top of page
  • Black Facebook Icon
  • Black YouTube Icon
  • Black Instagram Icon
Search

খ্রীষ্টানরা কেন ইসলাম ধর্মকে স্বীকার করে গ্রহন করে না?



প্রিয়পাঠক, পবিত্র বাইবেলের কিছু ধর্মতাত্ত্বিক শিক্ষার কারণেই খ্রীষ্টানরা মোহাম্মাদের তৈরী ধর্ম ইসলামকে গ্রহণ করে না।


প্রথম কারণ, পবিত্র বাইবেলের পুরাতন নিয়মের ভাববানী অনুযায়ী মোহাম্মাদ, কোন ক্রমেই মসীহ নন। কেননা যদি তিনি মসীহ হতেন, তাহলে তিনি পুরাতন নিয়মের পূর্ণতার দাবী করতেন, যেমন যীশু খ্রীষ্ট করেছেন।


মনে করিও না যে, আমি ব্যবস্থা কি ভাববাদী গ্রন্থ লোপ করিতে আসিয়াছি; আমি তাহা লোপ করিতে আসি নাই, কিন্তু পূর্ণ করিতে আসিয়াছি। (মথি ৫:১৭)


কিন্তু মোহাম্মাদ ব্যবস্থা ও ভাববানী গ্রন্থের কথা কখনোই নিজ মুখে উচ্ছারণ করেন নি।


দ্বিতীয় কারণ, শয়তানের ধ্বংসকারীর আগমন হবেন নারীর বংশে, কিন্তু মোহাম্মাদ নারীর বংশ নন।


আর আমি তোমাতে ও নারীতে, এবং তোমার বংশে ও তাহার বংশে পরস্পর শত্রুতা জন্মাইব; সে তোমার মস্তক চূর্ণ করিবে, এবং তুমি তাহার পাদমূল চূর্ণ করিবে। (আদিপুস্তক ৩:১৫)


পরে ষষ্ঠ মাসে গাব্রিয়েল দূত ঈশ্বরের নিকট হইতে গালীল দেশের নাসরৎ নামক নগরে একজন কুমারীর নিকটে প্রেরিত হইলেন, তিনি দায়ূদ-কুলের যোষেফ নামক পুরুষের প্রতি বাগ্‌দত্তা হইয়াছিলেন; সেই কুমারীর নাম মরিয়ম। দূত গৃহমধ্যে তাঁহার কাছে আসিয়া কহিলেন,


অয়ি মহানুগৃহীতে, মঙ্গল হউক; প্রভু তোমার সহবর্তী।


কিন্তু তিনি সেই বাক্যে অতিশয় উদ্বিগ্ন হইলেন, আর মনে মনে আন্দোলন করিতে লাগিলেন, এ কেমন মঙ্গলবাদ? দূত তাঁহাকে কহিলেন, মরিয়ম, ভয় করিও না, কেননা তুমি ঈশ্বরের নিকটে অনুগ্রহ পাইয়াছ। আর দেখ, তুমি গর্ভবতী হইয়া পুত্র প্রসব করিবে, ও তাঁহার নাম যীশু রাখিবে। তিনি মহান হইবেন, আর তাঁহাকে পরাৎপরের পুত্র বলা যাইবে; আর প্রভু ঈশ্বর তাঁহার পিতা দায়ূদের সিংহাসন তাঁহাকে দিবেন; তিনি যাকোব-কুলের উপরে যুগে যুগে রাজত্ব করিবেন, ও তাঁহার রাজ্যের শেষ হইবে না। তখন মরিয়ম দূতকে কহিলেন, ইহা কিরূপে হইবে? আমি ত পুরুষকে জানি না। দূত উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, পবিত্র আত্মা তোমার উপরে আসিবেন, এবং পরাৎপরের শক্তি তোমার উপরে ছায়া করিবে; এই কারণ যে পবিত্র সন্তান জন্মিবেন, তাঁহাকে ঈশ্বরের পুত্র বলা যাইবে। (লুক ১: ২৬-৩৫)


এখানে নারীর বংশ যীশু, মোহাম্মাদ নন তা প্রমাণিত।


তৃতীয় কারণ, ঈশ্বর ও মানুষের মধ্যে মধ্যস্তকারী মোহাম্মাদ নন, কিন্তু যীশু।


কারণ একমাত্র ঈশ্বর আছেন; ঈশ্বরের ও মনুষ্যদের মধ্যে একমাত্র মধ্যস্থও আছেন,

তিনি মনুষ্য, খ্রীষ্ট যীশু, তিনি সকলের নিমিত্ত মুক্তির মূল্যরূপে আপনাকে প্রদান করিয়াছেন; এই সাক্ষ্য যথাসময়ে দাতব্য; (১ তিমথী ২:৫-৬)


মোহাম্মাদ নিজেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ কেননা দুনিয়ার সমস্ত মুসলিমরা তার জন্য আযানের পরে প্রার্থনা করেন, যেন আল্লাহ তাকে সুমহান মর্যাদা দান করেন।


চতুর্থ কারণ, আকাশের নিচে মনুষ্যদের মধ্যে একটি নাম আছে, যে নামে পাপিরা পরিত্রাণ পায় তা হচ্ছে যীশু নাম, মোহাম্মাদ নন।


আর অন্য কাহারও কাছে পরিত্রাণ নাই; কেননা আকাশের নিচে মনুষ্যদের মধ্যে দত্ত এমন আর কোন নাম নাই, যে নামে আমাদিগকে পরিত্রাণ পাইতে হইবে। (প্রেরিত ৪:১২)


পঞ্চম কারণ, ঈশ্বর প্রদত্ত সুসমাচার একটিই তা হচ্ছে যীশু, মোহাম্মাদ কোন সুসমাচার নন।


আমার আশ্চর্য বোধ হইতেছে যে, খ্রীষ্টের অনুগ্রহে যিনি তোমাদিগকে আহ্বান করিয়াছেন, তোমরা এত শীঘ্র তাঁহা হইতে অন্যবিধ সুসমাচারের দিকে ফিরিয়া যাইতেছ। তাহা আর কোন সুসমাচার নয়; কেবল এমন কতকগুলি লোক আছে, যাহারা তোমাদিগকে অস্থির করে, এবং খ্রীষ্টের সুসমাচার বিকৃত করিতে চায়। কিন্তু আমরা তোমাদের নিকটে যে সুসমাচার প্রচার করিয়াছি, তাহা ছাড়া অন্য সুসমাচার যদি কেহ প্রচার করে- আমরাই করি, কিম্বা স্বর্গ হইতে আগত কোন দূতই করুক- তবে সে শাপগ্রস্ত হউক। আমরা পূর্বে যেরূপ বলিয়াছি, তদ্রূপ আমি এখন আবার বলিতেছি, তোমরা যাহা গ্রহণ করিয়াছ, তাহা ছাড়া আর কোন সুসমাচার যদি কেহ তোমাদের নিকটে প্রচার করে, তবে সে শাপগ্রস্ত হউক। (গালাতীয় ১:৬-৯)


অতএব, পবিত্র বাইবেলের ধর্মতাত্ত্বিক শিক্ষার কারণেই, খ্রীষ্টানরা মোহাম্মাদ ও ইসলামকে ঈশ্বর প্রদত্ত ধর্ম বলে স্বীকৃতি দেয় না।



 
 
 

Recent Posts

See All

বড়দিনের আধ্যাত্মিক বার্তা: গীতসংহিতা ২:১-১২ এর অন্তর্দৃষ্টি

গীতসংহিতা ২:১-১২ পদ “জাতিগণ কেন কলহ করে? লোকবৃন্দ কেন অনর্থক বিষয় ধ্যান করে? পৃথিবীর রাজগণ দণ্ডায়মান হয়, নায়কগণ একসঙ্গে মন্ত্রণা করে,...

Comentários


আমাদেরকে অনুসরণ করুন

আমাদের সামাজিক মিডিয়ায় খুঁজুন
  • Facebook - White Circle
  • YouTube - White Circle
  • Instagram - White Circle
@ekmatroshotto

©2020 by The Only Truth

একমাত্রসত্য creates awareness about Christ followers (“Christians”) in Bangladesh and Bengali speaking people of the world. We also encourage and motivate Churches and Christ followers on evangelism to the other religion followers in their own communities. 

bottom of page