প্রিয়পাঠক, পবিত্র বাইবেলে কোন ভুল নেই।তবুও আজও হাজার হাজার অগণিত লোকেদের দ্বারা বাইবেল একটা ঘৃণার বই--- ঠিক যে ভাবে আগেও ইহা অনেকের ঘৃণ্য ছিল। কেন এমন হয়! আসুন তা জানতে দ্বিতীয় পদটা আরো একবার দেখি,
“তুমি একখানি জড়ানো পুস্তক লয় এবং আমি যেদিন তোমার কাছে কথা বলিয়াছিলাম, সেই অবধি। যোশিয়ের সময় অবধি, অদ্য পর্যন্ত ইজ্রায়েলের, যিহুদার ও সমস্ত জাতির বিরুদ্ধে তোমাকে যাহা যাহা বলিয়াছি, সেই সমস্ত বাক্য উহাতে লিখ” (যিরমিয় ৩৬ঃ২)।
প্রিয়পাঠক, আপনি শেষের কয়েকটি শব্দের প্রতি লক্ষ্য রাখুন। ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যে সমস্ত বাক্য আমি তোমাকে বলেছি এবং যিহুদা এবং সমস্ত জাতির বিরুদ্ধে....’। এই জন্যই লোকেরা বাইবেল ঘৃণা করে। ইহা তাহাদের বিরুদ্ধে বলে।
১। মুসলিম ভাইয়েরা বাইবেল ঘৃণা করে তার প্রথম কারণ, কেননা বাইবেল বলে যে তাহারা পাপি।
রোমীয় ৩:২৩ কেননা সকলেই পাপ করিয়াছে এবং ঈশ্বরের গৌরব-বিহীন হইয়াছে-
২। মুসলিম ভাইদের বাইবেল ঘ্রিণা করার দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, বাইবেল বলে যীশু খ্রীষ্টই একমাত্র মধ্যস্তকারী ও সাফায়েতকারী,
১ তীম ২:৫ কারণ একমাত্র ঈশ্বর আছেন; ঈশ্বরের ও মনুষ্যদের মধ্যে একমাত্র মধ্যস্থও আছেন, তিনি মনুষ্য, খ্রীষ্ট যীশু;
৩। মুসলিম ভাইদের বাইবেল ঘ্রিণা করার তৃতীয় কারণ হচ্ছে,
১ করি ১৫:৩-৪ শাস্ত্রানুসারে খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মরিলেন, ও কবর প্রাপ্ত হইলেন, আর শাস্ত্রানুসারে তিনি তৃতীয় দিবসে উত্থাপিত হইয়াছেন;
৪। মুসলিম ভাইদের বাইবেল ঘ্রিণা করার চতুর্থ কারণ হচ্ছে, বাইবেল বলে যীশু ছাড়া বিকল্প ত্রাণকর্তা নেই।
প্রেরিত ৪:১২ আর অন্য কাহারও কাছে পরিত্রাণ নাই; কেননা আকাশের নিচে মনুষ্যদের মধ্যে দত্ত এমন আর কোন নাম নাই, যে নামে আমাদিগকে পরিত্রাণ পাইতে হইবে।
৫। মুসলিম ভাইদের বাইবেল ঘ্রিনা করার পঞ্চম কারণ, যীশু ঈশ্বরের পুত্র, যিনি ঈশ্বর।
যোহন ৩:৩৬ কেননা আমি বলিলাম যে, আমি ঈশ্বরের পুত্র!
কল ১:১৫-১৬ ইনিই অদৃশ্য ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি, সমুদয় সৃষ্টির প্রথমজাত; কেননা তাঁহাতেই সকলই সৃষ্ট হইয়াছে; স্বর্গে ও পৃথিবীতে, দৃশ্য কি অদৃশ্য যাহা কিছু আছে, সিংহাসন হউক, কি প্রভুত্ব হউক, কি আধিপত্য হউক, কি কর্তৃত্ব হউক, সকলই তাঁহার দ্বারা ও তাঁহার নিমিত্ত সৃষ্ট হইয়াছে;
৬। নাস্তিক ভাইয়েরা বাইবেলকে এই জন্য ঘৃণা করে কেননা ইহা তাকে মূর্খ বলে অবহিত করে—
‘মূঢ মনে মনে বলিয়াছে, ঈশ্বর নাই’। (গীতা সংহিতা ১৪ঃ১)।
৭। বিগ্রহের পূজারী বুদ্ধ্ব ধর্মাবলম্বীরা বাইবেল ঘৃণা করে কেননা ইহা বলে সেই সমস্ত বিগ্রহ বা মূর্তির পূজারীরা ‘মূর্খ হইয়াছে’ (রোমীয়১ঃ২২)।
৮। যারা সমলিঙ্গের যৌনতার ওকালতি করে, তারা বাইবেল ঘৃণা করে কেননা ইহা বলে, ‘এই জন্য ঈশ্বর তাদের জঘন্য রিপুর বশে সমর্পণ করিয়াছেন...........(রোমীয় ১ঃ২৬-২৮)।
৯। ব্যভিচারি, যৌন গ্রস্ত লোকেরা বাইবেল ঘ্রিণা করে কারণ,
১ করি ৬:১৩ দেহ ব্যভিচারের নিমিত্ত নয়, কিন্তু প্রভুর নিমিত্ত, এবং প্রভু দেহের নিমিত্ত।
১০। যাহারা ভ্রুণ মোচনের ওকালতি করেন, তারা বাইবেল ঘৃণা করে কেননা,বাইবেল ইহা বলে ‘ তুমি নরহত্যা করিও না’ (যাত্রা পুস্তক ২০ঃ১৩)।
১১। বিবর্তনশীল লোকেরা বাইবেল ঘৃণা করে কেননা ইহা বলে, ‘ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন’। (আদিপুস্তক ১ঃ১;১ঃ২৪;১ঃ২৭ ইত্যাদি)।
১২। ধর্মীয় ব্যক্তিরা বাইবেল ঘৃণা করে কেননা, ইহা তাহাদের পাপের উপরে সিধা আলোক পাত করে।
“আর সেই বিচার এই যে, জগতে জ্যোতি আসিয়াছে এবং মনুষ্যেরা জ্যোতি হইতে অন্ধকার অধিক ভালো বাসিল কেননা তাহাদের কর্মসকল মন্দ ছিল। কারণ যে কেহ সদাচারণ করে, সে জ্যোতি ঘৃণা করে, এবং জ্যোতির নিকট আইসে না, পাছে তাহার কর্ম সকলের দোষ সাব্যস্ত হয়” (যোহান ৩ঃ১৯-২০)।
যারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, তারা তাঁর বাক্যকেও প্রেম করে কিন্তু যারা ঈশ্বরকে প্রেম করে না তারাতাঁর বাক্যকেও প্রেম করে না, তাই নয় কি?
Comentários