগুলি প্রথম খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন,
“কিন্তু পবিত্র আত্মা তোমাদের উপরে আসিলে, তোমরা শক্তি প্রাপ্ত হইবে: আর তোমরা যিরুশালেমে, সমুদয় যিহূদীয়া, ও শমরিয়া দেশে, এবং পৃথিবীর প্রান্ত পর্য্যন্ত আমার সাক্ষী হইবে” (প্রেরিত ১:৮।
কিছু প্রচারক বলেন এটা শুধুমাত্র পঞ্চসপ্তমীর পবিত্র আত্মার অবতরণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তারা বলেন যে আমরা আশা করতে পারি না যে পবিত্র আত্মা যেমন আগে করতেন সেইরকমভাবে তিনি এখনও আমাদের কাছে নেমে আসবেন। তাদের মধ্যে অনেকেই ভয় পান যে তাদের লোকেরা পঞ্চসপ্তমীতে পরিণত হয়ে যাবে যদি তারা সেই লোকেদের বলেন যে আজকে আত্মার প্রবহণ হতে পারে। সুতরাং তারা মন পরিবর্তনের এবং দৃঢ় বিশ্বাসের কাজ বন্ধ করে দেবে কারণ তারা পঞ্চসপ্তমীবাদকে ভয় করে। কিন্তু তারা ভুল করে যখন তারা বলে যে আমরা পবিত্র আত্মার আমাদের মধ্যে অবতরণ করার আশা করতে পারি না।
আমাদের পাঠ্যাংশের শেষ আটটি বাক্য দেখায় যে তারা ভুল করে, “এবং পৃথিবীর প্রান্ত পর্য্যন্ত।” একটি আধুনিক অনুবাদ এইভাবে বলছে, “এবং এমন কি পৃথিবীর সুদূরতম অংশস্থিত স্থান পর্য্যন্ত।” যেহেতু সেই প্রাচীন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা পৃথিবীর “প্রান্ত পর্য্যন্ত” বা “সুদূরতম” স্থান পর্য্যন্ত যাননি, যীশু সমস্ত খ্রীষ্ট বিশ্বাসীকে, সব সময়ের জন্য এইকথা বলেছিলেন। তিনি তাদের, এবং আমাদেরকে বলেছিলেন, “পবিত্র আত্মা তোমাদের উপরে আসিলে, তোমরা শক্তিপ্রাপ্ত হইবে।” পিতর কিছুদিন পরেই যা বলেছিলেন, তার দ্বারা এটা প্রমানিত হয়েছে, প্রেরিত ২:৩৯ পদে, “কারণ এই প্রতিজ্ঞা [পবিত্র আত্মার] তোমাদের জন্য, ও তোমাদের সন্তানগনের জন্য, এবং দূরবর্ত্তী সকলের জন্য, যত লোককে আমাদের ঈশ্বর প্রভু ডাকিয়া আনিবেন” (প্রেরিত ২:৩৯)।
সুতরাং শিষ্যেরা যিরুশালেমে ফিরে গিয়েছিলেন, এবং উপরের কুঠরিতে প্রার্থনার জন্য প্রবেশ করেছিলেন। তারা কিসের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন? তারা পবিত্র আত্মার শক্তির জন্য প্রার্থনা করেছিলেন যীশু যা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যখন তিনি বলেছিলেন, “কিন্তু পবিত্র আত্মা তোমাদের উপর আসিলে, তোমরা শক্তিপ্রাপ্ত হইবে” (প্রেরিত ১:৮)।
আমি এক পালকের নিকট হইতে শিক্ষা পেয়েছি, তিনি বলেছিলেন, পঞ্চসপ্তমী যখন নতুন যুগের প্রবর্তন করিয়াছিলেন, আত্মার উপরে প্রদান করা খ্রীষ্টের কার্য্য তখনও শেষ হইয়া যায় নাই। এবং আত্মার পূর্ণ যোগাযোগ যাহা সম্পূর্ণ [খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর] যুগকে চিহ্নিত করে, পঞ্চসপ্তমীতে শুরু হইয়াছিল, স্থির এবং অপরিবর্তনশীল হইবার ছিলনা; ইহা সেইরকম হইবার জন্য যাহা শিষ্যদের স্পষ্টভাবে করিতে নির্দেশ করা হইয়াছিল যে আরও বেশি করিয়া ঈশ্বরের আত্মার জন্য প্রার্থনা করা, তাহা করিবার দ্বারা কোন উদ্দেশ্য সাধিত হইতে পারিত? ইহা ছিল ‘আমাদের প্রার্থনা করিতে শেখাও’ এই অনুরোধের উত্তর যাহাতে যীশু বলিয়াছিলেন:
“অতএব, তোমরা মন্দ হইয়াও, যদি তোমাদের সন্তানদিগকে উত্তম উত্তম দ্রব্য দান করিতে জান: তবে ইহা কত অধিক নিশ্চয় যে স্বর্গস্থ পিতা যাহারা তাঁহার কাছে যাচ্ঞা করে তাহাদিগকে পবিত্র আত্মা দান করিবেন” (লূক ১১:১৩)।
খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের জন্য এই প্রতিজ্ঞার কোন অবিরাম প্রাসঙ্গিকতা নাই যদি না সেখানে সর্বদা অধিক পরিমান গৃহিত হইবার থাকে! তাই নয় কি?
প্রত্যেকটি প্রকৃত মন পরিবর্তন হল একটি অলৌকিক কাজ। অনুগ্রহ করে আমার সঙ্গে পড়ুন মার্ক ১০:২৬ পদ, “তখন তাহারা অতিশয় আশ্চর্য্য মনে করিলেন, কহিলেন, তবে কাহার পরিত্রাণ হইতে পারে? যীশু তাহাদের প্রতি দৃষ্টি করিয়া কহিলেন, ইহা মনুষ্যের অসাধ্য বটে…” (মার্ক ১০:২৬, ২৭)।
তারা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “তবে কাহার পরিত্রাণ হইতে পারে?” যীশু উত্তর দিয়েছিলেন, “ইহা মনুষ্যের অসাধ্য বটে।” মানুষ তার পাপযুক্ত অবস্থার মধ্যে থেকে নিজেকে পরিত্রাণ করার জন্য কিছুই করতে পারে না অথবা এমন কি নিজেকে সাহায্যও করতে পারে না! কিন্তু তখন যীশু বলেছিলেন, “কিন্তু ঈশ্বরের অসাধ্য নয়: কারণ ঈশ্বরের পক্ষে সকলই সাধ্য।” একজন ব্যক্তির মুক্তি বা পরিত্রাণ হল ঈশ্বরের থেকে প্রাপ্ত একটি অলৌকিক কর্ম! আমরা এই বছরের শুরুতে অনেকগুলি আশাজনক মন পরিবর্তন দেখেছি, তাদের মধ্যে দুটি গত রবিবারে ঘটেছে। প্রত্যেকটি প্রকৃত মন পরিবর্তন হচ্ছে অলৌকিক। যীশু খ্রীষ্টের সাক্ষী হওয়ার দ্বারা ঈশ্বর এই অলৌকিক কাজ করে থাকেন!
Comments