top of page
Search

নতুন জন্ম বলতে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট কি বুঝিয়েছেন?


প্রিয়পাঠক, আজ আমরা পবিত্র বাইবেলে বর্ণিত নতুন জন্মের বিষয় জানব। এটি সত্য যে নতুন জন্মের বিষয়ে আমরা ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা করি এবং নানা ভাবে আমাদের সন্তানদের এই প্রশ্নের উত্তর দেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে, প্রভু যীশু খ্রীষ্ট এই বিষয়ে কি বলেছেন ? পবিত্র বাইবেল নতুন জন্ম সম্পর্কে আমাদের কি শিক্ষা দিয়েছেন? আসুন তা পবিত্র শাস্ত্র হতে অনুসন্ধান করি!


প্রভু যীশু খ্রীষ্ট পরিস্কার ভাবে নিকদিমকে এটি বলেছেন যে, ঈশ্বরের রাজ্য প্রবেশ করতে হলে অবশ্যই নতুন করে জন্ম লাভ করতে হবে।


"...নতুন করে জন্ম না হলে কেউ ঈশ্বরের রাজ্য দেখতে পায় না।" (যোহন ৩:৩খ পদ)


এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, নতুন করে জন্ম হওয়া মানে কি?


প্রথমে আমি বলব, বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করা নতুন জন্ম নয়, কারণ অনেকে বাপ্তিষ্ম নিয়েছে এবং এখনও তাদের নতুন করে জন্ম হয় নাই। বাইবেলে পড়ুন (প্রেরিত ৮:১৮-২৫ পদ)।


নতুন করে জন্ম হওয়া মানে শুধু গির্জায় যোগ দেওয়া নয়, কারণ অনেকে হঠাৎ ভুল করে যায়। বাইবেলে পড়ুন, (গালাতীয় ২:৮ পদ)।


নতুন করে জন্ম হওয়া মানে শুধু প্রভুর ভোজ খাওয়া নয়, কারণ অনেকে অযোগ্যভাবে খেয়েছে এবং তা তাদের জন্য দন্ঠ দত্ত দস্ত দণ্ড বয়ে এনেছে। বাইবেলে পড়ুন (১ করিন্থীয় ১১:২৯ পদ)


নতুন করে জন্ম হওয়া মানে সংশোধিত বা আরো ভাল জীবন জাপনের চেষ্টা করা নয়

“......কারণ অনেকেই ঢুকতে চেষ্টা করবে কিন্তু পারবে না।“ (লূক ১৩:২৪ পদ)


নতুন করে জন্ম হওয়া মানে শুধু প্রার্থনা করা নয়, কারণ যীশু বলেন, “এই লোকেরা মুখেই আমার সম্মান করে, কিন্তু তাদের অন্তর আমার কাছ থেকে দূরে থাকে।“ (মথি ১৫:৮ পদ)।


অনেকে হয়তো বলে থাকেন, "যদি আমি চেষ্টা করি সবই করতে পারি; গরীবদের দান করা, অসুস্থদের দেখাশুনা করা এবং প্রতিদিন যতটা পারি ভাল হওয়ার চেষ্টা করি, তাহলে নিশ্চয়ই আমার নতুন করে জন্ম হয়েছে, তাই নয় কি? না, আমরা যা নই তা হতে পারি না। “কারণ পাপ স্বভাবের মন ঈশ্বরের আইন-কানুন মানতে চায় না, মানতে পারেও না।" (রোমীয় ৮:৭খ পদ)।


আমাদের অবশ্যই হৃদয়ের পরিবর্তন দরকার। কারণ ঈশ্বর নবীদের মাধ্যমে বলেছেনঃ “আমি তোমাদের ভেতরে নতূন অন্তর ও নতুন মন দেব;” (জিহিষ্কেল ৩৬:২৬ ক পদ)।


এখন প্রশ্ন হল, কিভাবে এবং কখন আমরা নতুন জন্ম গ্রহণ করতে পারি? যীশু বলেন, “মানুষ থেকে যা জন্ম তা মানুষ......” যোহন ৩:৬ পদ)যখন একটি শিশু জন্মে একটি নতুন জীবনের জন্ম হয়। তাই একিভাবে যখন আমাদের নতুন করে জন্ম হয়, তখন আমাদের অন্তরে খ্রীষ্ট যীশুর জীবনের মত করে নতুন এক আত্না জন্ম নেয়। এইজন্য এটাকে জন্ম বলা হয় – খ্রীষ্ট যীশুতে এক নতুন জীন যা অনন্তকাল বেঁচে থাকবে।


যদি আমরা হারানো, ভারাক্রান্ত পাপী হিসাবে শান্তির জন্য আকাঙ্খা নিয়ে ও দুঃখিত হয়ে কেঁদে কেঁদে ঈশ্বরের কাছে এসে বলি, “পরিত্রাণ পেতে হলে আমাকে অবশ্যই কি করতে হবে?” তখন আমরা অবশ্যই, তাই করব যেমন পৌল বলেছিলেন, “প্রভু যীশুর উপরে বিশ্বাস করুন।“ আমাদের অবশ্যই সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বরের কাছে আত্নসমর্পণ করতে হবে।


"অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা। আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।" (রোমীয় ১২:১-৩)



50 views0 comments

Recent Posts

See All

কোন পার্থক্য নেই! সবাই পাপি! এবং মুক্তির সুসমাচার যীশু খ্রীষ্ট

পাঠের বিষয়: রোমীয় ৩: ২১-২৬ “কিন্তু এখন ব্যবস্থা ব্যতিরেকেই ঈশ্বর-দেয় ধার্ম্মিকতা প্রকাশিত হইয়াছে, আর ব্যবস্থা ও ভাববাদিগণ কর্ত্তৃক তাহার...

Commentaires


bottom of page