top of page
  • Black Facebook Icon
  • Black YouTube Icon
  • Black Instagram Icon
Search

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়; কুরআন আসলে কার বাণী? আল্লাহর, জিব্রাইলের নাকী মুহাম্মদের ?




প্রিয়পাঠক, মুসলমানরা দাবি করে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ আল কুরআন আল্লাহর তরফ থেকে নাজিল হয়েছে l অর্থাত কুরআনের সমস্ত বাণী স্বয়ং আল্লাহর l এবং তাদের দ্বাবি কুরআনে যেহেতু আয়াতগুলো উত্তম পুরুষে বর্ণিত হয়েছে অর্থাত আমি বা আমি আল্লাহ এই সব সর্বনাম ব্যবহৃত হয়েছে তাই কুরআন অবশ্যই আল্লাহর বাণী বা ঐশী বাণী l


যারা কুরআনকে কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী বলে স্বীকার করে না তারা বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে প্রমান করে দেয় যে কুরআন আল্লাহর বা সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় l


আসুন দেখি কুরআন কি সত্যিই কোন সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে নাজিল হয়েছে নাকি কোন মানুষ কুরআন তৈরী করেছে !


আমরা জানি আল্লাহ কুরআনকে গ্রন্থ আকারে মুহাম্মদের কাছে পাঠায়নি l বরং এটি বিভিন্ন সময়ে জিব্রাইলের মাধ্যমে মুহাম্মদের কাছে পাঠানো হয়েছে l জিব্রাইলকে মুহাম্মদ ছাড়া অন্য কেউই দেখেনি ! আর তাই কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী কিনা অথবা এটি কোন ঐশী বাণী কিনা সে সম্পর্কে কোন প্রমান নেই l

যদি কুরআন সত্যিই আল্লাহর বাণী হয়ে থাকে তবে এতে উল্লেখিত সব বাণী উত্তম পুরুষে অর্থাত আমি বা আমি আল্লাহ প্রভৃতি সর্বনাম ব্যবহৃত হবে l কুরআনের প্রথম সুরা "সুরা ফাতেহা"-এর প্রতি লক্ষ করে দেখি কি বলা হয়েছে !


১. আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি, যিনি পরম করুনাময় ও অতি দয়ালু l ২. আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক l ৩. যিনি পরম করুনাময়, অতিশয় দয়ালু l ৪. যিনি প্রতিফল দিবসের মালিক l ৫. আমরা শুধুমাত্র আপনারই ইবাদত করি এবং আপনারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি l ৬. আমাদেরকে সরল সঠিক পথ-প্রদর্শন করুন। ৭. তাদের পথ, যাদের প্রতি আপনি অনুগ্রহ করেছেন; তাদের নয় যাদের প্রতি আপনার গযব বর্ষিত হয়েছে, এবং তাদেরও নয় যারা পথভ্রষ্ট l


লক্ষ করুন এই সুরাতে উত্তম পুরুষে বর্ণনা করা হয়নি l এই সুরা পড়লে মনে হয় এটা মানুষের বাণী, আল্লাহর বাণী নয় ! তাহলে কুরআনের সব সুরা কি আল্লাহর বাণী ? সুরা ফাতেহা দেখে বুঝা যাচ্ছে এই সূরা আল্লাহর বাণী নয় বরং মুহাম্মদ বা মানুষের বাণী ! যদি এটা আল্লাহর বাণী হতো তবে সুরার প্রথমে লেখা থাকত "বলো" তারপরে সূরাটি লেখা হতো, তবে এটাকে আল্লাহর বাণী বলে দাবি করা যেত l যেমন - "বলো - "আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি, যিনি পরম করুনাময় ও অতি দয়ালু l ..."

কিন্তু কুরআনের সুরা ফাতেহার প্রথমে "বলো" কথাটি লেখা নেই l আর তাই এটি আল্লাহর বাণী নয় ! যদি এটা সত্যিই আল্লাহর বাণী হতো তবে সুরার প্রথমে "বলো" কথাটি লেখা থাকত l অথবা সুরটি হতো এই রকম :


১. শুরু কর আমার নামে, আমি পরম করুনাময় ও অতি দয়ালু l ২. সমস্ত প্রসংসা আমার জন্য, আমি জগতসমূহের প্রতিপালক l ৩. আমি পরম করুনাময়, অতিশয় দয়ালু l ৪. আমিই প্রতিফল দিবসের মালিক l ৫. সুতরাং তোমরা শুধু আমারই ইবাদত করো এবং আমারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করো l ৬. কারণ আমিই তোমাদের সরল সঠিক পথ-প্রদর্শন করি l ৭. তাদের পথ যাদের প্রতি আমি অনুগ্রহ করেছি; তাদের নয় যাদের প্রতি আমার গযব বর্ষিত হয়েছে, এবং তাদেরও নয় যারা পথভ্রষ্ট l

সুরা ফাতিহা যদি এরকম হতো তবে এটাকে আল্লাহর বাণী বলে দাবি করা যেত l অথবা যদি সুরার প্রথমে "বলো" কথাটি লেখা থাকতো তবুও এটাকে আল্লাহর বাণী বলে দাবি করা যেত l কিন্তু সুরা ফাতেহা ঠিক ওরকম নয় l বরং এটি কোন মানুষের বাণী এভাবেই লেখা হয়েছে l আর তাই সুরা ফাতেহা আল্লাহর বাণী নয় l


আবার কুরআনের কিছু কিছু আয়াত পড়লে মনে হয় এটি আল্লাহর বাণী নয় l বরং এটি কোন মানুষের বাণী; অথবা এটি অন্য কারো বাণী l


যেমন :- সুরা নামল, আয়াত ৮৬ : "তারা কি অনুধাবন করে না যে, আমি রাত্রি সৃষ্টি করেছি তাদের বিশ্রামের জন্যে এবং দিবসকে করেছি আলোকপ্রদ?এতে মুমিন সম্প্রদায়ের জন্যে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে l "


এই আয়াতটি পড়লে খুব সহজেই বুঝা যায় এটা সরাসরি আল্লাহর বাণী l অর্থাত আল্লাহ এই আয়াতে সরাসরি বলেছে যে সে নিজেই রাত সৃষ্টি করেছে মানুষের বিশ্রামের জন্য এবং দিবসকে করেছে আলোকপ্রদ l এবং মানুষের কাছে নিজেই সরাসরি প্রশ্ন করেছে, মানুষ কি এসব দেখে না?


আবার সুরা নাহল-এর ১২ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে; "তিনিই তোমাদের কল্যানে নিয়োজিত করেছেন রজনী, দিবস, সূর্য এবং চন্দ্রকে; আর নক্ষত্ররাজিও অধীন হয়েছে তারই হুকুমে; অবশ্যই এতে বোধশক্তি সম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্যে রয়েছে নিদর্শন l "


লক্ষ করুন এই আয়াতে কিন্তু উত্তম পুরুষ বা আমি সর্বনাম ব্যবহৃত হয়নি ! বরং এই আয়াত পড়ে মনে হচ্ছে এটি অন্য কেউ বলেছে l এখানে বলা হয়েছে তিনিই (আল্লাহই) তোমাদের (মানুষের) কল্যানে নিয়োজিত করেছেন .... l অর্থাত এই আয়াতটি সরাসরি আল্লাহর নয়; এমনকি কোন মানুষেরও নয় l এই আয়াতটি অন্য কারো l যেহেতু জিব্রাইল (গ্যাব্রিয়েল) ফেরেশতা মুহাম্মদের কাছে আল্লাহর বাণী নিয়ে আসতো সুতরাং এই কথাটি জিব্রাইলের l অর্থাত এটি আল্লাহর বাণী নয় বরং জিব্রাইলের বাণী l আর তাই জিব্রাইল বলছে তিনিই (আল্লাহ) তোমাদের জন্যে কল্যানে নিয়োজিত করেছেন .... l


যদি এটি আল্লাহর বাণী হয় তবে আল্লাহ কেন বলবে -"তিনিই তোমাদের কল্যানে নিয়োজিত করেছেন .... "? এই তিনিটা তাহলে কে ? আল্লাহ নাকি আল্লাহর সৃষ্টিকর্তা ?


সুতরাং এই আয়াতটি স্বয়ং আল্লাহর নয়; এটি জিব্রাইলের বাণী l


যদি কুরআনের বাণী স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার হয়ে থাকে তাহলে কুরআনের এই আয়াতগুলো কেন উত্তম পুরুষে লেখা হয়নি ? কেন কিছু কিছু আয়াত আল্লাহর উদৃতি দেয়া, কিছু কিছু আয়াত জিব্রায়লেব্র উদৃতি দেয়া আবার কিছু কিছু আয়াত মুহম্মদের উদৃতি দেয়া ? এটা কি সন্দেহের কারণ নয় যে কুরআন আল্লাহর বাণী নয় ? যদি সর্বজ্ঞানী আল্লাহ এই কুরআন লিখতো তবে কুরআনের এই ভুল গুলো থাকতো না l শুধুমাত্র তখনি এই ভুল গুলো থাকা সম্ভব যখন কুরআন মুহাম্মদ নামের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বঞ্চিত কোন স্বাধারণ মানুষের লেখা হবে। মুহাম্মদ ছিল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বঞ্চিত, মতান্তরে নিরক্ষর l আর তাই মুহাম্মদ কুরআন তৈরী করার সময় এই ভুলগুলো করেছে নিজের অজান্তে l কিন্তু একবার লেখা হয়ে যাবার পড়ে সেটা পরিবর্তন করার মত সুযোগ বা প্রয়োজনীয়তা ছিলনা মুহাম্মদের l আর তাই এই ভুল গুলো থেকে গেছে !


তাই বলা যায় কুরআন আল্লাহ লিখে পাঠায়নি বরং মুহাম্মদ নিজে কুরআনের বাণী তৈরী করেছে l অর্থাত কুরআন আল্লাহর বাণী নয় এটি মুহাম্মদের বাণী l


বিশেষ দ্রষ্টব্য : পোস্টে উল্লেখিত কুরআনের আয়াতগুলো প্রফেসর ড: মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান-এর অনুবাদ থেকে নেয়া হয়েছে l সুতরাং অনুবাদ জনিত ভুলের জন্য লেখক দ্বায়ী থাকবে না !

 
 
 

Recent Posts

See All
বড়দিনের আধ্যাত্মিক বার্তা: গীতসংহিতা ২:১-১২ এর অন্তর্দৃষ্টি

গীতসংহিতা ২:১-১২ পদ “জাতিগণ কেন কলহ করে? লোকবৃন্দ কেন অনর্থক বিষয় ধ্যান করে? পৃথিবীর রাজগণ দণ্ডায়মান হয়, নায়কগণ একসঙ্গে মন্ত্রণা করে,...

 
 
 

Comentarios


আমাদেরকে অনুসরণ করুন

আমাদের সামাজিক মিডিয়ায় খুঁজুন
  • Facebook - White Circle
  • YouTube - White Circle
  • Instagram - White Circle
@ekmatroshotto

©2020 by The Only Truth

একমাত্রসত্য creates awareness about Christ followers (“Christians”) in Bangladesh and Bengali speaking people of the world. We also encourage and motivate Churches and Christ followers on evangelism to the other religion followers in their own communities. 

bottom of page